এত চিল্লাফাল্লার কি আছে? "প্রত্যাশিত" রায়ই হয়েছে। সরকার ও বিচার বিভাগ জনগণের আস্থা ও ভরসার পূর্ণ প্রতিদান দিয়েছে। জনগণ এর থেকে বেশি আশা আওয়ামী লীগের কাছে আর রাখে না।
অ্যান্ড বাই দা ওয়ে, শুধু লীগরে দোষ দিয়া কি লাভ? আপনি-ই কি সেই মানুষটা না যে ২০০৮ এর ইলেকশনের আগে "আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল", ২০১৩ এর নির্বাচনের আগে "আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষার ধারক ও বাহক অসাম্প্রদায়িক দল" বইলা পাছার কাপড় তুইলা লাফাইছিলেন। ওপেন বাজারে পাছার কাপড় তুইলা লাফাইবেন আবার মনে ছুট্টু আশা রাখবেন যে মাইনষে আপনার কথার দাম দিবো, বা আপনে রায় মানেন না কইলে টেনশনে সবার রাইতের খাওয়া বদহজম হইয়া যাইবো- আম্নে হাজ্ঞল নি কুনু?! আওয়ামী লীগ পাগল চিনতে ভুল করে নাই, চান্স পাইয়াই আপনার নেংটু পাছায় গজারীর লাঠির গদাম দিয়া লাল কইরা দিসে।
বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগে হাজার হাজার মাইল তফাৎ আর বর্তমান লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল- আপনার এই ভুল ভাংতে ভাংতে ৭বছর আর দেশের সর্বকালের সেরা রাজাকারগুলা পার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষার একমাত্র সেনানী এবং বাকস্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী একটি অসাম্প্রদায়িক দল - এই দিবাস্বপ্ন কবে ভাংবো কাগু?
কয়েকটা ছোটখাটো ফ্যাক্ট তুইলা ধরি।
- অলরেডী সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে পুটু মারা হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার সভ্য দেশগুলার মত আমাদের এই সুসভ্য দেশেও অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে নির্বাচনকালীন দলীয় সরকার অনেক বেশি আস্থাভাজন। গণতন্ত্র এখনো সাত গোল খাওয়া ব্রাজিলের মত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন।
- বাকস্বাধীনতারে তথ্যপ্রযুক্তি আর সম্প্রচার আইনে খাই দেওয়া হইসে। এইদেশের অসভ্য-অশিক্ষিত মানুষ আসলেই বাকস্বাধীনতা ডিজার্ভ করে না, বাকস্বাধীনতার অপব্যাবহার কইরা তারা নাস্তেকতা আর জঙ্গীবাদ চর্চা কইরা বেড়ায়। আর এই অসভ্য মানুষগুলার মাঝখান থেইকা উইঠা আসা লোকজনই এত সভ্য যে আল্টিমেট সুপ্রীমেসী হাতে নিয়াও তারা অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চাইতে তারা বেশি আস্থাভাজন এবং নিরপেক্ষ! আঁই জাইনতাম ছাই, হেতেরা কুন দোহাইনের চাউল খাই এত সভ্য হইসে রে কাগু!! স্বাধীনতার পক্ষে থাকা পোলাপান কিন্তু শিবিরের মাইর খায়া নাস্তিকতার অভিযোগে জেলে বইসা এইচএসসি পরীক্ষা দেয় আর মোটা চাউলের ভাত খায়, ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে!!
- রামু থেকে শুরু কইরা লক্ষীপুর-সাতক্ষীরা-পঞ্চগড়, প্রত্যেকটা জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিত এবং সুসংগঠিত আক্রমণে স্থানীয় লীগের কোন না কোন নেতার সরাসরি যোগাযোগ পাওয়া গেছে। আর প্রত্যেকটা কেইসে দোষ গেছে শুধুমাত্র বিএনপি-জামাত (আর আঁতাতের পর শুধুমাত্র "দুর্বৃত্ত"দের উপর)। স্টিল ইউ ডিনাই দা ফ্যাক্ট দ্যাট, ডাইরেক্ট বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাইকা হোক, অথবা লীগ ক্ষমতায় থাইকা হোক, খানকীর পোলারা চান্স পাইলেই "মাল্লু" (এক্সট্রীমলি সরি ফর ইউজিং দা ওয়ার্ড) কোপাবে, পূর্ণিমার পিছনে সিরিয়ালে না দাঁড়াইয়াই একসাথে তিন-চারজন কুত্তার মত ঝাঁপায় পরবে। আনফরচুনেটলী, আপনি-আমি যতই অসাম্প্রদায়িক হই না কেন, টাকা আর ক্ষমতার লোভ অসাম্প্রদায়িকতা চুদে না। যার টাকা-ক্ষমতা-কনস্টিটিউশনাল/এথনিক মেজরিটি আছে, সে চান্স পাইলেই কোপাবে।
এইগুলা জাস্ট কয়েকটা বাচ্চাকাচ্চা ফ্যাক্ট, সমুদ্রতটে নুড়িপাথর হাতানোর মত। কিন্তু এতকিছু হয়ে যাইতেছে, আপনার চোখে পরতেছে না কেন? because the strategy that is being implemented here is - DIVERT AND DESTROY! পাকিস্তান ১৯৭১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কি করেছিলো মনে আছে? তাদের সব সৈন্য বাংলাদেশে মোতায়েন আছে জেনেও পূর্ব ফ্রন্টে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে পশ্চিম ফ্রন্টে ইন্ডিয়াকে আক্রমণ করেছে। সেই ফ্রন্টে তাদের সৈন্য বলতে গেলে ছিলই না এবং ইন্ডিয়া ভালভাবে জেঁকে ধরলে তারা দুইদিনেই ইসলামাবাদ দখল করে ফেলতে পারতো হয়তো। তারপরও পাকিস্তান জেনে বুঝে সেই ফাঁদ পেতেছে যেন কোনভাবে ইন্ডিয়ার সাতে যুদ্ধ লাগায় পুরা দুনিয়ার চোখ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরিয়ে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসাবে দেখানো যায় আর ইন্ডিয়া সেই যুদ্ধের ফাঁদে পা দিলে যুদ্ধে মাইর খাইয়া যেন জাতিসংঘে কান্নাকাটি কইরা বিচার দিতে পারে ইন্ডিয়ার এগেইনস্টে- ব্যাস, কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ইস্যু চিরকালের মত চাপা পরে যাবে আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র বলে চালায় দেওয়ার প্রোপাগান্ডাও তখন সত্য প্রমান করা যাবে। এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগের স্ট্র্যাটেজীটাও কি সেইম না? খেয়াল করে দেখেন তো, শেষ কবে লীগ একটা সিঙ্গেল মেজর ইস্যু নিয়ে মাঠে ছিল? এইটা কি শুধুই কাকতাল যে ৫মাস আগে শুনানী শেষ হওয়া সাঈদীর মামলার রায়ের ডেট কিভাবে ধুম করে আজকে পরলো যেইদিন কিনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাশ হওয়ার কথা (আমি নিশ্চিত এই লেখা পড়া মানুষদের মধ্যে ৮০% মানুষই জানেন না যে আজকে সংশোধনী বিল পাশের ডেট, সবাই কালকে সন্ধ্যা থেকে সাঈদী নিয়া ব্যাস্ত)? লাভের লাভ কি হইলো? সাঈদীরে ফাঁসীর রায় বহাল থাকলে (which was very unlikely to happen) জামাতের আন্দোলনে সংবিধান সংশোধন ইস্যু চাপা, ফাঁসী না দিলে আমজনতার কাপঝাপে সংবিধান ধামাচাপা- both way, its a win-win situation for Awami League! and i don't blame them for that, they are practicing politics for power and everything. WE gave them the authority!! they are doing what exactly you and I should have done in this situation. কিন্তু আমি ব্লেইম দিবো এখনো নিরপেক্ষতার মুখোশ পইরা থাকা দালাল-বুদ্ধীজীবী আর মুর্খ বেকুবগুলারে, যারা এত-এত ডিগ্রী আর ডক্টরেট নিয়াও এইগুলারে লিগালাইজ করার জন্য দুই পয়সার আশায় পা চাইটা যাইতেছে আর পয়সা হালাল করতেছে।
মন্দের ভাল থিওরীতে বিশ্বাস করা বেকুবী, টুডে অর টুমরো ইউ উইল লার্ন দ্যাট ব্রাদার। বাট দা কস্ট ইউ উইল হ্যাভ টু পে ফর ইট উড বি টু ড্যাম হাই! আপাতত আমার কাছে লীগ-দল-জামাত সব একই লেভেলের *****। নাও ট্যাগ মি ছাগু অ্যান্ড কল মাই আন্সেস্টরস রাজাকার ফর নট রাইডিং দা সেইম বোট উইথ ইউ ফ্রম নাও অন। ইউ স্টিল থিঙ্ক ইট'স শেখ মুজিব'স বোট, বাট আই হ্যাভ সীন ইটস জাস্ট নট শেখ মুজিব'স বোট এনিমোর। এনাফ অফ দীজ শিট। পিস অফ!!