* ১২দিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় মারা গেছে ৩৩৪জন ফিলিস্তিনী। এদের মধ্যে ২০%-এ শিশু। বাকী ৮০% প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে কয়জন আসলেই হামাস সদস্য তা জানার আপাতত কোন উপায় নাই। এরমধ্যে ইসরায়েলকে সিভিলিয়ান মারার কারণে আগ্রাসনের ১২দিনের মাথায় হালকা করে বকে দিয়েছেন বিশ্বের বাবা-মা বারাক ওবামা!
* ইউক্রেনের মিসাইল দিয়ে ধংস করা প্লেনের যাত্রীদের মালামাল লুটপাট চলতেছে। ইউক্রেনের জঙ্গীবিমান আকাশে টহল দিচ্ছে, বিদ্রোহী গ্রুপগুলা মাটিতে। ইউক্রেন-বিদ্রোহী বাদে কোন নিরপেক্ষ উদ্ধারকারী দল ধংসাবশেষের কাছে পৌঁছাইতে পারতেছে না। প্লেন কারা নামাইছে সেটা নিয়ে যেমন ইউক্রেন-জঙ্গী অথবা আমেরিকা-রাশিয়া ঠেলাঠেলি চলতেছে, উদ্ধারকাজে বাধা বা ব্ল্যাকবক্স গায়েব করে দেওয়া নিয়েও একইভাবে একজন আরেকজনের উপর দায় চাপাচ্ছে। এদিকে বিমানের যাত্রীদের অনেকের লাশ এখন পর্যন্ত অনেকখানি এলাকা জুড়ে খোলা আকাশের নিচে ছড়ায়-ছিটায় পড়ে আছে, সরানোর কেউ নাই, কেউ সরাতে গেলেও হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়ায় দেওয়া হচ্ছে।
* "ছেলে মারে, লজ্জায় কাউকে বলতেও পারি না বাবা। গত ঈদেও ছেলে আমাকে লাথি মেরেছে"- বাড়ি আর সম্পত্তি দখলের জন্য ছেলে আর ছেলের বউয়ের অত্যাচারের শিকার এক বৃদ্ধার কথা এগুলা।
গত এক-দেড়ঘন্টায় পড়া ৬-৭টা খবরের মধ্যে তিনটার সারমর্ম এরকম।
ছোটবেলা থেকে পত্রিকা পড়া আমার একটা বড় নেশা ছিল। পড়াশোনার সময়টা খবরের কাগজ পড়ে নষ্ট করবো দেখে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার সময় হকারকে বইলা বাসায় পেপার দেওয়া বন্ধ কইরা দিত আম্মা। সেই আমি কাগজের পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি আজকে থেকে প্রায় ৪-৫মাস আগে শুধু নেগেটিভ খবর পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় দেখে। ফেসবুকেও শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রিকেটের খবর রাখার জন্য বিডিনিউজের পেজে লাইক দেওয়া, বাকী সব পেইজ আনলাইক করে দিসি। সারাদিন ফেসবুকে হাবিজাবি লেইমনেসে ব্যাস্ত থাকি জাস্ট নেগেটিভিটি থেকে মাথা বাঁচায় রাখতে। কিন্তু তারপরও হোমপেইজে এর-ওর শেয়ার দেওয়া খবর চোখে পড়ে যায়, এড়ানো সম্ভব হয় না। না চাইতেও লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলি- পড়ি- নিজেরে মানুষ পরিচয় দিতে নতুন করে লজ্জা পাই প্রত্যেকবারই।
কিভাবে এত কিছু চোখের সামনে দেইখাও এত সুখে বাঁইচা আছি আমরা? যেকোন "স্বাভাবিক" মানুষের কোনভাবেই এইসব দেখে, চুপচাপ হজম করে সুস্থ থাকার কথা না। অথচ আমরা দিব্যি হাইসা-খেইলা বেড়াইতেছি। কিভাবে পারি?? কোনভাবেই মাথায় ঢুকেনা।
নিজের মাথা ঠিক রাখার দায়িত্ব নিজেরেই নিতে হবে। ব্লগে ঘুরার বদঅভ্যাস ছুটাইছি, এখন ফেসবুকও ডিএক্টিভেট করে কোন এক চিপায় লুকায় থাকতে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় দেখতেসি না।