সময় কত দ্রুতই না পেরিয়ে যায়! শৈশব, কৈশোর আর তারুন্যের উচ্ছ্বল দিনগুলো পেরিয়ে এসে বারবারই শুধু মনে হয় অনেকটা পথ চলে এসেছি আর ফিরে যাবার উপায় নেই। সময় গুলো চলে যায় ঠিক যেন বায়োস্কোপে দেখা ছবির মতো। বড় হবার সাথে সাথে একটা ব্যপার খুব লক্ষ করছি, কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি সব কিছু থেকেই। আশপাশের সবকিছুর প্রতি এতটা নিস্পৃহতা দেখে নিজের মনেই খুব অবাক হই মাঝে মাঝে।
আমার পাশের বাসার পিচ্চিটার আনন্দ দেখে নিজের ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ছে। অবশ্য পাশের বাসার পিচ্চিটার বয়স খুবই কম। মাত্র দু'বছর। ওদের গরু আনতেই আমাদের বাসায় এসে খুশিতে লাফাচ্ছে রীতিমতো। বার বার বলছে, আমাদের কুম্বানীর গরু আনছে।


আমার আম্মু দুষ্টমি করে বলছে, ওটা তোমাদের না আমদের গরু। ও বলছে, না, এটা আমার গরু। আমার আব্বু আনছে।



মনে আছে সেই ছোট বেলায় এই কোরবানীর দশ বারো দিন আগে থেকেই নিজের ভিতর প্রচন্ড অস্হিরতা অনুভব করতাম। এবারের গরুটা নিজের পছন্দ মতো হবে তো! বড় ছোট যাই হোক গরু কেনার পর এক সময় ঠিক ঠিকই মায়া বসে যেত। সারাটা দিন গরুর কাছে ঘুর ঘুর করা, গরুর খাওয়া দাওয়া নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের ঘুম রাতের ঘুম সব হারাম হয়ে যেত। বাসায় গেলে মা বকতো খুব, দূরে যা! তোর গা থেকে গরুর গন্ধ আসে। সত্যি সত্যিই ঐ চার পাঁচটা দিন রাখাল বনে যেতাম। অথচ এখন নিজের গরুটাই দেখা হয় না। মাংস কাটাকাটিতে যাই না বেশ ক'বছর। এবার যাব ভাবছি। গরুটাও দেখে এসেছি গত রাতে। ভালৈ। গতবারের মতোই বাপে একটা জিনিশ কিনছে জিনিশওলা

ব্লগের সব বন্ধুদের ঈদের শুভেচ্ছা। সুখ শান্তি আর ত্যাগের মহিমায় পরিবারের সবার সাথে ভালো কাটুক সুন্দর কাটুক সময়। আর একটা ব্যাপার ছোট বাচ্চাদের গরু কুরবানীর সময় বাসায় যথাসম্ভব আগলে রাখার চেষ্টা করবেন। ঈদ মোবারক।
------------------------------------------------------------------
নোট: শিরোনামটা আমারই একপোষ্টে ব্লগার বাউলদার কমেন্ট থেকে নেয়া।