somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম নিয়ে অনেকের অনেক চুলকানি- কিন্তু কেনো?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইদানিং নাস্তিকদের স্মৃতিচারণ প্রতিযোগিতা চলছে, সবাই কিছু কিছু প্রকাশ করছে নিজের অনুভব, অবিশ্বাস এবং বিশ্বাসহীনতার স্মৃতিকথা লিখছে, ব্লগে কে কি লিখবে এটা ঠিক করবার দায়িত্ব আমার না, এমন কি ব্লগ হিসেবে কি লেখা উচিত সেটা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান দেওয়ার অনুচিত আগ্রহও কখনও বোধ করি নি।

নাস্তিকদের ধর্মত্যাগের কারণ কিংবা স্মৃতিচারণের প্রতিক্রিয়ায় অনেক মুসলিমই বলতে পারছে না কেনো আমি মুসলিম হলাম, অধিকাংশ মানুষই জন্মসূত্রে মুসলিম বাংলাদেশে। সুতরাং তাদের কাছে কেনো আমি মুসলিম হলামের উত্তর এক কথায় দিয়ে ফেলা যায়, আমার বাবা মা মুসলিম ছিলো, আমি পারিবারিক সূত্রে মুসলিম। এখানে তেমন জানানোর কিছু নেই, হয়তো অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে, আমার পরিচিত একজন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে প্রেমে পড়ে, মানে মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম করবার সুবাদে তার ইসলাম গ্রহন,

প্রেমজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর হয়তো ১০ জন করে মানুষ মুসলিম হয়, তাদের স্মৃতিচারণমূলক লেখা, কেনো আমি মুসলিম হলাম প্রকাশিত হলে দেখা যাবে ইসলামে বিবাহ সংক্রান্ত নীতিমালা কঠোর না হলে অন্তত তারা মুসলিম হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পেতেন না।

মুসলিম মেয়েদের অন্য কোনো ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ। এবং মুসলিম পুরুষেরা শুধুমাত্র আহলে কেতাব ব্যতিত অন্য কোনো ধর্মাবলম্বী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে না।

সুতরাং কোনো হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করবার পরে সেই বিয়ের সন্তানের মুসলিম আইনে সম্পদের উত্তরাধিকারী করতে হলেও সেই মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে সম্পদের অধিকার দিতে হয়।

যদি কোনো হিন্দু ছেলে কোনো মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়ে এবং সেটা যদি বাংলাদেশে ঘটে তবে মুসলিম আইনে বৈধ বিবাহ করিতে হইলে সেই হিন্দু ছেলেটিকে ধর্মান্তরিত হতে হবে, একই ঘটনা ঘটবে যদি পুরুষ কিংবা প্রেমিক খ্রীষ্টান কিংবা বৌদ্ধ কিংবা খাসিয়া মং ম্রো হয়।

তবে তারা যদি নিজের ধর্মান্তরিত হওয়ার গল্প লিখে সেটাও মুসলিমদের বদ্ধ একটা গণ্ডী হিসেবে পরিগনিত করবে।
এর বাইরে অন্য কোনো ঐশী দার্শণিক অনুপ্রেরণায় ইসলাম ধর্ম গ্রহনের গল্প থাকলে সেটা আমি পড়তে আগ্রহী তবে, তেমন লেখা ব্লগে আসে না।

ধর্ম নিয়া ফালাফালি করণে খায়েশ আদতে নাস্তিকগো যেমন আছে, আস্তিকগো আরও বেশী আছে, ধর্ম নিয়া চুলকানি যেমন নাস্তিকগো আছে, তার চেয়ে বেশী আছে আস্তিকগো ভিতরে।

বাংলাদেশে, যারা বাঙলা ভাষায় কথা বলে এবং যারা বাঙলা ভাষায় ব্লগিং করে, দেশের জনসংখ্যার ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে হলেও এদের অধিকাংশই মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিবার থেকেই উঠে আসা। তাদের নিত্য দিনের সংস্কৃতি চর্চায় ইসলাম ধর্মের প্রভাব এবং এর বিরোধ থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা।

এর ভিতরে কিছু মানুষ আছে যারা অতিমাত্রায় ইসলামী মনোভাবের, যাদের ইসলাম ফেটিশ আছে, ভগাঙ্কুর আর লিঙ্গাগ্রে সবচেয়ে বেশী স্পর্শ্বকাতর স্নায়ুমুখ থাকে, আর দর্শনজনিত কোনো অবয়ব যদি থাকে তবে সেখানে সবচেয়ে বেশী স্পর্শ্বকাতর শব্দ হলো ধর্ম। সুতরাং ভাগাঙ্কুর আর লিঙ্গাগ্র ঘষলে যেমন উত্তেজিত হয় মানুষ, ধর্ম নিয়া কথা বললেও অনেকে উত্তেজিত হয়ে যায়। তবে সবাই একই নিয়মে শরীয়ত মেনে উত্তেজনা প্রশমিত করে না, কেউ কি বোর্ড ঘষে শান্তি পায়, কেউ তলোয়ার নিয়ে জবাই করে শান্তি পায়।

কেউ এই আচরণের নিন্দা করে শান্তি পায়, কেউ সক্রিয় প্রতিরোধ করে। এর বাইরে তেমন কিছুই ঘটে না, বাস্তবের পৃথিবীতে কিংবা ভার্চুয়াল জগতে, কোথাও এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটে না আদতে।

আমার লেখা মন্তব্য কিংবা এই লেখা সবই একই উত্তেজনার প্রকাশ। প্রশ্নটা যখন উঠে কেনো সামহোয়্যার ইন ব্লগের নাস্তিকগণ ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করে, কেনো ইসলামকে খারাপ বলে, তখন যদি বাংলাদেশের ধর্মীয় জনসংখ্যা বিন্যাস সামনে রাখা যায় তাহলে ভালো হয়, কারণ ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির ভেতরেই বেড়ে উঠছে ৮০ শতাংশ মানুষ। তাদের ধর্ম ত্যাগ মূলত ইসলাম ধর্ম ত্যাগ। তারা ইসলামকে কেনো ত্যাগ করলো এটা প্রত্যেক ধর্মত্যাগী নিজের অবস্থান থেকে দেখে। যেহেতু এদের অধিকাংশই মুসলিম তাই তারা ইসলাম ত্যাগ করে।

অবশ্য এস্কিমোর অহেতুক চুলকানী দেখে সন্দেহ জাগে আমার, এস্কিমো কি চায়? সবাই ইসলাম ত্যাগ করে অন্য কোনো ধর্ম গ্রহন করবে , এরপরে সেই ধর্ম ত্যাগ করবে? তারপর বলবে সেই ধর্ম খারাপ তাই ছেড়ে দিয়ে নাস্তিক হলাম?

কোনো ধর্ম গ্রহন করা, বিশেষত যদি সেটা ধর্মান্তরিত হওয়ার মতো বিষয় হয় তবে সেটা কোনো একটা অনুপ্রেরণা থেকেই ঘটে, সুতরাং যেই মানুষটা ইসলাম ছেড়ে খ্রীষ্টান হবে, কিংবা বৌদ্ধ হবে, কিংবা বাহাই হবে, ইহুদি কিংবা হিন্দু হওয়া যেহেতু সম্ভব নয়, সুতরাং এই দুই ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য যেকোনো ধর্ম গ্রহন করতে হলে তাকে যৌক্তিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই ধর্ম ত্যাগ করতে হয়।

জন্মসূত্রে পাওয়া ধর্ম পালন করা সহজ, নিজের সংস্কৃতি কিংবা বিশ্বাসের ধরণ ও চর্চা বদলানোর কোনো প্রয়োজন পড়ে না এটাতে। কিন্তু কোনো একটা ধর্ম ত্যাগ করে নতুন কোনো ধর্মের আশ্রয় গ্রহন করতে হলে অনেক ভাবনা চিন্তা করে কেনো নিজের জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্ম পরিত্যাজ্য এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়।

একই রকম ভাবে সত্য, যদি কেউ কোনো ধর্মের আশ্রয় গ্রহন করতে না চেয়ে নাস্তিক হতে চায়, কিংবা কেউ যদি নাস্তিক হতে চায়, সব সময় এটা সত্য নয় যে তাকে সকল ধর্ম ছেড়ে আসতে হবে, কিংবা নাস্তিক হওয়ার আগে তাকে পৃথিবীর প্রচলিত অনেকগুলো ধর্ম পালন করে সিদ্ধান্তে আসতে হবে আদতে ধর্ম বিষয়টাই খারাপ, সুতরাং নাস্তিক হয়ে যাওয়া ভালো।

ধর্মত্যাগী হওয়া, নাস্তিক হওয়া কিংবা নতুন কোনো ধর্ম গ্রহন কিংবা ধর্ম বর্জনের বিষয়টা নিয়ে চুলকানির কিছু নাই। কিংবা ধর্ম নামক শব্দ এবং নাস্তিক নামক শব্দ দেখে কারো ভগাঙ্কুর কিংবা লিঙ্গাগ্রে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার ধারাবাহিক ঘটনাগুলোতে সব সময়ই এস্কিমোর নামটা দেখা যায়।


এস্কিমোর যদি নিজস্ব কোনো প্রদাহ থাকে সেটা থাকুক, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, কিন্তু উন্মুক্ত দাদ খুঁজলির ছবি শুধুমাত্র যারা দাদ খুজলি চুলকানির মলম বিক্রী করে তাদের ভ্যান আর বিজ্ঞাপনেই শোভা পায়। কিন্তু চেতনার দাদ খুঁজলি এইসব উন্মুক্ত প্রদর্শনীর অর্থ আমি বুঝি না।

কেউ যদি নাস্তিক হয় হোক, কারো আস্তিকতা নিয়ে আমার চুলকানী নেই মোটেও, কেনো কোনো মানুষ ধর্ম পালন করে, কেনো মানুষ স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে না, ধরে ধরে মসজিদের সামনে বয়ান দিয়ে ঘুরছি না আমি,

যদি কেউ এসে বলে আমি কেনো মুসলিম হলাম, সেটা নিয়েও আমার যেমন চুলকানি হওয়া অনুচিত একটি দাদ খুঁজলিজনিত প্রদাহ বিবেচিত হতে পারে, তেমন কেনো আমি নাস্তিক হলাম এই রকম পোষ্ট পড়ে এস্কিমোর দাদ খুঁজলিজনিত প্রদাহ এবং একই সাথে সমমনা অনেকের সমর্থন এবং এস্কিমোর ইতরামির পরেও বয়সজনিত ভারিক্কি না আসায় বিব্রতও হলাম না।

এস্কিমোর ইতরামি এবং চুলকানি বিষয়টা আমার বোধগম্য হয় নি, নাস্তিকের ধর্মকথাকে Click This Link

এই পোষ্টের মন্তব্যে যেভাবে বললো এস্কিমো,

লেখক বলেছেন: আমিতো আপনার প্রোফাইলের ছবি দেখে ভাবতাম আপনিই আরজ আলি মাতুব্বর। কবর থেকে উঠে এসেছেন।

আপনি তাইলে আরজ আলি মাতুব্বর না! তাইলে এই ছবি ব্যবহার করেন কেন? এইটা কি একধরনের পুজার মতো হয়ে গেলনা?

( ধন্যবাদ, লিংকের জন্যে, অবশ্যই পড়বো)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯
লেখক বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো দেখলাম - আপনি তো আস্তিকদের চেয়ে বেশী ভক্তির সাথে আরজ আলির বই থেকে কপিপেস্ট করেছেন।

আপনার মূল্যায়ন কোথায়?

-----------------------------------------------------------------------------

এই ইতরামো বিষয়টার জন্য বিন্দুমাত্র লজ্জিত না হয়ে কিংবা দুঃখ প্রকাশ না করে এস্কিমো বোধ হয় প্রমাণ করতে চাইলেন চুলকানি বিষয়টা আদতে খারাপ নয়, বরং সবার সামনে হোগার কাপড় তুলে চেতনার পশ্চাতদেশে হওয়া দাদ চুলকানো খারাপ নয়। এবং একই সাথে যখন শোভনতার বানী শোনায় এস্কিমো তখন তাকে বলতে পারি না, চুলকানির মলমের দাম খুব বেশি হলে ৫ টাকা।
৫৭টি মন্তব্য ৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিমকে বিভিন্ন নিয়মে ইবাদত করতে কে বলেছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৭



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ার রক্তচোখ: ক্রোধের নগর

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫২


ষড়ঋপু সিরিজের দ্বিতীয় কাহিনী ”ক্রোধ”

রাত্রি নেমেছে শহরের উপর, কিন্তু তিমির কেবল আকাশে নয়—সে বসেছে মানুষের শিরায়, দৃষ্টিতে, শ্বাসে। পুরনো শহরের এক প্রান্তে, যেখানে ইট ভেঙে পড়ে আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রিয় কন্যা আমার- ৭৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২



প্রিয় কন্যা আমার-
ফারাজা, তুমি কি শুরু করেছো- আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! রাতে তুমি ঘুমানোর আগে ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতে যাও। প্রতিদিন তোমার মুখে ঘুমের দোয়া শুনতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নববর্ষের শোভাযাত্রা নাম বদল করছি না, পুরোনো নাম–ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি: ঢাবি উপাচার্য

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪



পয়লা বৈশাখে ফি বছর চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×