
সকাল ৭টা বাজে বাজে..এমন সময় মোবাইল বাইজা উঠলো! রিসিভ করতেই সোহেলের গলা, কিরে মামা কই তুই? সে কখন থেকে ফোন করতেছি,, রিসিভ করছ না কেন. একটু বিরক্ত হইয়া কইলাম এই সাত সকালে কই হমু? তা হঠাৎ এতো সকালে কি মনে কইরা! মামা আজকে ডেটিংয়ে যামু!!! কথাটা শুইনা যে ঘুম ছিল চোখে এক মিনিটে হাওয়া হয়ে গেল, কয়কি হালায় ডিটিংয়ে যাইবো,

একটু ভাব লইয়া কইলাম এই আজাইরা খবর হুনানের লাইগা এতো সকালে ফোন করছত? আরে না তুই আমার সাথে যাইবি. আমি তোর সাথে যামু মানে?

আরে তোরে টাঙ্কি মারতে কইতাছে কে? আমার আশেপাশে একটু থাকবি ভয় লাগে ফাস্ট টাইম বুঝছি তো...
তুই না পাতিলীগের নেতা ভয় কিয়ের? আরে নেতাগিরি কি সব জায়গায় চলে নাকি! এতো কাহিনী করিছ না যা কইছি তা হুন, ৪টা বাজে চায়ের দোকানের সামনে আইবি,
আমি আর কথা বাড়াইলাম না। কেন জানি মনে হইতাছে বিনোদন পামু তাই রাজি হয়ে গেলাম...

চায়ের দোকানে বইসা চা খাইতে ছিলাম সোহেল আইসা হাজির, সাধা প্যান্ট আর কালা সার্ট, পুরাই ফিল্মের হিরু! কইলাম মামা ঝাক্কাস লাগতাছে তোরে! দে এবার চায়ের বিলদে। রিক্সায় উইঠা যাত্রা শুরু করলাম..ওর হাতে খেয়াল করলাম একটা কাগজের প্যাকেট! বললাম ঐটায় কি? সোহেল একটু লাজুক হয়ে কাছুমাছু করিয়া কইলো প্যাকেটে আঙ্গুর, কমলা আর পেপে!! হুনিয়া তো পুরাই হা হা প গে....




কইলাম হাসপাতালে রুগী দেখতে যাইতাছি নাকি? যে ফলমূল লইলি! তার যুক্তি হইলো খালি হাতে যাওয়াটা কেমন কেমন লাগে তাই এগুলা কিনে রাখছে। সব বুঝলাম তয় দুনিয়ায় এতো ফল থাকতে পেপে নিলি কোনটা বুইঝা? তার বদলে দেড় কেজী শসা আর এক কেজী বেগুন নিলেই পারতি! তার অন্য কামে আসতো....

কথাটা শুইনা বন্ধু আমার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো! চুপ কর বেদ্দপ! আর কিছু কইলে লাথি মাইরা রিক্সা থাইকা ফালাই দিমু তোরে,


ডেটিং প্লেস ধানমন্ডি লেক, রিক্সা কাছাকাছি চলে আসছে, সোহেল মোবাইলে ফোন দিল মেয়েটারে, কই তুমি জানু! কি পরে আসছো? আমি তোমার কথা মতো পরে আসছি,,

কি হলুদ সেলোয়ার কামিজ? আচ্ছা ঐখানেই দাঁড়াও আসতেছি...
লেকে নামিলাম আশেপাশে দেখিতে ছিলাম হলুদ জার্সি পরা কেউ দাঁড়াইয়া আছে নাকি! একটু আকটু এই দিক ঐদিক খুঁজা খুঁজি করিয়া অবশেষে হলুদ জার্সি পরা পেলেকে দেখিতে পাইলাম।

সে আমারে এই খানেই থাকতে কইলো! তারা দেখা করিয়া কথা কইতাছে, আমি বসিয়া বসিয়া তাহা দিককে পাহারা দিতাছি.. এক পর্যায়ে মাইয়া উইঠা খাঁড়াইলো পাশে একটা রিক্সায় উইঠা বইলো আমি উকি ঝুঁকি মারিতেই দেখি আমার বন্ধু তার সাথে আনা ফলমূল খাওয়াইতাছে ললনাকে আহা কি রোমান্টিক সিন....... :>
অলমোস্ট ৩০ মিনিট পর সোহেল আসিল, একটু বিষন্ন দেখাইতেছিল। রমনী বিদায় নিয়া প্রস্থান করিল, রিক্সায় উঠিয়াই জিজ্ঞেস করিলাম, কি মামা কিছু দিছত নাকি?


ভালবাসায় মানুষরে বোকা হইতে শুনছি এইটা দেখি গর্দভ হয়ে গেল!! কইলাম ব্যাটা রাম ছাগল ঐ মাইয়া তোরে বাঁশ দিয়া ফুটছে!! ফোন দিয়া দেখ ধরে নাকি?? হে হে হাছাই ফোন বন্ধ।

অতঃপর বন্ধু আমার ভাঙ্গা হৃদয় নিয়া ফিরিয়া আসিলো।



