আমার বেশির ভাগ প্রিয়জন যেহেতু ঢাকায় আর সবারই অফিস বন্ধ,তাই ঈদের ছুটিতে সবাই আনন্দিত,শুধু একজন---সে আমি।

"ঘুমায়েছে চাষা ঘুমায়েছে পৃথিবী,---তবু আমি পেয়েছি যে টের...কার যেন দুটি চোখে নাই এ ঘুমের কোনো স্বাদ"
এবারের ঈদটা আমাকে অফিসে কাটাতে হবে,ভয়ংকর অপরাধের কারনে। বাসা ঢাকা আর ডিপার্টমেন্ট টাও বাদ সেধেছে---কাস্টমার কেয়ারের সাথে জড়িত যে (ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক)।
তাই আমি সব পেয়েও আজ না পাওয়ার বেদনায় দগ্ধ।যেমন কালকে আমি নিজে দগ্ধ করেছি দুই দুইটা হৃদয়.......গাউসিয়া-নিউমার্কেটের ওভার ব্রীজের নিচে।
মেয়েদের প্রচন্ড ভীড়।আমি বরাবরই মেয়েদের সম্মান করে চলি।আমার এক বগোলে স্যান্ডেল আর একটায় প্যান্ট।বৃষ্টি পড়ছে,ভীড় আরও বেশি, সবাই লাইন ধরে ধরে যাচ্ছে,আমার ভাই পিছনে ছিল-আমি একটা বাচ্চা কোলে মহিলাকে সাইড দিতে যেয়ে পিছিয়ে পড়ি,লক্ষ্য করলাম আমার সামনে একটা মেয়ে পেছনে আর একজন আর দুইপাশে দুইজন ছেলে, ডান পাশে ভদ্র চেহারার একজন আর বাম পাশে একটু চোয়াড়ে,তাই বামদিকেই সতর্ক দৃষ্টিছিল,নরমাল একটা প্যান্ট পড়ছি,দুই পকেটে দুইটা মোবাইল...বোঝা যাচ্ছে,হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার বাম পকেটে হাতের স্পর্শ.....সাথে সাথে হাতটা ধোরে চোয়াড়া চেহারার ছেলেটাকে ধাক্কা দিলাম,আর ডান পকেটে হাত দিয়ে দেখি নাই....ভাগ্য ভাল পাশের ভদ্র চেহারার ছেলেটা পকেট থেকে নেয়ার সময় কী প্যাডে চাপ লেগে স্ক্রীন অন হয়ে যায়,আমি দেখতে পেয়ে ওর পায়ে একটা লাথি দেই ছেলেটা হাত থেকে মোবাইলটা ফেলে দেয়,আমি কুড়িয়ে নিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলি সাবধান হতে।দুইটা ছেলের দিকে তাকালাম,মুখ দুটো ছাই বর্ণ। এভাবে ওদের হাত থেকে শিকার হাত ছাড়া হল বলে,ওদের ব্যাপারে আর উচ্চবাচ্য করলাম না,এসব জায়গায় সবই ওদের লোক,দেখা যেত আমাকেই ওরা চোর বানিয়ে বসে আছে,তাই ওদের কালো মুখ দেখেই শান্তি পেলাম।কিন্তু অফিসে এসে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে দেখি সেই পকেটমারের মুখ।ভাবলাম নিজের একটা ছবি তুলি।
একটা পোস্ট করি,শিরোনাম থাকবে আমি অফিসে,কিন্তু খুবই দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম,ছবিতে আমি হাসতে পারছি না,তাই বাধ্য হয়ে ছবি তোলার সময় কখনো আমি যা করি না তাই করলাম---মুখ ঢেকে দিলাম।
যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করছেন তাদের জন্য শুভ কামনা---আর যারা ঢাকার ভেতর করছেন তাদের জন্যও সাথে সাবধান বাণীঃ সতর্ক থাকুন।
আর যারা অফিসে ঈদ করছেন তাদের জন্য মঙ্গল কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩