somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাডেটীয় প্রেমের গল্প

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেম জিনিসটা অনেক আবেগের,ভালবাসার।কিন্তু ক্যাডেটদের প্রেমগুলো হচ্ছে এডভেঞ্চারপূর্ণ,রহস্যময় আর রয়েছে বিশাল সাহসিকতা।
আজকে এইরকম এক প্রেমিক পুরুষের কাহিনী বলছি।

ক্লাস নাইনের সামার ভ্যাকেশানই রক্তিমের আকাশজুড়ে একটি পাখির আনাগোনা। মেয়েটির নাম প্রভা।প্রেমের শুরু এখানেই।কিন্তু ভ্যাকেশান শেষ মানে তখন সব শেষ। ক্যাডেট কলেজের এই ক্লাস নাইনের সময়টা তার জানালার পাশে তাকিয়েই কেটে গিয়েছে।
ক্লাস টেন।মোবাইল আনার পারমিশন নেই।তো কি!!! প্রেম মানে না বাধা।মোবাইল এবার নিতেই হবে।কিন্তু মেয়েটি একটু ভয় পায়।ওর বোধ হয় আরকেটি বছর লাগবে। তাতে কি।কল ডেট তো আছেই। কল ডেট আসার দিন রক্তিমকে দেখতাম প্রেপ শেএষে সবার আগে হাউসে দৌড়। ভাইয়ারা ধরত।তো!!!!
প্রেমের কাছে পানিশমেন্ট কিছুই না।শুধু রক্তিম না।আরো অনেকেই আগে আগে দৌড়াত। ভাইয়ারা আরো ভাল দৌড়ায়।তারা আরো আগে যেত। বোঝাই যাচ্ছে,কাহিনী আছে।
একদিনের ঘটনা।
এস এস সি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে আবার ফোন দেওয়া হয়।ছেলেটি বাবা মাকে ফোন দেওয়ার পরেই চলে গেল দূরদেশে।ওই দেশ আবার রুমের খাটের নিচে। প্রেম চলছে। হঠাৎ ডিউটি মাস্টার আসছে। ছেলেটির কাছে যাবার আগেই ডিউটি মাস্টার রুমের ভেতর। কিছু একটার শব্দ পাচ্ছেন তিনি। কথা না হলেও ইচিকিচিমিচিমিচি এইরকম। আসলে খাটের নিচে এইভাবেই চলে।তো ঘটনা যা দাড়ালো স্যার হাউস বেয়ারাকে নিয়ে এসে ইদুর সরাতে বলল। কি আজে বাজে শব্দ।হঠাৎ ইদুরের বদলে জ্যান্ত মানুষ বের হয়ে আসল। বের হয়েই বলে কিনা,
স্যার খাটের নিচে কিছু একটা ছিল। স্যারও বলে হুম। কিন্তু শব্দ চলছে।এইবার অন্যপাশে।রুমের আরেক কোনার খাটের পাশে যেতেই ওইখান থেকে আরো একজন বের হয়ে আসল।
বলে জ্বী স্যার কিছু একটা ছিল।
এইভাবেই চলছে দিনকাল।
মাঝখানে স্যারদের কাছে ধরা খেয়ে কিছু আদান প্রদান তো হয়েছেই। তখন দেখা যেত রক্তিমের কোথাও মনোযোগ নেই। না ক্লাসে, না মাঠে। অবশ্য হাউস চেকের সময় আরো অনেক রক্তিমকেই গেইমস টাইমে একসাথে রাস্তা দিয়ে হাটতে দেখা যেত।
এখন ক্লাস টুয়েলভ এর কাহিনী বলি।এখন প্রভার কাছেও ফোন আছে।
আরেকদিনের ঘটনা।
ইন্সপেকশন চলতেছে। তো এখন মোবাইল তো লুকাইতে হবে। ফর্মেও রাখতে ভুলে গেছে ও। আবার প্রভাকে ফোন করে জানাতে হবে ২ দিন ফোন দিতে পারবে না। কলেজের অবস্থা গরম।
এখন কি করা। শীতকাল চলতেছে।তাই ব্লেজার পরে ইন্সপেকশন। ব্লেজার এর পকেটে আশা করি কেও হাত দিবে না।সিনিয়র ক্লাস বলে কথা।
স্যার ম্যাডাম এসে গেছে রুমে। আত্মা কাপছে। চিন্তা হচ্ছে। মোবাইলটা কি সাইলেন্ট করা!!! একবার চেক করব!!
কেমনে? সবাই তো রুমে।কেও হাত দিবে না তো। আরে ওই স্যারটা বুকের দিকে তাকায় কেন। এক স্যার আইসা বলে,রক্তিম তোমাকে আজকে নার্ভাস লাগছে কেন!!!
না স্যার কিছু হয়নাই তো।
মনে মনে বলে, যায় না কেন!!!! এত কি দেখে।
একজন বলে রুমাল আছে সবার সাথে?
সবাই রুমাল দেখাও।
রুমাল তো বুকপকেটে!!! সাবধানে রুমাল বের করল সে। তারপর স্যাররা চলে গেল। উফ,অনেক বাচা বাচলাম। ইন্সপেকশন শেষ।
স্যাররা চলে যাচ্ছে। কতখন পরেই ভাইব্রেশন শুরু।এখন তো কল ধরা যাবে কোন সমস্যাই নেই। দুই দরজার চিপায় গেল ফোন ধরতে। আরেক ক্যাডেট কলেজের পোলাপান ফোন দিছে।ওইখানেও ইন্সপেকশন শেষ। কথা চলতেছে সেই।কি কি নিয়া ধরা খাইল। এইগুলা। কিন্তু আসল ধরা এইবার খাইল। রুমের ভেতর স্যার এবং স্যার সব দেখেছে।
স্যার আর রক্তিমের কথা চলছে।স্যার এর সাথে আমার জীবন জড়িত।কাউকে বইলেন না। আরো কত কি!!!!
কিন্তু লাভ হল না। কিছুক্ষন পর হাউসমাস্টার।রাতে ভি.পি।
পরদিন এডজুটেন্ট।
পরদিন প্রিন্সিপাল।
পরদিন আবার জানালার পাশে রক্তিম। তাকিয়ে দেখছে বাইরের আকাশ।
আরো অনেকেই আছে রক্তিমের সাথে।
কারণ মোবাইলটা যে শেয়ারে ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প বলেছে, বাংলাদেশ পুরোপুরি এনার্খীতে, তারা মাইনোরিটির উপর অত্যাচার করছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬



৩ দিন পরে আমেকিকার ভোট, সাড়ে ৬ কোটী মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫১ ভাগ। এই অবস্হায় সনাতনীদের দেওয়ালী উপক্ষে ট্রাম্প টুউট করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×