যখন জন্মেছিলাম তখন দেখিনি তোমায়
দেখেছি অন্যজনকে
যিনি ছিলেন আছেন এবং থাকবেন আজীবন আমার পাশে
যিনি দিয়ে গেছেন সবই যা চেয়েছি আমি তার কাছে
কিন্তু যেটা না চাওয়ার পাওনা সেটা আমি হারিয়েছি তার কাছ থেকে
সেটা হচ্ছে ভালবাসা।
হয়ত ভালবেসেছেন, অনেক বেসেছেন
কিন্তু বুঝিনি আমি
জানি,যদি সেই ভালবাসা বুঝতাম তাহলে তা সবচেয়ে দামি
খুজেছি সেই ভালবাসা যখন আমি বুঝতে শিখেছি
ততদিনে যে তাকে আমি ছেড়ে চলে এসেছি।
দেখেছি কত মানুষ,বেসেছি ভাল
খুঁজে বেরিয়েছি ভালবাসা
পেয়েছি কাউকে যদিও পারিনি কখনো
মেটাতে এ মনের আশা
যখন থেকে দেখেছি তোমায়
তখনি সময় নিয়ে
ছুটে যেতাম কিছু বলার জন্য
তোমায় কাছে পেয়ে
সময়ে অসময়ে আমি গিয়েছি তোমার কাছে
ভাবতাম এই ভালবাসা তোমার কাছেই আছে
আদর করিতে,অনেক করতে
আমিও ছাড়িনি পিছু
তোমার আদরে,অনেক আদরে বলেছে অনেক কিছু
বলেছে তোমায়
"আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, তুমি তো আমাকে ভালবাস না
বলিলে তুমি
"তোকে যে আমি কত ভালোবাসি তুই তা জানিস না"
বুঝলাম এই ভালবাসা যে অন্য জগতে আছে
যে জগতে আমি থাকব
শুধুই তোমার কাছে।
যখন বলিলাম কি ভালবাসার জন্য
তোমার কাছে আমি
তুমি তখনি বলিলে আমায়
এটা সবই পাগলামি
পাগল বলিলে,সবাইকে বলিলে
কিছুই বলিনি আমি
বলিলাম তোমায়
ভালবাসা জিনিসটাই যে পাগলামি..
যে যাকে যত বেশি ভালবাসে তার মধ্যে পাগলামি তত বেশি
ভালবাসা দিয়েছ,বাবার ভালবাসা
বাবা বলে ডাকি তোমায়
এই ভালবাসাকে ছেড়ে দিয়ে বাবা
বল যাব আজ কোথায়
যে ভালবাসার অভাব আজ পূরন করেছ তুমি
এই ভালবাসাকে রেখে
যে যেতে কখনো পারবোনা আমি
দিন আসে যায়,দিন বদলায়
তোমায় আমি ছেড়ে চলে যাব
খুব কষ্ট হচ্ছে বাবা,জানি না
কবে তোমার দেখা পাব
আমি জানি আমি সময় পেলেই আসব তোমার কাছে
তুমি বললে জীবন বড় কঠিন
যখন তখন কি আসা যায়
আমি বললাম বাবা,আমি আসব
কারন আমি বাবা বলে ডেকেছি তোমায়
আমি প্রতিটি মুহূর্ত তোমায় খুব মিস করব বাবা
তোমায় অনেক ভালবাসি
তাইতো বাবা
তোমায় আমি অনেক মিস করব
এখন তো আমি সময় পেলেই
ছুটে যাই তোমার কাছে
পারব না বাবা,আর কয়দিন পরে
তোমার কাছে যেতে।
নিবে না বাবা?আমাকে তুমি তোমার বুকের মাঝে
আমি তো জানি আমার জন্য, জায়গা খালি আছে।
জড়ায়ে আমায় তোমার বুকে
দাও বাবা আশীর্বাদ
জানি ভালবাসা পেলেই আমার আর কিছু লাগবেনা
কারন তোমার কাছেই পাই আমি বাবার ভালবাসা।
আব্বু আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি....
....
.... জুবায়ের আল মাহমুদ শিশির
...
... উৎসর্গ
লেখাটি আমার এক শিক্ষককে নিয়ে লেখা ওনার নাম-
মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।
ওনাকেই লেখাটি উৎসর্গ করলাম।