ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ টেষ্টোস্টেরন (একটা উৎসৃঙ্খল হরমন)
অনেক দিন লেখিনা, লেখতে ইচ্ছা করে কিন্তু সময় পাই না, যাইহোক এখন বসন্ত কাল, একটা ভালোবাসার গল্পদিয়ে শুরুকরা যাক,
বছর কয়েক আগে ডিসকভারি চ্যানেল দেখছিলাম, দিন ক্ষন মনে নাই, শুধু এই টুকু মনে করতে পারি যে তখনো চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। ডিসকভারি চ্যানেল, বৃটিস মহিলা সাইকেলিস্ট এ্যনা আর তার ট্রেইনার টমের প্রেম কাহিনী দেখাচ্ছিল। প্রেমকাহিনীটা অসাধারন কিছুই না, কিন্তু অসাধারন।
এ্যনার বয়স ৩৪ টমের ৪০, তাদের প্রেমের বয়স প্রায় ২০ বছর, আর তাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ বছর। তাদের সুখি সংসার, এ্যনা বহু জাতিয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছে, শির্ষ থাকবার স্বপ্ন পুরন না হলেও জিবনে অন্যকোন কিছুর অভাব নাই বললেই চলে। অসাধারন সুন্দরী এ্যনার আর টম দম্পতির জীবনে বর্তমানে একটাই সমস্যা, আর তা হল, তারা দির্ঘ ৬ বছর ধরে সন্তান নেবের চেষ্টা করবার পরেও তাদের কোন সন্তান হচ্ছে না!!! আশায় থাকতে থাকতে এক পর্যায় তারা ইনফারটিলিটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ হারভির সরনাপন্ন হলেন। ডাঃ হারভির সাথে প্রথম সাক্ষাতেই, যখন উনি কেইস হিস্টট্রি নিচ্ছিলেন, এ্যনা অদ্ভুদ এক তথ্য দিল। এ্যনার কোন দিন ঋতুস্রাব হয়নি!!! এমন কি এটা কি জিনিস এ্যনা জানেই না??!! বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে প্রাইমারি আ-মেনোরিয়া। কিন্তু এই ধরনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মায়েরা তাদের মেয়েদেরকে ১৫ কিংবা ১৬-১৭ বছর হতে না হতেই ডাক্টারের কাছে নিয়ে আসেন। ২৮ বছরের এক জন মেয়ে মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের তথ্য পাওয়া নিতান্তই অদ্ভূত। কিন্তু ঘটনা সত্যি!!!!
এ্যনার মা ছিল না। এক মাত্র মেয়ে বড় হয়েছে বাবার কাছে। শিশু কাল থেকেই সাইকেলিং তার নেশা, তার সাইকেলিং সঙ্গি বান্ধবিদেরও কঠর পরিশ্রম করার কারনে ওজনো ছিল কম, ফলে অনেকেরি ঋতুশ্রব শুরু হয়েছে দেরিতে, তাই বয়ঃসন্ধিতে তার বান্দবিদের কাছ থেকেও জানা হয়নি যে এইটা কি জিনিশ ???? আর বয়ঃসন্ধি কালেই টমের সাথে পরিচয়, ধ্যন জ্ঞান সব কিছুই তখন টমের দিকে, তখন থেকেই কাজ মানেই টম আর অবসর মানেই টম। আর টমের জিবনে প্রথম নারী এ্যনা। নারী কি জিনিশ সে সম্পর্কে সেও প্রায় মূর্খ!!! যাই হোক নাটক এখনো শুরুই হয়নি।
ডাঃ হারভি এ্যনার শারিরে বাহ্যিক কোন সমস্যাই পেলেন না। অন্য দশটা নারীর শরির যেমন হয় এ্যনা সেরকমই কিন্তু ডাঃ হারভি পরিক্ষা নিরিক্ষার এক পর্যায় পেটের আল্ট্রাসাউন্ডে দেখলেন যে এ্যনার কোন গর্ভাশয় নাই, আর ডিম্বাসয়ের মত যে বস্তু দুটি উপস্থিত তার আকৃতিও টেসস্টিসের মত। হারভির আর কিছু বুঝতে বাকি রইলনা। সাথে সাথে হারভি এ্যনার ক্রোমজম পরিক্ষা করতে দিলেন। এবং ক্রোমজমের পরিক্ষায় পরিস্কার প্রমান হয়েগেল যে এ্যনা একজন পুরুষ। কারন তার সেক্স ক্রোমজম “XY” ।
আসলেই এ্যনা বায়োলজিকাললি একজন পুরুষ কিন্তু বাস্তবতা হল যে, এ্যনা বাহ্যিক ভাবে এবং মানষিক ভাবে একজন পূর্ণাংগ নারী, যাতে কোন ক্ষুত নাই!!!!!!!
কিভাবে সম্ভব???
এ্যনার যে সমস্যটা ছিল তার নাম টেষ্টিকুলার ফেমিনাইজেশন সিন্ড্রম/এন্দ্রোজেন ইন্সেন্সিটিভিটি সিন্দ্রম। অর্থাৎ তার শরিরে টেষ্টোস্টেরন হরমন কাজ করার জন্য যে রিসেপ্টর গুলো প্রয়োজন পরে সেগুল অকেজো ছিল! ফলে এই হরমন এ্যনাকে কখন পুরুষবানাতে পারেনি। বা এই হরমনের কর্মক্ষমতার অভাবে এ্যনা হয়েগেছে নারী। আসলে গর্ভাবস্থায় পুরুষ আর নারীর যৌনাংগ গঠিত হয় মুলারিয়ান ডাক্ট নামক স্থান থেকে বা মুলারিয়ান ডাক্টের বিবর্তনের ফলে। একটা পর্যায় পর্যন্ত নারী পুরুষের যৌনাংগ একইরুপ থাকে, এর পর টেষ্টস্টেরনের প্রভাবে মুলারিয়ান ডাক্ট থেকে পুরুষের যৌনাংগ তৈরি হয়। আর কোন বায়োলজিকাল পুরুষ(XY) যদি টেষ্টস্টেরন ইন্সেন্সেটিভ হয় তাহলে তার যৌনাংগও হবে নারীর যৌনাঙ্গের মত!!
আল্লাহের আদেশে প্রকৃতির কি অদ্ভুদ আচরন!!!!
হলিউড অভিনেত্রি জেমি লিঃ বায়লজিকাললি XY
আমেরিকান গায়িকা ইডেন এট উডঃ বায়লজিকাললি XY
এই গল্প বলার উদ্দেশ্য টেষ্টোস্টেরনের মহত্ত্ব বুঝানো নয়, মানুষের সৃষ্টির বৈচিত্রের দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা। টেষ্টোস্টেরন কিন্তু পুরুষের একার সম্পদ নয়!! যেমন ইস্ট্রোজেনো নারীর একার সম্পদ নয়!! যদিয় অনেকেই তাই ভাবেন!!
নারীর চেয়ে পুরুষের রক্তে টেষ্টোস্টেরন ৭ থেকে ৮ গুন বেশী থাকে, পুরুষরা নারীদের চেয়ে ২০ গুন বেশী উৎপাদন করে, আবার বেশী খরচও করে!!! কিন্তু নারীরা এই হরমনের ক্রিয়ায় পুরুষের চেয়ে বেশী সংবেদনশীল!! কিন্তু নারী পুরুষের শারিরিক গঠন আর চারিত্রিক পার্থক্যের একটা প্রধান কারন এই টেষ্টোস্টেরন।
এই হরমনটি আমাদের জন্য যা যা করেঃ
আমরা যখন মায়ের পেটেঃ
মুলারিয়ান ডাক্ট হতে পুরুষের যৌনাংগ তৈরি হবে নাকি মহিলাদের মত যৌনাংগ গঠীত হবে তা নির্ধারন করে। তবে এই টেষ্টোস্টেরন মায়ের, সন্তানের নয়। অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় আপনার মায়ের টেষ্টোস্টেরন লেভেল আপনার যৌনাংগের সুগঠনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
আমরা যখন সদ্যভুমিষ্টঃ
জন্মের প্রথম সপ্তাহে কোন এক অজানা কারনে একজন ছেলে শিশুর টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এবং তা পরবর্তি ৪-৫ মাস পর্যন্ত যারি থাকে। ধারনা করা হয় এই সময় ছেলে বাচ্চাদের মস্তিষ্ককে পুরুষালি করাই টেষ্টোস্টেরনের এক মাত্র কাজ। ৬মাস বয়স থেকে বয়ঃ সন্ধি পর্যন্ত ছেলে বাচ্চাদের রক্তে টেষ্টোস্টেরন প্রায় পাওয়া যায়না বললেই চলে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মস্তিষ্ক পুরুষালি করনে মস্তিষ্কের উপর কিন্তু টেষ্টোস্টেরন কাজ করতে পারে না, কাজ করে ইস্ট্রোজেন!!! টেষ্টোস্টেরন এ্যরোম্যাটাইজড হয়ে ইস্ট্রজেনে পরিনত হয়, তারপর মস্তিষ্কের উপর কাজ করে।
আমরা যখন কিশোরঃ
কৈশরের যাবতিয় সকল দৈহিক ও মানষিক পরিবর্তিনের জন্য দায়ি এই হরমনটি। এই সব পরিবর্তনের বেশিরভাগই খুব মজার। এই নিয়ে নুতন কিছু না বল্লেও চলে। তবে ব্রোন অনেক সময়ই এই হরমনটির ব্যাল্যেন্সের উল্টাপাল্টার জন্য হয়ে থাকে। মোটের উপর আমাদের বালক থেকে পুরুষ হতে যা যা প্রয়োজন তার অনেকটাই এই হরমনের অবদান। যেমন আমাদের শুক্র কিট তৈরি করার ক্ষমতা বা আমাদের অধিক সমর্থবান শরির। বা যেমন মাংস পেশীর সুগঠন মেইল প্যাটার্ন ব্যাল্ডিং অর্থাৎ কিছুচুল পড়ে গিয়ে বালক থেকে পুরুষের মত চুলের আকৃতি পাওয়া।
কৈশর বা তারপরঃ পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের যৌন চাহিদা এই হরমনটির উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ যার এই হরমন বেশী তার যৌন ক্ষমতা ও চাহিদা বেশী। কিন্তু দুক্ষেঃর ব্যাপার হল যে পুরুষদের তা বেশী থাকে তাদের স্ত্রী ভিন্ন অন্য নারীতে আকৃষ্ট হবার সম্ভাবনা প্রবল, আর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও বেশী।
ভালোবাসা ও পিতৃত্তের সাথে এই হরমনের সম্পর্কঃ প্রেমে পড়লে পুরুষের টেষ্টোস্টেরন লেভেল কমে যায় আর নারীদের তা বেরে যায়। তবে এই ব্যাপারটা স্থায়ী কিছু না। দেখাযায় যে প্রথম ১-৩ বছর হানিমুন ফেজ এর পর এই পার্থক্য আর প্রতিয়মান হয় না। পিতৃত্তের প্রথমদিকেও পুরুষদের এই হরমনের মাত্রা কম থাকে। এটিও স্থায়ী নয়। এই সময় গুলোতে টেষ্টোস্টেরন এর মাত্রা কম থাকলে পারিবারিক সম্পর্ক গুল স্থায়ীত্তের দিকে মোড় নেয়। পুরুষের টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা তার প্রেমিকার উপস্থিতির উপর নির্ভর করে না। অর্থাৎ প্রেমিকা দূরে থাকলেও তার এই হরমনের মাত্রা একই থাকে, কিন্তু এক জন স্ত্রীর টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা তার প্রেমিকের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ প্রেমিক কাছে থাকলে তার টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে।
যৌন মিলনঃ মিলনের শেষদিকে যখন পুরুষের বির্য নারীর যোণিতে নিক্ষেপিত হয় তখন এই বির্যের টেষ্টোস্টেরন আর এন্ডোরফিন নারীর শরীরে টেষ্টোস্টেরন, এন্ডোরফিন, আর অক্সিটোসিনের মাত্রা প্রচন্ড রকমের বাড়িয়েদেয়, এবং তা নারীর অর্গাজমে সাহাজ্য করে। এই বির্যের নানা উপাদান নারীর প্রজনন তন্ত্রের সুস্বাস্থও রক্ষা করে। রক্তে পুরুষের টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা সাধারনত সকালবেলা বেশি থাকে।
পুরুষের যৌন উত্তেজনাঃ যৌন উত্তেজনা বেশী হয় যখন টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা বেশী থাকে। আবার টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে যারা যৌন মিলন কম করে!! রাতে যৌন মিলন করা এক জন পুরুষের সকাল বেলা টেষ্টস্টেরনের মাত্রা অনেক বেশি থাকবে। নারীদের সাথে সামান্য কথা বললেই পুরুষের এই হরমনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আবার স্বামীর টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা স্ত্রীর ঋতু চক্রের মাঝামাঝি সময় অনেক বেশী থাকে, কারন এই সময় স্ত্রীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম নির্গত হয়।
নারীর যৌন উত্তেজনাঃ যৌন মিলনের আগের তুলনায় যৌন মিলনের পরে নারীর টেষ্টোস্টেরনের মাত্রাবেশি থাকে, আর তার চেয় বেশি থাকে যদি যৌন মিলনের পর স্বামী কিছুক্ষন স্ত্রীর আলিঙ্গনে থাকে। ইংরেজীতে একটা কথা আছে, “Men love, to have sex. Women have sex, to be loved.” কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই যে নারীর এই হরমনের মাত্রা বেশি তার যৌন উত্তেজনা সহজ।
চারিত্রিক ধরনঃ টেষ্টোস্টেরন অধিক এমন পুরুষরা স্বার্থপর হবে।
আমাদের ঘিলুঃ টেষ্টোস্টেরনের কারনেই পুরুষের ঘিলু স্ত্রীর চেয়ে বড়। আবার কৈশরে টেষ্টোস্টেরন পুরুষকে করে অমনযোগী, আর বার্ধক্যে এর অভাবে পুরুষের ভুলে যাবার রোগ হয়!!
অপরাধ প্রবনতাঃ টেষ্টোস্টেরন তৈরি হবার পর শরীরে যখন ব্যাবহার না হয় তখন তা ইস্ট্রাডায়োল নামক হরমনে রুপান্তরিত হয়, এই ইস্ট্রাডাওল পুরুষদেরকে করে আক্রমনাত্তক ও অপরাধ প্রবন। অর্থাৎ এই অপরাধ প্রবনাতা টেষ্টোস্টেরন নয় ইস্ট্রাডাওলের মাত্রার উপর নির্ভর করে। তার মানে যদি এমন হয় যে কোন পুরুষ টেষ্টোস্টেরন তৈরি করে ঠিকি কিন্তু তার শরির তা ঠিক মত ব্যাবহার না করে ইস্ট্রাডায়োলে পরিনত করে, তবে সেই পুরুষ পুরুষালি না হয়েও হবে অতি মাত্রায় অপরাধ প্রবন। এই বার বুঝলেনতো যৌন উত্তেজনা বোধ করা আর ধর্ষন করার পার্থক্য???? আর বুঝলেনতো বেশীর ভাগ চোর,ডাকাত ছিনতাই কারি কেন দেখতে কাপুরুষোচিত??? বা পৌরষত্ত্ব মানেই যে গায়ের শক্তিদেখানোর জন্য পুরুষরা অপরাধ করে তা কিন্তু নয়।
কিছু কারন যা আপনার টেষ্টোস্টেরন বাড়ায়ঃ
১) ওজন কমলে টেষ্টোস্টেরন বাড়ে। তাই ওজন কমান
২) ভিটামিন ডি এর উৎপাদন বাড়ায়। তাই রোদে যান পরিশ্রম করুন
৩) জিঙ্ক আর ম্যাগ্নেসিয়াম এর অভাবে এর পরিমান কমে তাই বেশী কাচা মরিচ খান
৪) বয়স বাড়লে টেষ্টস্টেরন রক্তে বের হয় কম, তাই বয়স বৃদ্ধি বন্দ করুন।
৫) গুমে তা বারে তাই ঠিক মত ঘুমান।
৬) যে খাবার রক্তের গ্লুকজের মাত্রা খুব তারারাতি বাড়ায় তা রক্তের টেষ্টোস্টেরন কমায়। তাই এমন কিছু খাবেন না যা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা খুব তারাতারি বাড়ায়, যেমনঃ চিনি, মিষ্টি.........।
৭) প্রয়োজনীয় পরিমান মাংসের চর্বি খেতে হবে। অতিরিক্ত হইলে কিন্তু আবার ওজন বাড়বে!!!
৮) পরিশ্রম করলে যখন আপনার মাংস পেশীতে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয় তখন টেষ্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ে। এই জন্য প্রতিদিন এমন পরিমান পরিশ্রম করুন যাতে আপনার মাংস পেশীতে হাল্কা ব্যাথ্যা হয়!!!!
মানষিক চাপ ভারসেস টেষ্টোস্টেরনঃ
টেষ্টোস্টেরন হরমনের প্রতিদ্ধন্দি কোন হরমন শরীরে নাই, কিন্তু আপনি যখন মানষিক চাপা থাকেন, তখন কর্টিসল নামক একটি হরমন বৃদ্ধি পায় প্রচন্ড পরিমানে । এই কর্টিসল আপনাকে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে, এই হরমন টেষ্টোস্টেরনকে কাজ করতে দেয় না!!!! তাই যারা না না বিষয়ে মানষিক চাপে থাকেন তারা কেন অতি সুখের ব্যাপারটাতেও চাপের মধ্যে থাকেন তা বুঝতে নিশ্চই আর ব্যাক্ষ্যার দরকার নাই!!!!!!! তবে হা টেষ্টোস্টেরন যাদের বেশী তারা মানষিক চাপেও বেশী পড়েন। আর কর্টিসলের বৃদ্ধি তাদেরকেই বেশী হতাস করে!!!! একেই বলে, “The bigger they come, the harder they fall” কর্টিসল আপনাকে সারভাইবেলে সাহায্য করে, তাই আপনার অভ্যাস হয় বেশী বেশী খাওয়া, ফলে আপনি বেশী বেশী খান আর মোটা হন, আর আপনার টেষ্টোস্টেরন আরো কমে যায় !!!! কি প্যাচঁ!!!!!!!! প্রকৃতি আমাদের বানাইসে বইলাই এই অবস্থা!!! আল্লাহ বানাইলে এমন হইতনা!!!
দুশ্চিন্তা কমাতে প্রতিনিয়ত পড়তে পারেন, “ ওয়াস্তাগফিরুল্লা রাব্বি মিন কুল্লি যাম্বিউ ওয়াতুবুইলাইহি লাহাওলা ওয়ালা ক্বুয়য়াতা ইল্লা বিল্লা হিল আলিয়্যুল আযিম”
দৃষ্টি আকর্ষনঃ এই লেখায় অনেক সামাজিক, ধর্মিয় এবং সংসারিক চিন্তার খোরাক আছে আশা করি কাজে লাগবে।
শেষ কথাঃ টম আর এ্যনা এখনো দুজন দুজনার, কি বিচিত্র এই জীবন তাই না??? টমও মানতে রাজি নয় যে এ্যন পুরুষ আর এ্যনও মানতে রাজি নয় যে সে এক জন মহিলা নন।
আসসালামুয়ালাইকুম, ইনশাল্লাহ, পড়ে আবার কথা হবে।
ভালবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ BROKEN HEART
ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞানঃ ভালোবাসার ধাপ গুলো