কোটা কোন সম্মানের বিষয় নয়, এক ধরনের করুণা বা দয়া ভিক্ষা। এটা কখনো কারো অধিকার হতে পারে না। করুণা বরাবরই অসম্মানের বিষয়। আত্মসচেতন শিক্ষিত কোন মানুষই অসম্মানের কিছু গ্রহণ করে না, বরং কুণ্ঠিত হয়।
এদেশের প্রত্যেকটা মানুষই সমান অধিকার পাওয়ার যোগ্য নাগরিক। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে রাষ্ট্রের উচিৎ সকল কোটা বর্জন করে মেধাভিত্তিক যোগ্য লোককে যথাস্থানে অধিষ্ঠিত করা।
নারীশিক্ষা এগিয়ে চলেছে, এখন আর নারীরা শিক্ষায় পিছিয়ে নেই। অযথা কোটা রেখে তাঁদের করুণার পাত্র বানিয়ে ছোট করা অনুচিত।
আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্টি এখন পশ্চাদপদ নয়, উন্নয়নের ছোঁয়ায় শিক্ষার আলোকে তাঁরা যোগ্যতাবলে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
কোটা সংরক্ষণের জন্য এদেশ স্বাধীন করার যুদ্ধে নামেননি মুক্তিযোদ্ধারা। সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তিই ছিল মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণই যার দিক নির্দেশনা দেয়।
এসব করুণা দেখে মুক্তিযোদ্ধাগন লজ্জিত কুণ্ঠিত হচ্ছেন। কোটা ব্যবস্থা বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। তাহলেই লাখো শহিদের আত্মত্যাগ, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনবাজির মুক্তির সংগ্রাম সার্থকতা পাবে।
তাহলে কোন স্বার্থে কোটা?
মেধাবীদের দমিয়ে রেখে দেশকে পশ্চাদপদ করে পরদেশ নির্ভরশীলতা তো কাম্য নয়। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। কোটা বিরোধী আন্দোলনরত তরুণদের নিপীড়ন নির্যাতন নয়, বরং সংগত দাবী মেনে নিয়ে শিক্ষিত মেধাবী তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭