মাকে ভালবাসতে কোন দিবস লাগে না, নাড়ীর টানেই আসে সে ভালবাসা। নিঃস্বার্থ এই ভালবাসা।
মাকে ভালবাসি, বাবাকে ভালবাসি, ভালবাসি পুরো পরিবারকে। এ ভালবাসার কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি, আর আবেগে কিছুটা প্রকাশ হয়।
আমাদের গ্রামবাংলার কোন সন্তানই মাকে বা বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে না, ভালবাসি, এখানে লুকায়িত গভীর ভালবাসা। সারা জীবন মা বাবাকে নিয়েই একসাথে থাকে, এবং থাকতে চায়।
পশ্চিমের দেশগুলোতে মা বাবার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার কমতি নেই। কিন্তু সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটা সময় ওরা মা-বাবা থেকে দূরে সরে যায়। স্বাধীন জীবন যাপন করে। আর বিশেষ দিনে, বিশেষ উপলক্ষে উইশ করে কার্ড পাঠায়। ওদের উপলব্ধি কম, ভাষায় প্রকাশটা তাই একটু বেশী।
বাঙ্গালী জীবনযাপনে এসবের প্রয়োজন নেই। ওদের সব কিছুই আমাদের অনুসরণ করার আবশ্যকতা দেখি না। আত্মকেন্দ্রিকতা ওদের এতোটা সংকীর্ণ করে ফেলেছে যে, একান্নবর্তী পরিবার তো দূরের কথা, একক পরিবার কথাটাও বিস্মৃত হয়ে একক ব্যাক্তিতে এসে ঠেকেছে।
একান্নবর্তী পরিবার, পারিবারিক সম্প্রীতি আমাদের মৌলিক ঐতিহ্য। এটা যেন খর্ব নাহয়। যতটা সম্ভব শৈশবে যেমন মা-বাবা আমাদের কাছে জড়িয়ে রাখতেন, পরিণত বয়সে তাঁদেরকে আরো আপন করে কাছে জড়িয়ে রাখার চেষ্টাটাই উত্তম। সমৃদ্ধি চাই, আধুনিকতাও চাই, তবে শান্তিটা চাই সবার আগে।
তবু বলবো বিশেষ দিবসে সকল মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। আপনাদের আদরের সন্তানকে বাংলার কাদাজলে বাঙ্গালী মানুষ করে গড়ে তুলুন।
আমাদের কোন মা যেন অবহেলায় না থাকেন।
বিশ্বকে অনুসরণ করতে হবে না, বিশ্বই একসময় আমাদের অনুসরণ করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩১