|১|
সময় বলছে, বাবু অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি বললাম, আমাকে ভুল বুঝোনা লক্ষীটি। কিন্তু সে সাবেক প্রেমিকাগুলোর মতোই কঠিন। তবুও ঘন্টাখানেক অর্থহীন রোমান্স করছি বুড়ো বয়সী প্রেমের মতো। এমন সময় সাধু বাবার আগমন। বলল আসলে ব্যাপারটা মনের। ওর সাথে কিছু হবেনা তোর। ওকে ভুলে যা। ভালবাসা সবার জন্য না। আমি তিনবার না না না বলে ওকে বুকে টেনে নিলাম। অন্তঃপর একবুক নিশ্বাস নিয়ে তাকে টেবিলে রেখে বললাম, পাশ আমাকে করতেই হবে।
|২|
মুহাহা অট্টহসি দিয়ে ভিলেনের এন্ট্রি, সাথে গোলাগুলির শব্দ। আমার কাছে এসে বলল, অনেক তো রোমান্স করলি এখন প্রস্তুত হ যুদ্ধ করার জন্য। প্রেমিকার গোমড়া মুখের দিকে একবার, ফোনের দিকে একবার, এরকম চলল কিছুক্ষণ। ইতিমধ্যে চার্জ ৯৫%, যুদ্ধে যাবার উপযুক্ত সময়। তাই আর বিলম্ব না করে গেমসে ঠুকে গেলাম। যুদ্ধ শুরু, কিছুক্ষণ যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়ালাম। অনেক শত্রু বধ করলাম। কারো বুক একে47 দিয়ে ঝাঝরা করে দিছি, কারো মাখার খুলি স্নাইপার দিয়ে উড়িয়ে দিছি। যাইহোক, আমি একজন যোদ্ধা, শত্রুর রক্তে যুদ্ধক্ষেত্র রঞ্জিত করাই আমার কাজ।
|৩|
ইঠাৎ একটা বুলেট আমার হাতে এসে বিধলো। দেখি এক আবুল সামনে থেকে গুলি ছুড়ছে তৎক্ষণিক হেডসুট করে আবুলরে খেয়ে দিলাম। আর তখনি কানেকশন লস,ইন্টারনেট নাই। বিরক্তিপ্রকাশ করে ফোনটা বেডে ছুঁড়ে মারলাম। ফোনটা ফ্লোরে শব্দ করে পড়ল। দৌড়ে গিয়ে দেখলাম স্কিনটা ভেঙে গেল নাকি। না ঠিক আছে। এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল বাপ্পারাজ নাকি আজ কাল সেই রোমান্স করছে। পরীক্ষা কথা উঠলেই বলে 'খেলা হবে'।
|৪|
রোমান্সের কথা শুনেই আমার প্রেমিকার কথা মনে পড়লো। তার কাছে গেলাম। অনেক রাত হয়েছে। সবাই ঘুমিয়েছে। আমি ওর মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে সকাল হয়ে গেল। ঘুম ঘুম চোখে পরীক্ষার হলে গেলাম। পরীক্ষা শেষ করে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। এর মাঝে স্বপ্ন দেখলাম প্রেমিকা বলল "ব্রেকআপ"। ঘুম ভেঙে গেল। ফোনটা হাতে নিয়ে মেইল চেক করছি। এক সাহিত্যিক বন্ধু সমুদ্রপাড়ে থাকে সে মেইল করে বলেছে, "এবার সময় পেলে সমুদ্রজল ছু্ঁয়ে যাস"
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮