আমার শপিং করতে আধ ঘন্টা লাগে। এইবারের ঈদে জীবনে প্রথম বারের মত বউ যোগ হওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন মার্কেট ঘুরার পরও শপিং শেষ হয় নাই ! মৌচাক, এ্যালিফেন্ট রোড থেকে শপিং করতে করতে জঘন্যতম মার্কেট গাউছিয়া-য় আসতে হয়েছে কেনাকাটা করতে। মৌচাক মাকের্টে খুব সম্ভবত ছোট বেলায় একটাবার গেছিলাম আর বিয়া-সাদীর পর এইবার গেলাম। ছোটখাটো গাউছিয়া টাইপ ভেজাইলা মার্কেট। কখন যে আমার মাথা ঘুরা শুরু হইছে টের পাই নাই। চোখের সামনে ১/২ জন মহিলা-কে দেখলাম মার্কেট করতে করতে জ্ঞান হারাইতে। বউ-রে দেখাইলাম আর বললাম- দেখো! শিখো!! আর মার্কেটে আসবা? যাই হোক, শ-খানেক দোকান ঘুরে অবশেষে কেনা শেষ হইলো!
এরপর রওনা দিলাম এ্যালিফেন্ট রোডে। আমি সবসময় যে দোকান থেকে কিনি সেইখানে গেলাম। পুরা দোকান একটা চক্কর দিয়ে শাট-প্যান্ট পিস কেনা শেষ। এদিকে ইফতারির সময় হয়ে গেছে। ভালো কোন রেস্ট্রুরেন্টে ইফতারি করবো ভেবেছিলাম। কিন্তু কোথাও কোন জায়গা নাই। শত শত মানুষ রাস্তায় চেয়ার পেতে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা মার্কেটের সিড়িতে বসে ইফতারির জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা আলপনা প্লাজার পাশে রাস্তার উপরে দাড়িয়ে পরলাম। আর সময় নাই এখনি আযান দিয়ে দিবে। পানি দিয়ে ইফতারি শুরু করালাম। এরপর, ঈগলু আইসক্রীমের গাড়ী থেকে দুটো কোন নিলাম। আইসক্রীমের গায়ে কামড় বসাচ্ছি আর ভাবছি এই প্রথম আইসক্রীম দিয়ে ইফতারী করলাম।
এবার, হাটা শুরু করলাম গাউছিয়া মার্কেটের দিকে। পথে লাটিমি থেকে দুটো শর্মা খেয়ে নিলাম আর বউ-কে গাউছিয়া মার্কেটের না যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে লাগলাম।
ঈদ শপিং স্মৃতি : ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ইং, শুক্রবার।