কয়েকদিন যাবৎ ব্লগে স্টিকী পোস্ট হিসেবে ঝুলন্ত নানা ব্লগারের নানামুখী কমেন্টের চাপে দুলন্ত "সামহোয়্যার ইন ব্লগ বন্ধের দাবী: কার স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার আমরা?" শিরোনামের পোস্ট ও ব্লগারদের মন্তব্যে কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। সেই রাতে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে 'দাঁড়িপাল্লা' নামক কুৎসিত মানসিকতার ব্লগার (এই বিশেষণ না দিয়ে কোন উপায় নেই) যে জঘন্য পোস্টখানা দিয়েছিলো, তার প্রেক্ষাপটে সেই রাত থেকে আজ অবধি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোস্ট আসছে। বর্তমানে ব্লগার দুর্যোধনের স্টিকী পোস্টখানায় সেই রাতের ঘটনাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দুর্যোধনের মতে, এটা 'জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র'। আচ্ছা মেনে নিলাম। তিনি আরও বলেছেন 'এটা পূর্বপরিকল্পিত'। তাও মেনে নিলাম। কিন্তু তিনিই আবার দাঁড়িপাল্লাকে 'জামাত শিবির' বলে মানতে নারাজ। তাহলে কি দাঁড়ালো? দূর্যোধনের ব্লগ পড়ার পরে আমারতো জানা, আরিল থেকে শুরু করে দাঁড়িপাল্লা ও স্বয়ং দূর্যোধনকেও ছাগু মনে হতে শুরু করেছে। (ঠাট্টা করলাম)




দাঁড়িপাল্লাকে আমিও ছাগু বলে জানি না। তাকে আমি হনু বলে জানি।

যাই হোক ভিন্ন প্রসঙ্গে না গিয়ে একটা কথা এখানে বলা যায়। সেটা হলো, দাঁড়িপাল্লার ঐ পোস্টের পরে প্রথম থেকেই অনেকে শান্ত ভাবে প্রোটেস্ট করেছেন, পোস্টে রিপোর্ট করেছেন, আশা করেছেন কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো বা মডারেশন প্যানেল ঐ পোস্টখানা সরিয়ে নেবে। কিন্তু যখন তা হয়নি, যথারীতি মেজাজ খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। আর হয়েছেও তাই । শান্ত প্রতিবাদ আস্তে আস্তে ক্ষীপ্ততায় রূপ নিয়েছে। এটা সকলের মনে রাখা প্রয়োজন মুসলমান হলেই সবাই যে, শান্ত, বুদ্ধিদীপ্ত, দৃঢ় মানসিকতার হবে এটা ঠিক না। ব্লগের বেশিরভাগই সাধারণ মুসলমান এবং সাধারণ মানুষ। ফলে তাদের একটা অংশ দিক বিদিক জ্ঞান শুণ্য হয়ে গালি গালাজ শুরু করে দিয়েছিলো।
আর যে শয়তানটা জানা ও আরিলের ছবি বিকৃতি করেছে সে হচ্ছে আসল শয়তান। সে এবং তার দলের কিছু কুকুর এই অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগ গ্রহণ করেছে।
ব্লগার দূর্যোধন যেভাবে বলছেন যে, সামুকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে সেটা আমি মনে করি না। এবং আমি এটা লিখেও দিতে পারি যে সামু এতো সহজে বন্ধ হবে না। সামু বন্ধ করতে জামাত শিবিরের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে কিন্তু সেই রাতে তাদের ভূমিকা আমি দেখতে পাচ্ছি না। পরের দিন সামু বন্ধের দাবি সম্বলিত যে ব্যানার দেখা গিয়েছিলো সেটা ছিলো "ওলামা লীগের" হাতে। ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। জামাত শিবিরের ব্যানার যদি পরিকল্পিত ভাবে তাদের হাতে যায় তাহলে বলতে হবে যে বিএনপির চেয়েও আওয়ামী লীগের সর্বনাশ অধিক কাছে ঘনিয়ে এসেছে। অথচ সেরকম হবার কথা না। কারণ বর্তমানে জাশির নেতাদের বন্দী করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সুতরাং আপনারা সাবধান হউন। ক্যাচাল বন্ধ করে আসুন আবার সুস্থ ব্লগিং এ ফিরে আসি। ছাগু ও হনুদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।
বিঃদ্রঃ ছাগু মানে জামাত শিবির (এটা সবাই জানে)
আর হনু মানে নাস্তিক। যে ব্লগার এই মহান উপমা আবিষ্কার করেছেন তাকে আমার স্যালুট। যদিও আমি জানি না কে সেই মহান ব্লগার।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৮