আমরা সিন্ডিকেটের এক স্বগরাজ্যে বাস করছি। প্রত্যেকটা প্রফেশন বা নন প্রফেশন এ সংগঠনের নামে একটা একটা যেন মাফিয়া সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের ভিতর যে ভাল লোক নাই তা না, কিন্তু এসব সিন্ডিকেটের বাইর গিয়ে কথা বলা বা সিন্ডিকেটের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই। কথা বললে যে নিজেরও বিপদ আছে । বিভিন্ন প্রফেশনের সংগঠনগুলো সাধারণত করা হয় যাতে উক্ত সংগঠনের সব সদস্যদের একটা নিয়মের ভিতর নিয়ে আসা, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে সংগঠনের কেউ অন্যায় বা অনৈতিক কাজ করলে উলটো তার পক্ষে কথা বলে। এখানে সব প্রফেশনে একি অবস্থা। ব্যাবসায়ীদের সংগঠন বি জি এম ই, সাংবাদিকদের সংগঠন প্রস কাউন্সিল, ডাক্তাদের সংগঠন বি এম এ, আরো অনেক। তাছাড়া মাকেট মালিক সমিতি বা বাজার কমিটির সমিতি বা পরিবহন মালিক সমিতি সবারই একি অবস্থা। নৈতিকতার জায়গায় থেকে সবার অবস্থা নড়বড়ে, কারন সবাই কম বেশি দুনীতিতে যুক্ত। আর এসব সংগঠনের ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সব চাইতে নাজুক অবস্থা হচ্ছে সাস্থ্য ক্ষেত্রে, কারন চিকিৎসক বা হাসপাতাগুলো মানুশের জীবনকে জিম্মি করে সব কিছু থেকে রেহাই পেতে চাই। ডাক্তার বা হসপিটাল গুলোর ঝুকি সব সময় বেশি বা বারবার আলোচনায় আসে কারন তারা মানুষের জীবন নিয় নাড়াচাড়া করে, এখানে একটু ভুল হলেই কিন্তু একটা মানুষের জীবন নিয়ে প্রশ্ন? অন্যান্য সংগঠনগুলো তেমন একটা জনরোশের মধ্যে পড়ে না কারন তারা মানুশের জীবন প্রত্যক্ষ ভাবে খেলে না। ধরুন হলুদ সাংবাদিকতা, মানুষকে কলমের খোচা বা মিডিয়ার নেতিবাচক খবর প্রকাশ করার ভয় দেখিয় টাকা আদায় করে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন উপায় নেই বা প্রেস কাউন্সিল হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। একিভাবে ব্যবসায়ী মালিক সমিতি বা দোকান মালিক সমিতি - যখন তাদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে যখন ভ্রাম্যমান আদলত অভিযান চালায় অবৈধ ঔষুধ, মেয়াদ উত্তীন ঔষুধ আছে কিনা দেখার জন্য, তখন তারা সবাই এক হয়ে যায় কেউ অপরাধ করলে তাকে বাচানোর জন্য। এই ত কিছুদিন আগেও স্বপ্নে যখন অভিযান চালিয়ে মেয়াদত্তীন জিনিস পেল তখন তা র্যাব তা বন্ধ করে দিল। তখন তারা ঘোষনা করল তারা সব আউটলেট বন্ধ করে দিবে সাধারণ মানুশ যাতে ভোগে,মোটকথা সবার মধ্যে মানুষকে জিম্মি করে অপরাধ করে পার পাওয়ার মানসিকতা। কবে যে আমরা এসব সিন্ডিকেটের অনৈতিক ব্যবহার বা অপব্যবহার থেকে মুক্তি পাব আল্লাহই জানে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৮