আমরা জাতি হিসাবে দেশের জন্য কেন এক কাতারে দাড়াতে পারি না। আমরা বিভিন্ন দল সাপোট করতে পারি কিন্তু দেশের জন্য আমরা দলকে বিসজন দিতে পারি না কেন। আমাদের দুই বড় দল গত ১৮ বছর ধরে দেশটা শাসন করছে কিন্তু দেশের আমূল কোন পরিবতন হয়েছে, না মোটেও হয় না। যেটা হয়েছে সেটা শুধু রুটিন কাজ। একটা সরকার ক্ষমতায় থাকলে যেটুকু কাজ করলে নয়, সেইটুকু ই তারা করেছে তাও আবার দুনীতির মাধ্যমে। দুই দলই মুদ্রার এপিট ওপিট। ক্ষমতায় থাকলে দুনীতি আর ক্ষমতার দম্ভ আর ক্ষমতার বাইরে জন দরদী বা দেশ দরদী এই সব বিশেষণে ধোকাবাজি। যেই দল আসুক আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চাই, আর তাই ক্ষমতায় এসেই আইন কানুন , দলীয় লোক নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য, যা যা করা দরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু করে আর দেশটাকে অথনৈতিক বা রাজনৈতিক ভাবে দুবল করে দেয় আর আমাদের জীবনকে করে অস্থির। তারপরেও আমরা দুই দলের কাছে বন্দি হয়ে আছি সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। আমরা কেন দলের ভাল বা মন্দ কাজকে প্রশংসা বা ঘৃনা করতে পারি না। আমরা হয়তো একটা কোন একটা দল সপোট করি কিন্তু অন্য দলের ভাল বা মন্দ কাজকে আমরা কেন মূল্যায়ণ করি না। মানুষের মাইন্ড সেট যখন ফিক্সড হয়ে যায় তখন সে ভাল মন্দ বিচার করতে পারে না। তখন মাইন্ড সেটে লজিক কাজ করে না। আমাদের মাইন্ড সেট যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট করা উচিত। আমাদের পরিবতন হতে ভয় লাগে আমাদের চারিপাশিক অবস্থার কারণে। একমাত্র ইসলামের আদশ ছাড়া বাকি সব পরিবতনশীল। আমরা রাজনীতি করি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার বস্তুর মত। কেউ রাজনীতি করে পরিবারের রাজনীতির ইতিহাস অনুসরণ করে, কেউ বা পাড়া বা এলাকার বড় ভাই বা মুরব্বিদের অনুসরণ করে আর কেউ বা করে জীবনের প্রথম যে রাজনীতিক দলে যুক্ত বুঝে না বুঝে বা স্বাথের কারণে। যারা ধুরন্ধর তারা সুযোগ বুঝে রাজনীতির আদশ পরিবতন করে, আর যারা মোটামুটি সৎ তারা হয়তো আদশিক কারণে বা ইগোর কারণে বা লোক লজ্জা বা সামাজিক ভয়ে ভুল আদশ থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। আমরা পরিবতন না হলে আমাদের নেতারা আজীবন আমাদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবে আর আঠা মাথা নিয়ে চুল চুলকাতে থাকব মৃত্যুর আগ পযন্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৫