পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ যখন ই- পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ তখন সবে মাত্র শুরু করেছে এমআরপি । এটাকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও বলা হয়।
এই এএমআরপি পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই পরিত্যক্ত হয়েছে ঠিক তখন যখন বাংলাদেশে এটাকে চালু করতে শুরু করেছে।
এখন আবার বাংলাদেশ এমআরপি বাদ দিয়ে ই- পাসপোর্ট চালু করতে চলেছে । এমআরপি চালু না করে ই- পাসপোর্ট জিনিসটা তখনই চালু করা যেত।
এমআএম আরপি চালু করে রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা পানিতে ফেলা হয়েছে । প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকেরা সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেছে। পিকনিক করেছে। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে যে যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। এইসব যন্ত্রপাতি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে এখন আর কোন কাজে লাগবে না ।
বাংলাদেশে এমআরপি প্রজেক্ট এর মূল কাজটি করেছে মালয়েশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি আইরিস বারহাদ (Iris berhad)। আইরিস যখন বাংলাদেশে এমআরপি চালুর কাজ শুরু করে তার বেশ কয়েক বছর আগেই মালয়েশিয়াতে ই-পাসপোর্ট চালু করে ফেলেছে আইরিস।
লাখ লাখ প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টের টাকা নষ্ট হয়েছে এমআরপি পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে। কেননা তাদেরকে বারবার পাসপোর্ট নিতে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে , জনগণের করের টাকায় হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট না করে সরাসরি ই-পাসপোর্ট চালু করলে কি এমন ক্ষতি হতো?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২