!
মে মাস চলে যাচ্ছে দেখতে দেখতে । এবার আসছে লুটপাটের জুন মাস।
অদ্ভুত এই দেশের বাজেট সিস্টেম মানে অর্থ বছর। অর্থ বছর জানুয়ারি –ডিসেম্বর না ধরে এরা ধরে জুলাই –জুন। সারা দুনিয়ায় এমন অদ্ভুত নিয়ম খুব একটা খুজেঁ পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন করে পিগমীরা ( পিগমী শব্দটি পেলাম জনাব চাঁদগাজীর কাছ থেকে) । সেই বাজেটে টাকা কি ভাবে আসবে আর কিভাবে খরচ হবে তার তেমন কোন সুষ্টু পরিকল্পনা থাকে না। আগের বাজেট কপি পেস্ট ( এরা ব্লগার রাজিব নুর থেকে নেয়া) করে একটু কেটেছেটে নতুন বাজেট বানায়।
যেহেতু কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকে না তাই জুন মাস এলেই বাজেটের পরীরা সব উড়ে যায়। থাকে কেবল কল্পনা। সেই কল্পনা হচ্ছে কিভাবে বাজেটের খরচ না হওয়া মেরে কেটে খেয়ে সাফ করে দেয়া যায়।
জুন মাসে চলে ভূয়া বিলভাউচার তৈরী করে সরকারী অফিসগুলোতে কোটি কোটি টাকা লুটপাট।
ভাবছেন- এই সব তো কোন খবরের কাগজে, কোন পত্রিকাতে আসে না?
জ্বি না জনাব। ইহা খবরের কাগজে আসবে না। কেননা, খবরের কাগজের মানে সাংবাদিকরা যেই সব বিট কভার করে সেই সব বিটের সাংবাদিকরা বেশ মোটা সাইজের এনভেলাপ পায় জুন লটপাটের টাকা থেকে।
আমার নিজের একটা আইডিয়া থেকে আমার ধারণা- লুটপাটে সব চেয়ে সব চেয়ে বেশী এগিয়ে আছে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। তারপর স্বরাষ্ট্র ও কৃষি। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলা নামের এই দেশটা আপনার । দেশটা আমার। দেশটা আমাদের সবার । আসুন, সবাই জুন বাজেট ক্লোজিং এর এই সব লুটপাট নীরবে সয়ে যাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০৭