গাছের শিকড় কেটে দিলে গাছ শুকিয়ে মরে যায়। মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে। অর্থাৎ মূল বা শিকড় বা মাথাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কোন সমস্যার সমাধান করতে চাইলে মূলকে আগে খুঁজে নিতে হবে। নইলে ঢাক ঢোল পেটানো্ই সার হবে।
দরকার দুর্নীতি দমন করতে চাইছে। এটা খুবই আশার কথা। কিন্তু এর জন্য প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের পিছনে প্রথমে ছুটা ঠিক হচ্ছে না। অনেক বড় বড় রুই কাতলা আছে। তাদের আগে ধরতে হবে।
সব মন্ত্রী কি ধোয়া তুলসী পাতা? সাহস থাকলে ৪/৫ টি সাবেক বা বর্তমান মন্ত্রীর দুর্নীতির বিচার করুন। তারপর ধরুন এমপি দেরকে।
এমপি জাতীয় প্রাণীদেরকে বিচার করার পর ধরুন উপজেলার চেয়ারম্যানদেরকে। তারপর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে। এর পর ধরুন ঠিকাদারদেকে। তাদের বিচার করুন। শাস্তি দিন। রাষ্ট্রে সম্পদের হেফাজত করুন।
সরকারী কর্মচারীদেরকে বিচার করুন। প্রথমমেই কেরানীদের ধরার চাইতে সর্বপ্রথম ধরুন সচিবদেরকে। তাপর সচিবের নিচের লেভেলের কর্মকর্তাদেরকে।
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে - অফিসের কেরানী বা চা্পরাশিদের কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই কেবল কেরানী ধরলে চলবে না। কেরানী বা চাপরাশি মিডলম্যান মাত্র। মূল টাকা খোর তো কর্মকর্তারা। কর্মকর্তা স্বাক্ষর না করলে কেরানী বা চাপরাশির কি কোন ক্ষমতা আছে স্বাক্ষর করার? অফিসার কম করে হলেও দূর্নীতির টাকার ৮০% ভাগ পান। তাদের বিচার করা জরুরী।
পাসপোর্ট অফিসগুলোতে প্রায়ই শোনা যায় দুর্ণীতির কারণে অমুক কেরানীর চাকরি গেছে। তমুক চাপরাশির চাকরি গেছে। কোন অফিসারের চাকরি যায়নি। কিন্তু টাকার ভাগ তারা ঠিকই হজম করে।
যে বা যিনিই দুর্নীতি করুন না কেন এটার দায়ভার শেষ পর্যন্ত চলে যায় সরকারের উপর। সহজ কথায় দোষটা পড়ে প্রধানমন্ত্রীর উপর।
অন্যের দোষের দায়ভার প্রধানমন্ত্রী কেন নেবেন? তিনি কেন তাদের বিচার করে শাস্তি দেবেন না?
তাই বলছি- চুনোপুটি নয়; রুইকাৎলা মেরে শুরু করুন!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২