নভেম্বরের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেসে। রাতের শেষ অংশে কিছুটা ঠান্ডা অনুভুত হয়। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগলে অবশ্য, ঘুমাতে বেশ আরাম লাগে। ঢাকায় ঠান্ডা না থাকলে কি হবে? আম্মুকে ফোন দিলেই বলে, গ্রামে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। এমনি এক সন্ধ্যায় আম্মুর সাথে কথা বলা শেষ করে, মেসেঞ্জারে ঢুকতেই দেখি বন্ধু আব্দুর রহমানের টেক্সট। হাই হ্যালো বলার পর, বন্ধু অফার করলো, চল বন্ধু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে আসি।
বেশ অনেকদিন থেকে আমারও ট্যুরে যাওয়া হচ্ছে না। আসলে সময়, টাকাপয়সা, সুযোগ, গ্রুপ কিছুই ঠিক মত মিলতেছিলো না। আর মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষের ট্যুরের পিক দেখে ঘুরতে যাওয়ার পিনিকও চরমে। তার উপর উত্তরে আমার তেমন ঘোরাঘুরি হয় নাই। অনেকদিন থেকে আমারও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ইচ্ছা । এই সময় বন্ধুর এমন প্রস্তাব সিরিয়াসলি না নিয়ে উপায় নাই।
যখন থেকেই আমার ট্যুর দেওয়া শুরু, ট্যুরের কোন সুযোগ আসলে আমি খুব কমই মিস করেছি। কত সত্য-মিথ্যা বলে যে বাসায় ম্যানেজ করতাম। তাও আমার যাওয়া চাইই চাই। এমনও হইছে যে, এক ট্যুর থেকে এসে পরেরদিন অন্য কোথাও চলে গেসি। আসলে জীবনের সবসময়ই কিছু না কিছু বিড়ম্বনা থাকে। ছাত্র অবস্থায় প্রচুর অবসর সময় থাকলেও টাকা পয়সা খুব একটা সাপোর্ট করতো না। তাই দেখা গেসে ধার-দেনা করেও বেশ কয়েকবার ট্যুরে যাওয়া হইছে।
এবারও ঠিক তাই হলো! ট্যুরে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও,এই মুহূর্তে আমার কাছে ট্যুরে যাওয়ার মত টাকা নাই। বন্ধু আব্দুর রহমানকে সেটা অম্লবদনে বলে দিলাম। বন্ধু তখন দ্বিগুন উৎসাহে বলল, আরে সমেস্যা নাই বন্ধু তুমি প্লান করো আর লোকজন ঠিক কর। দুই একদিনের মধ্যেই যাই চল। আমি বুঝতে পারলাম বন্ধুরও আমার মত টুরে যাওয়ার পিনিক চরমে। আর তাড়াহুড়া করার অন্যতম কারন ছিলো, বছরের এই সময়টাতে অল্প কয়েকদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে আরো স্পেসিফিকালি বলতে গেলে তেতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।
আমার লাইফের ৯০ ভাগ ট্যুরই এমন হইছে, ঠুসঠাস প্ল্যান! কেমনে কি করি বুঝতেছিলাম না। গেলে দুই একদিনের মধ্যেই যাইতে হবে। নইলে পঞ্চগড় গিয়ে কুয়াশা দেখে বাড়ি ফিরতে হবে। তারউপর গ্রুপও ফিক্সড না। দুইজন গেলে খরচও বেশি হবে। বন্ধু রাব্বানিকে বললাম সে অম্লবদনে না করে দিল। আমার স্টুডেন্ট বিশাল মেলা দিন থেকেই আমার সাথে ট্যুরে যাইতে চায় কিন্তু কখনো ওইভাবে সময় সুযোগ ম্যাচ করে নাই। ওরে বলতেই ও রাজি হয়ে গেল। ফাইনালি ঠিক হইলো, তিনজনই যাচ্ছি।
আগে তো সবসময় ট্যুর হলে আমিই প্ল্যান করতাম। অনেকদিন থেকে ট্যুরে না যাওয়ার কারনে প্ল্যানও করতে ইচ্ছা করতেছিলো না। বিশালও আগে কখনো এমন ট্যুরে যায় নাই। আবার উত্তরের শীত। তারপরও এত দূরের রাস্তা কিভাবে যাবো কই যাবো এসব একেবারে না জেনে যাইই বা কেমনে! ঠিক করলাম ট্রেনে যাবো। এর অন্যতম কারন ছিলো ঢাকা টু পঞ্চগড় বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রেনপথ।
অনেকদিন পর ট্যুরে যাওয়ায় বেশ এক্সসাইটেডও লাগতেছিল। আমাদের ট্রেন ছিলো রাত পৌনে এগারটায়। বাংলাদেশের ট্রেনের শিডিউলের উপর আমার খুব একটা আস্থা নাই। ভাবলাম ট্যুরেই তো যাচ্ছি তাই বেশ কিছুক্ষণ আগেই ষ্টেশনে গেলাম। রেলস্টেশনে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। কিন্তু বরাবরের মতই ট্রেন তার শিডিউল থেকে মাত্র পনের মিনিট কম দুই ঘন্টা পরে আসছে। এরমধ্যেই বন্ধু আব্দুর রহমান ওর ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়া এক বন্ধুকে খুঁজে পায়। যাওয়ার কথা ছিলো তিন জন ফাইনালি হয়ে গেলাম চারজন। একেই বলে রিয়েল কোইন্সিডেন্ট। কমলাপুর স্টেশনে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের উত্তরবঙ্গের যাত্রা শুরু হয় ঠিক সাড়ে বারটায়।
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজে পাওয়ার আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে আমরা তিনজন।
আমার অদ্ভুত রকমের এক বাতিক আছে। লোকাল বাসে উঠলেই কোন অজানা কারনে আমার ঘুম পায়। কিন্তু রাতের লম্বা জার্নিতে আমার ঘুম আসে না। রাতে যদিও সাইড ভিউ তেমন একটা পাওয়া যায় না। তারপরও কেন জানি বাস বা ট্রেন জার্নির সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে। কিন্তু আজকে আর বাইরে তাকিয়ে থাকার মত অবস্থায় ছিলাম না। তার কারন ছিল দুইটা। এক সারাদিন দৌড়াদৌড়ি তারপর টিউশন তারপর এইযে জার্নি। ঘুমাতে চাচ্ছিলাম কারন নইলে সারারাত জার্নি করে সকালে ঘোরাঘুরি সম্ভব হবে না। আর দুই ট্রেন ছাড়ার পর আবিস্কার করলাম, আমাদের সিট গুলো উল্টোদিকে অর্থাৎ ট্রেন যে দিকে ছুটছে আমরা তার দিকে পিছন করে বসছি। এ এক অদ্ভুত রকমের ফিলিং।
আমার বাংলাদেশের ট্রেনে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কম। বাকি তিনজনেরও কম বেশি একই রকম। ট্রেন ছাড়তে যা দেড়ি, কিন্তু কিছু লোক খাবার নিয়া আসতে দেড়ি নাই। এমন ভাবে তারা জোর করছিলো যেন ফ্রি দিচ্ছে। আমরা কিছু না বুঝে চটপট দুই প্যাকেট খাবার নিয়ে নিলাম পরে অবশ্য বুঝতে পারছি এ খাবার ফ্রি নয়।
এ খাবারের নামটা কি কেউ জানিয়ে বাধিত করবেন। যদিও এর সাথে দেয়া ছোট্ট চিকেন ফ্রাইটা ভালো ছিল।
দেখতে দেখতেই ট্রেন ঢাকা পার হয়ে গেল। কিছুক্ষণ গল্প করে আমি আমার যাদুকারী গামছা দিয়া মাথা ঢেকে ঘুমানোর ট্রাই করতেছিলাম আর ততখনে বিশাল আর বন্ধু আব্দুর রহমান পুরো ট্রেন এমাথা ওমাথা চক্কর দিয়ে ফেলছে। সারা রাত ঝিমুনি কিংবা আধো আধো ঘুম হইছে কিন্তু হটাতই যেন আবিস্কার করলাম একটু একটু আলো ফুটছে। আলো ফুটতেই মনটা ফুরফুরে লাগছিলো। জানালা খুলে দিতেই উত্তরের হিমেল হাওয়া এসে ঝাঁপটা মারলো। দিনের আলো যতই বাড়ছিলো উত্তর বঙ্গের সৌন্দর্য ততই আমাদের মুগ্ধ করতেছিলো। চারদিকে ফসলের মাঠ, গ্রাম বাংলা এ যেন এক অদ্ভুত দৃশ্য। সবচেয়ে যেটা ভাল্লাগছিল সেটা হল মাইলের পর মাইল ফসলি জমি।
ঢাকা টু পঞ্চগড় রেলপথ কেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলপথ সেটা ধীরে ধীরে টের পাচ্ছিলাম। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস প্রায় পুরো উত্তরবঙ্গ ঘুরে পঞ্চগড় যাবে। আমাদের একটা টাইম লিমিট আছে। তার মধ্যে ট্রেন বাবাজি দেড়িতে ছাড়ছে। এখন যেভাবে পুরো দেশ ঘুরতেছে তাতে করে আমাদের শিডিউল ঠিক থাকবে কিনা সেটা নিয়া সন্দিহান ছিলাম।
পঞ্চগড় যাওয়ার পথে পিরগঞ্জ রেলস্টেশনে চা বিরতি। আসলে অন্য ট্রেন তখন পাস করতেছিলো তাই আমাদের পঞ্চগড় এক্সপ্রেস মিনিট বিশেকের মত দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন আমরা চা খাওয়ার কাজ টা সেরে নেই।
তারপরও এই ভেবে ভাল্লাগছিলো যে, অনেক গুলো জেলার মধ্যে দিয়ে যাবো অন্তত নতুন কিছুতো দেখতে পাবো। আমি আগে উত্তরের পাবনা ছাড়া কোথাও আসি নাই। মনে হচ্ছিলো পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আমার উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের সাধ পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। মোটামটি উত্তর পশ্চিম পুরাটা কাভার করে সকাল সাড়ে এগারটায় পঞ্চগড় পৌছাল।
ট্রেন থেকে নামার কিছুক্ষণ আগেই প্ল্যান করতেছিলাম কিভাবে কি করা যায়। কারন আমাদের শিডিউল ছিলো আমরা সকালে পঞ্চগড় পৌছাবো সেখানে প্রায় দুপুর হয়ে গেসে। প্ল্যান হল দুপুর আর সকালে খাবার একসাথে খেয়ে জেলা শহরের মধ্যে একটু ঘুরে তেতুলিয়া যাবো। আসলে আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্যই অস্থির হয়ে ছিলাম।
ট্রেন থেকে নামতেই রোঁদের ঝাঁজ টের পাওয়া যাচ্ছিলো। আমরা আরো বেশি করে গরম জামা কাপড় নিয়া আসছি অথচ বিধিবাম মিডল ইস্টের মত গরম! মানে কি ভাই এসবের! যাইহোক, স্টেশন থেকে নেমে অটো ভ্যানে করে শহরের দিকে যেতেই চোখে পড়লো বিখ্যাত করতোয়া নদী। বাংলাদেশের নদীগুলো দেখলেই এখন বুকটা কেমন জানি হু হু করে উঠে। নদীতো না যেন এক ধুধু বালুচর। প্রায় বারটা বেজে গেসে ততখনে সবার পেটেই তান্ডব শুরু হয়ে গেসে। পঞ্চগড় জিরো পয়েন্টে নেমেই একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে গেলাম। প্রায় বার ঘন্টা জার্নি করে নাঞ্চটা(নাস্তা+লাঞ্চ) হল জম্পেশ। খাওয়া শেষ করে দেখতে গেলাম পঞ্চগড়ের বিখ্যাত রক মিউজিয়াম।
ধুধু মরুভূমির মধ্যে আমাদের করতোয়া নদী। এখানে বালু ও পাথর উত্তলনের কাজ চলছে।
রক মিউজিয়ামটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব ছিলো হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর উপর। কিন্তু এই টাইট শিডিউলের মধ্যেই সে কতখন এদিক সেদিক বেকার ঘুড়িয়ে মিউজিয়ামে নিয়ে যায়। করোনা মহামারির কারনে সব দর্শনীয় স্থান বন্ধ। তাই অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হল। মিউজিয়াম বেশ গুছানো, কালেকশনও খারাপ না। মিউজিয়ামের ঠিক সামনেই আছে পঞ্চগড় জেলার প্রথম চা বাগান। ছিমছাম একটা পরিবেশ।
পঞ্চগড় জেলার প্রথম সমতল ভুমির চা বাগান।
মিউজিয়ামে বেশিখন থাকার সুযোগ ছিল না। আমাদের আসল টার্গেট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা। বেলা থাকতে না গেলে, পরে হয়তো আর দেখতেই পাবো না। তাই মিউজিয়াম থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে তেতুলিয়ার বাস ধরলাম। এশিয়ান হাইওয়ে ধরে পঞ্চগড় শহর ছেড়ে আসতেই চোখে পরলো সমতলের চা বাগান! বাসের জানালা দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখছিলাম। পাশাপাশি ধানক্ষেত আর চা বাগান একসাথে হয় কি করে! দেখতে ঠিক সবুজ গালিচার মতন।
পঞ্চগড় শহর থেকে তেতুলিয়া যেতে কম বেশি দেড় ঘন্টা লাগে। বেশ ভালো রাস্তা আর দু পাশের ভিউ আপনাকে মুগ্ধ করবে। আগে থেকেই প্ল্যান ছিল, বাস থেকে নেমে প্রথম কাজই হচ্ছে থাকার জন্য রুম বুক করা। তেতুলিয়াতে থাকার জন্য খুব বেশি হোটেল-মোটেল নাই। যারাই আসে মোটামুটি সবাই আগে থেকে রুম বুক করে আসে। সময়ও খুব বেশি একটা নেই তার উপর রুম পাচ্ছি না। দেন ফাইনালি, তেতুলিয়া বাজার থেকে ৬/৭ মিনিট হাটা দুরুত্বে সিমান্তের পাড় নামে একটা হোটেলে রুম পাই।
কোনরকম ফ্রেশ হয়ে চারজনে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়িয়ে পড়লাম বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। বাসে করে তেতুলিয়া বাজার থেকে এশিয়ান হাইওয়ে ধরে কিছুদূর যেতেই, কিছুটা ঝাপসা হলেও বহুল আকাংখিত কাঞ্চনজঙ্ঘার উঁকিঝুঁকি দেখতে পাচ্ছিলাম। চারপাশের চা বাগান, ধানক্ষেত, পাথরকল আর মাঝে মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘার উঁকিঝুঁকি সব মিলিয়ে এক মনোরম দৃশ্য।
এতো দৌর ঝাঁপ করে জিরো পয়েন্টে এসে খুব একটা লাভ হইলো না। আসতে একটু দেড়ি হইছে তারউপর করোনাকাল তাই বিজিবি ভাইয়েরা জিরো পয়েন্টে ঢুকতে দিবে না। ভাবছিলাম জিরো পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখবো কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। কি আর করার? সন্ধ্যাও হয়ে আসছিলো তাই আবার তেতুলিয়ায় ফেরার বাস ধরলাম।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে একদম আশায় গুড়েবালি হইছে। তারুপর পাথর কলের ধুলাবালি ছিলো ফ্রি। ধুলাবালির জ্বালায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখাও কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো।
তেতুলিয়ায় পৌছাইতে পৌছাইতে সন্ধ্যা। সারাদিন বেশ ঝাক্কি গেসে। মাথাটাও একটু একটু ব্যাথা করতেছে। তার উপর আমি চা-ফ্রিক মানুষ। সারাদিন দৌরের উপর ছিলাম, তেমন একটা চা খাওয়া হয় নাই। আবার একটু ঠান্ডা ও লাগছিলো। তাই বাস থেকে নেমেই চার রাস্তার মোড় লাগোয়া একটা চায়ের দোকানে ঢুকলাম। বাকি খাওয়া দাওয়া যেমনই হোক এটা বলতে হবে উত্তরবঙ্গে চা খেয়ে শান্তি আছে। বড় গ্লাসে করে পরিবেশন করবে আর দাম মাত্র পাঁচ টাকা। যে দোকানটায় চা খেতে বসছিলাম, এই দোকানের রঙ চা আমার লাইফে খাওয়া অন্যতম সেরা রঙ চা।
প্ল্যান মত কিছুই হইলো না। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সাধ মিটে নাই। তারপরও স্থানীয়রা বলল আজকে যেই ভিউ পাইছি এরকমও নাকি পাওয়া দুষ্কর। এর মধ্যে কয়েকজন বলল তেতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে নাকি ভালো ভিউ পাওয়া যায়। যাইহোক মন্দের ভাল ধরে নিলাম। পরেরদিন সকালে আবার দেখতে যাবো নিয়ত করলাম। আর ঘুরতেই যখন আসছি ভাবলাম বাজারটাও ঘুরে দেখি। ছোট একটা ছিমছাম বাজার। আমরা যেমন বড় ভাবছিলাম তেমন কিছু না। আরো একটু রাত বাড়তেই বাংলা হোটেল নামে একটা খাবার দোকানে ঢুকে জম্পেশ এক খানা দিলাম সবাই। খেয়ে বের হয়ে দেখি বেশ রকমের ঠান্ডা পরে গেসে। ভাবলাম এই ঠান্ডায় আর এক কাপ চা খেলে মন্দ না। কিন্তু আমার সাথীরা চা তেমন পছন্দ করে না তাই অগত্যাই আমি একলাই খেলাম।
এই সেই পাঁচ টাকা কাপ চা। আমার খাওয়া অন্যতম সেরা চা এটা।
বাজার থেকে হেটে কিছুদূর আসতেই একদম সুনসান হয়ে গেল। উত্তরের হিমেল হাওয়া সাথে একদম সুনসান গ্রাম্য রাস্তা ধরে হাতটে বেশ ভালই লাগছিলো। হোটেলে এসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের জার্নির ধকল ছিলো। শুয়ে পড়তে যা দেড়ি, ঘুমাইতে দেড়ি নাই। এক ঘুমে রাত পার।।
চলবে.।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬