সময়টা, খ্রিষ্টাব্দ ১৬০৮। একদল ইংরেজ ভাগ্যান্বেষণের খোঁজে, ঠোঙ্গার মত জাহাজে চড়ে ইংল্যান্ড থেকে আফ্রিকার দক্ষিন উপকূলে উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতবর্ষে আগমন করল। ভারতবর্ষে ভাগ্য তারা ঠিকই পেয়েছিল এবং কালের পরিক্রমায় নিজেদের কূট বুদ্ধি ও এদেশীয় কিছু রাজাকারদের সহয়তায় ১৭৫৭ সালে সেই ভাগ্যান্বেষীরা এ দেশকে দখলও করে নিলো।
বিশাল দেশ! তার উপর এ দেশে যেন একটা সম্পদের আধার। সেই সময় সারা পৃথিবীর মোট জিডিপির ২৩ শতংশই ছিল ভারতবর্ষের অবদান। এমন সম্পদের আধার তো শুধু দখল করলেই চলবে না, সেটা নিজেদের আয়ত্বেও রাখতে হবে। ইউরোপ থেকে এতো বড় দেশ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব না সেটা ব্রিটিশরা খুব ভালভাবেই বুঝেছিলো। যে রাজাকাদের সহয়াতয় ব্রিটিশরা এদেশ দখল করেছিল ঠিক ওইরকম কিছু রাজাকার বা পা চাঁটা গোলাম দরকার ছিল ব্রিটিশদের। যাতে করে নাকে তেল দিয়ে ভারতবর্ষ শাসন করা যায়।
একটা পা চাঁটা শ্রেনী তৈরি করতেই ব্রিটিশরা এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তন করে এবং অল্প কিছু কালের মধ্যেই ব্রিটিশরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও পেয়ে যায়। একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, আপনি এটা ভেবে ভুল করবেন না যে কাগজের নৌকায় চড়ে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা উপমহাদেশে তাদের শিক্ষা বিলি করতে এসেছিলো। তারা পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু করেছিলোই নিজেদের শাসন এবং শোষণের সুবিধার্থে।
সেই সময়ে অনেক ভারতীয়ই পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, পশ্চিমা ধাঁচের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছিল। ক্যারিয়ারের সাথে সাথে তারা নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছিল পশ্চিমাদের কাছে। ভোল পালটে একদম বনে গিয়েছিল পশ্চিমাদের গোলামে। এমনভাবেই বিক্রি হয়েছিলো যে নিজের দেশের লোকদেরকেও একসময় এদের কাছে অসভ্য মনে হত। আর পশ্চিমারা তাদের কাছে ছিল সভ্য এবং দেবতাতুল্য।
এবার অতীত ফেলে চলেন বর্তমান নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। শিক্ষা কি এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য কি সেটা লিখতে গেলে শুধুই লেখার কলেবরই বাড়বে। আমি শুধু পশ্চিমাদের বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর শিক্ষা নিয়ে করা একটি মন্তব্য উল্লেখ করছি,”শরীর ও আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ও উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই শিক্ষার উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায়, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেসব গুণাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন যেসকল গুণাবলী নিয়ে একটি শিশু এই পৃথিবীতে আগমন করেছে।“
এবার তাহলে আমাদের পড়াশুনার দিকে একটু নজর দেয়া যাক। আমাদের দেশে ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত যে পড়াশুনা করা হয় সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই স্তরের শিক্ষাই কম বেশি ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের পরবর্তী জীবনে বয়ে নিয়ে যায়। শিক্ষার এই স্তরেই ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের মৌলিক অক্ষরজ্ঞান শিখছে। এই আট বছর ছাত্র/ছাত্রীরা যত সহজে শিখতে পারে সেটা পরবর্তীতে আর সম্ভবও হয় না। তাই এই আট শিক্ষাবর্ষে ছাত্র/ছাত্রীদের কি শেখানো হচ্ছে সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু এই আট বছর প্রাথমিক শিক্ষার স্তর তাই স্বভাবতই মাতৃভাষা হিসাবে বাংলা ব্যাকারন এবং সাথে টুকটাক কিছু বাংলা সাহিত্যও শেখানো হয়। যেহেতু ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা তাই একদম ক্লাস ওয়ান থেকেই ইংরেজিতে কমিউনিকেশন শেখানোর জন্য ইংরেজি পড়ানো হয়। একটু বলে রাখি, এই আট বছরে আমাদের ছাত্র/ছাত্রীরা যে কতটা ইংরেজি শিখে সেটা বোধ করি আপনাদের আর বলতে হবে না। তবে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র/ছাত্রীরা এই সময়ের মধ্যেই ইংরেজিতে বেশ সাবলীল হয়ে উঠে।
বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি গনিত, বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষা, কৃষি ও সমাজ বিজ্ঞানের মত বিষয়ও পড়ানো হয়। এসব বিষয়ের সিলেবাসের বিষয়বস্তু কতটা আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদের উপকারে আসছে কিংবা কি বিষয়বস্তু পড়ানো হচ্ছে সেটা আমার আর একটা লেখায় বিস্তারিত দিবো (ইনশাআল্লাহ্)। অবশ্য এসব বিষয়ের প্রাথমিক জ্ঞান থাকাটাও জরুরী।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন এই পড়াশুনার মধ্যে সবই ঠিক আছে কিন্তু শিক্ষার আসল এবং প্রথম উদ্দেশ্য থেকে এই শিক্ষা অনেক দূর চলে এসেছে। ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আট বছর সব শিক্ষাই শিখছে কিন্তু শিখছে না নৈতিকতা। শিখছে না কিভাবে নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষিত। কারন এই চরম প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজে নৈতিকতা বিক্রি করে আর চলা যায় না।
মোটামুটি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে করতেই ছাত্র/ছাত্রীরা সাবালক হয়ে ওঠে। সাথেসাথে তাদের পড়াশুনায়ও আসে নতুনত্ব। অনেক তো হল জেনারেল পড়াশুনা। এবার তাদের পড়াশুনায় কিছুটা নির্দিষ্টতা চলে আসে বা স্পেশিয়ালাইজেশনও বলতে পারেন। ছাত্র/ছাত্রীদের কে বলা হয় বিজ্ঞান, কলা কিংবা বাণিজ্য যেকোন একটা বিষয় বেছে নিতে।
এই স্তরের পড়াশুনা করতে হয় চার বছর। এই চার বছরের পড়াশুনা মুলত দুইটা বোর্ড এক্সাম সেন্ট্রিক হয়ে থাকে। যেখানে ভালো জিপিএ পাওয়াই থাকে লক্ষ্য। তো চলুন এই চার বছর, এই তিন বিশেষ বিষয়ে কি শেখানো হয় সেটা একটু দেখে নেয়া যাক।
প্রথমে আসি কলা বিভাগের বিষয়ে, এখানে ও যথারীতি বাংলা, ইংরেজি নিজ আসনে সমাসীন। সাথে আরো আছে পৌরনীতি, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান আরো যে কত কি। দর্শনের নামে যেসব থিওরি গেলানো হচ্ছে সেগুলো নিয়ে অবশ্যই চিন্তা ভাবনার বিষয় আছে।
তারপর বাণিজ্য শাখায় অ যথারীতি আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজির সাথে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, বিপণনের সাথে সুদি কারবারের হালচাল হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। আমার মনে হয় বিজ্ঞান শাখা কলা আর বাণিজ্য থেকে বেশ ভাল অবস্থায় আছে। তাদের ও আবশ্যিক বিষয়ের সাথে সাথে পদার্থ, রসয়ান, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পড়ানো হয়।
যেহেতু আমাদের পড়াশুনা পুরাটাই বোর্ড এক্সাম সেন্ট্রিক হয়ে গেসে। এই চার বছর কঠোর সাধনার পর আমাদের ছাত্র/ছাত্রীরা দুইটা বোর্ড সার্টিফিকেট অর্জন করে। এ সার্টিফিকেট আবার যেন তেন হলে চলবে, না একদম সোনালি হতে হবে। কারন এ সমাজ সিলভার ব্রোঞ্জকে মেনে নেয় না। তাই তথাকথিত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলেও সেই সোনালি সার্টিফিকেট ছাত্র/ছাত্রী, অভিবাবক এবং তাদের শিখকদের চাই ই চাই। দেখেন ছাত্র/ছাতীরা শুধুই শিখছে কিভাবে ভালো জিপিএ পেতে হয়। নৈতিকতার বালাই এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নাই।
কিন্তু কি অদ্ভুত দেখেন, টানা আট বছর জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি চার বছর বিশেষায়িত পড়াশুনা করলো, ভাল ফলাফল করলো। এখন তো হওয়া উচিত ছিল আরো ন্যারো ফিল্ডে যাওয়া যেখানে স্পেসিফিক কোন সাবজেক্টে ছাত্র/ছাত্রীরা বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবে। কিন্তু কিসের কি! এ সিস্টেম ই যেন সবসময় সবাইকে দৌড়ের উপর রাখার সিস্টেম।
সোনালি, রুপালি কোন জিপিএ পেয়েও যেন শান্তি নাই। গত বার বছর যেই প্যাটার্নে পড়াশুনা হইছে তার থেকে ভিন্ন এক প্যাটার্নে ভর্তি পরিক্ষা নামে বিভীষিকা এসে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে। এই চ্যালেঞ্জে অনেকে বেশ ভালভাবেই উত্রে যাবে। কিন্তু রাখেন খেলা এখন ও অনেক বাকি।
সদ্য কৈশোর পার হয়ে আসা ছাত্র/ছাত্রীরা নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই তো এখানে ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের পছন্দের বিষয়ে বিশ্বের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাবৎ জ্ঞান নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবে। কিন্তু বিধিবাম! এখানে এসে এমন এক জগাখিচুড়ী মার্কা সিলেবাস ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্র/ছাত্রীরা বলতে বাধ্য হয় ছেঁড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি।
যাইহোক বিশ্ববিদ্যালয়েও পুঁজিবাদের ব্যবসায় বিদ্যমান। যত জগখিচুরী মার্কা সিলেবাস তত বেশী টিউশন ফিস। ছাত্র/ছাত্রীদের কিচ্ছুটি করার নেই। তার খুব নিষ্ঠার সহিত সেই সিলেবাস গলধকরন করতে থাকে। কারন জিপিএ নামক ভুত এখানেও বিদ্যমান। কিন্তু মশাই এতদিন তো ভাল জিপিএ দিয়েই পার পেয়ে গেসেন এবার আর তা হচ্ছে না। যত যাই কর সি.ভি. ভারী না হলে জব মার্কেটে পাত্তা পাবা না। আর এভাবেই ছাত্র/ছাত্রীদেরকে কো-কারিকুলাম, কর্পোরেট গ্রুমিং, এই গ্রুমিং সেই গ্রুমিং এর অনবরত ঘূর্ণ্যয়মান চক্রে বেঁধে ফেলা হয়।
যাইহোক ছাত্র/ছাত্রীরাও সমাজের সাথে তাল মেলাতে ঝাঁপিয়ে পড়লো নিজের সি.ভি ভারি করার কাজে। পড়াশুনার পাশাপাশি চলতে থাকে নানান ধরনের ট্রেনিং, কো কারিকুলাম এক্টিভিটিস, নানান রকম গ্রুমিঙ্গের পর্ব। শুধু কি এতো টুকুতেই শেষ! এরপর চলে এই সমাজের সাথে মানিয়ে নিতে, পশ্চিমা মান বজায় রেখে নিজেকে স্মার্ট বানানোর পক্রিয়া।
দীর্ঘ চার/পাঁচ বছর কোঠর সাধনার পর গ্রাজুয়েশন, পোষ্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করলেন। কিন্তু না এখন ই না, এই সমাজ আপনাকে মেনে নিতে এখনও প্রস্তুত না। আপনার এখন লাগবে প্রফেশনাল ডিগ্রী, চাকুরীর জন্য লাগবে আলাদা পড়াশুনা। ছাত্র/ছাত্রীরা আবার শুরু করে নতুন এক যুদ্ধ। যে করেই হোক এ সমাজে তার একটা স্থান পেতেই হবে। হয়ত অবশেষে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দুই চার বছরের চেষ্টায় একটা চাকুরী জুটিয়েই ফেলে, এই সমাজে আপনি স্থান করে নিবেন।
সব ই তো করলেন এই সমাজে টিকে থাকতে। এই টিকে থাকার যুদ্ধ করতে করতে কখন যে নিজের যৌবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো খুইয়ে বসেছেন সেটা লক্ষ্য করারও ফুসরত পান নাই।
ব্রিটিশরা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে ভারতীয়দের শিক্ষিত করেছিলো, সেটা হল ঝামেলাবিহীন ভাবে তাদের সাম্রাজ্য রক্ষা করা। তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করেতে একটা শিক্ষিত পাপেট শ্রেনী তৈরি করেছিলো। তাদের শেখানো বুলি ছাড়া বাইরের কিছু বলার হ্যাডম তাদের ছিল না। ভাই ব্রিটিশরা চলে গেসে অনেক দিন হইছে কিন্তু তাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে ব্রিটিশদের আপগ্রেড ভার্সন আধুনিক কর্পোরেশনগুলো। এই কর্পোরেশন গুলোর রঙিন কর্পোরেট দুনিয়া ঠিক সেই ব্রিটিশদের নীতিই ফলো করছে। আপনাকে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের পাপেট/দাসে পরিণত করছে কিন্তু আপনি টেরই পাচ্ছেন না।
তারা নিত্য নতুন পদ্ধতি চালু করছে আর আপনি সেটার সাথে মানিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বহু কষ্টে এক সিস্টেমে মানিয়ে নিয়েও যেন শান্তি নাই, চলে আসছে আর এক সিস্টেম। পশ্চিমাদের ষ্ট্যাণ্ডার্ড বজায় রাখতে আপনাকে সারা জীবন পরিশ্রম করতে হবে। আর এই সিস্টেম চক্রাকারে চলতেই থাকবে। যতদিন আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন, ভাল আর না পারলে পশ্চিমরা আপনাকে লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে দিবে। হায় আফসোস। নিজের যৌবনের সেরা ১৭-১৮ বছর খরচ করছেন শুধু পশ্চিমাদের কর্পোরেট স্লেভ হওয়ার জন্য!
যে আল্লাহ সুবানাহু তা’য়ালা, আপনাকে আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদাত করতে। সেখানে আপনি সারা জীবন পরিশ্রম করে কর্পোরেট স্লেভ হওয়ার জন্য আপনার সি.ভি. তে লিখছেন আই অফার মাইসেলফ......।
ভাই/বোনেরা শুনেন কিয়ামতের দিবসে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপরে থাকবে, যেই দিবসের দৈর্ঘ্য হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। সেই দিনে আল্লাহ সুবানাহু তা’য়ালা ৭ শ্রেণীর মানুষকে তার আরশের নিচে ছায়া দিবেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেনী হল সেই যুবক যে তার যৌবনকে আল্লাহর ইবাদাতে কাটিয়েছে।
কিন্তু আপনি তো আপনার যৌবন কাটিয়েছেন নিজের সি.ভি. ভারি করার কাজে এবং দিনশেষে নিজেকে স্লেভ হিসাবে অফার করতে। আপনি নিজেকে আশরাফুল মাখলুকাত প্রমান করতে পারেননি। বরঞ্চ অন্যের গোলাম হয়ে কাটিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। না পেলেন এই দুনিয়াতে সম্মান মর্যাদা না পাবেন আখেরাতে মহান আল্লাহ সুবানাহু তা’য়ালার রহমত।
পশ্চিমাদের দেখতে মোহনীয় সিস্টেমের চক্রে পরে কিযে হারাচ্ছেন সেটা যেন আপনি বুঝেও বুঝতে চাচ্ছেন না। পশ্চিমাদের অতীত ইতিহাস পড়ূন, সেখানে আপনার জন্য শিক্ষা আছে। এখন ও সময় আছে ফিরে আসুন এবং আল্লাহ সুবানাহু তা’য়ালার ইবাদত করে নিজেকে আশরাফুল মাখলুকাত প্রমান করুন। তাহলে মহান আল্লাহ সুবানাহু তা’য়ালা আপনাকে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় স্থানেই সম্মানিত করবেন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩