এক কাপ চা, শীতের সন্ধ্যায় বেশি ঝালের ভর্তায় মাখানো চিতই পিঠার অজুহাতে বুকপকেটে কতবার প্রেম নিয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম সে গল্প কেউ জানে না।
আজকাল অবশ্য আক্ষেপ নেই।
যে গল্প প্রকাশিত হবার পর নিষিদ্ধ হয়, সে গল্প প্রকাশিত না হলেই লেখক কম কষ্ট পায়।
পাইকারী হারে শহরে গজিয়ে ওঠা মোটিভেশানাল স্পিকারের মত মাঝেমধ্যে নিজেকে এভাবে মোটিভেশান দিতে হয়৷ ভেতরটা হেসে উঠে, মানুষ কত ভন্ড! অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না, আবার অপ্রকাশিত অনুভূতির কষ্টকে ছাপিয়ে উঠতে কত মিথ্যে গল্প, মোটিভেশান।
ভরা বর্ষা চলছে। গ্রামে রাস্তার দুধারে পানি জমে থাকা নদীর মত ফসলহীন ধানক্ষেত দেখা যায় না শহরে। তবে নগরকর্তাদের কৃপায় সচ্ছ না হলেও নোংরা পানিতে ভেসে উঠে শহরের অন্য ছবি। শহর জানান দেয় দেখো নগরকর্তা শহরে বর্ষা-বিলাস আয়োজন করেছে।
এমন এক বর্ষায় দ্বিগুণ ভাড়ায় ঠিক করা রিক্সায় আমাদের আটকা পড়া হয় নি। দেখা হয় নি রিক্সাওয়ালার খোলা ম্যানহোল, ড্রেন, হৃদয়ের ক্ষতের মত রাস্তার গর্ত এড়িয়ে চলার জ্যামিতিক হিসেব। মনে মনে ভাবা হয় নি, ভাড়া বেশি তাতে কি! সময় বেশি সাথে তুমিও, পয়সা উশুল।
এসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতেই শেষ হয় অল্প অল্প করে গেলা কফির শেষ চুমুকও। বাইরে বৃষ্টি, ফুটো পকেটে আরেকটা কফির জোগাড় থাকার কথা নয়। রাস্তায় পানি নেমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। পানির ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে পিচঢালা কালোপথের মাঝে মাঝে থাকা নগরকর্তার লাল ইটের গর্ত।
রাস্তায় জমে থাকা জল, উঁকি দেয়া গর্তের দায় না হয় নগরকর্তার ঘাড়ে দিলাম।
বুকের ভেতরে যে জল জমে আছে, যে ক্ষত গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে সংস্কারের অভাবে - সে ভার কাকে দিব?
নিজেকে নাকি তোমাকে, তোমাদের?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫১