আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাখাত হওয়া সাংবাদিক ইলিয়াস সাহেব একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনলাইনেও যে গবাদী পশুর খামার বিশেষ করে ব্ল্যাক ব্যাঙ্গলের ফার্ম করা যায় এবং সেখান থেকে আয় করা যায় সেটা তাকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে 'গোট ফার্মিং' এ বাংলাদেশী ইউটিউবারদের সমতুল্য কেউ নেই বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি শুধু সাংবাদিক নন একজন অনলাইন কৃষকও বটে। তাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ।
আমার দেখা পরিচিত মানুষদের মধ্যে যারা অন্ধভাবে ইলিয়াস সাহেবকে অনুসরণ করেন ও পীর মানেন, তাদের প্রায় ৯০ ভাগই অনেক আগে থেকে নিজেদের অজান্তে গবাদী পশু হয়ে অনলাইনে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। ইলিয়াস সাহেব সহ নামী দামি অনলাইন কৃষকরা মার্কেটে আসার পর সবার একটা স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। ইলিয়াস সাহেবও উদার মনা। তিনি দক্ষ রাখালের মত এত হাজার হাজার প্রানীকে নিজের ফার্মে জায়গা দিয়েছেন এবং তাদের ব্যবহার করে অর্থ উৎপাদন করছেন। স্বাবলম্বী হবার এই প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই।
এছাড়া বাকি যারা আছেন, তারা আপনারা ইলিয়াসের ভিডিও দেখে প্রচন্ড উত্তেজিত বা স্বমেহিত হোন, সেটা আপনাদের নিজস্ব ব্যাপার। আপনার নিজস্ব রুচি, পছন্দের দায় আপনাদের। এটা নিয়ে আমার নুন্যতম মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমাকে দেখানোর জন্য ইনবক্সে বা পোস্টে ট্যাগ দিবেন না। কারন নতুন করে হাগু দেখার কিছু নাই। সাত সকালে আমি প্রতিনিয়ত এই ধরনের কন্টেন্ট কমোডে ফ্ল্যাস করে দিনের শুরু করি।
ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বলেছি দেখে আমাদের এক সাবেক ব্লগারের মন খারাপ হলো। তিনি আমাকে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন করেছেন, জ্বলুনিটা বুঝতে পারছি। অন্য কেউ হলে আমি অবশ্য তর্ক বা বিতর্কে যেতাম বা নিদেন পক্ষে একটা আলোচনায় যেতাম। কিন্তু যার কথা বলছি তার সাথে আলোচনা চলে না। উনি মানুষ হয়ে ছাগলদের প্রতি অবিচার করেছেন কারন অনেক উন্নত প্রজাতির ছাগলের আইকিউও তার চেয়ে বেশি। গত ১৫ বছর আগে উনার আইকিউ যেখানে ছিলো বর্তমানে তার আইকিউ আরো নিচে নেমে গেছে। কোন বিপদসীমা দিয়ে আপনি এই বিপর্যয়কে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না।
মাঝে মাঝে প্রচন্ড আফসোস নিয়ে বলি- হে মহান সৃষ্টিকর্তা! আপনি এরে মানুষ বানাইয়া ছাগলদের সাথে এত বড় বৈষম্য কেন করলেন?
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার এবং খুনীদের ঘৃণা করার জন্য আমার হাতে বহু যৌক্তিক কারন আছে। আমাদের চোখ, আমাদের বিবেক সাক্ষী। তার জন্য আমাকে সত্যের সাথে মিথ্যে মিলানোর প্রয়োজন নাই। একটা কথা আছে, better a witty fool than a foolish wit। আমি এটা মানি। আমাদের দেশের মানুষ সহজ সরল। যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য এই দেশের সাধারন আবেগকে পুঁজি করে নিজের ফায়দা লোটে, আমি তাদের সমর্থন করি না।
এই সমালোচনা করার কারনে যাদের মন খারাপ হবে বা জ্বালা ধরবে তারা আমার সামাজিক মাধ্যম ও ব্যক্তিগত বন্ধু তালিকা থেকে বিদায় নিতে পারেন। এতে আপনার গায়ের জ্বালাও কমল আর আমিও একটু বিশুদ্ধ বাতাস পেলাম। তবে আপনার জন্য আমার থাকবে সত্যিকারের আফসোস! দুই পায়ে পার করে দিলেন চার পায়ের ওজন।
বিঃদ্রঃ লেখাটি সংক্ষিপ্ত আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০