১।
সকালে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের মধ্যকার টি২০ ম্যাচ দেখছিলাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, বাংলাদেশ আজকে টিম হলুদ জার্সি পরে ব্যাট করছে। সৌম্যকে দেখলাম মিসফিল্ডের কারনে একটা ক্যাচ চার হয়ে যাওয়াতে দারুন আগ্রাসী বডি ল্যাঙ্গুয়েজ প্রদর্শন করতে। কিন্তু এর পরের বলেই বোল্ড! সকালের চা বানাতে গিয়ে ফিরে আসার পর দেখলাম ৪৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছে। খেলা বন্ধ করতে গিয়ে ভালো করে চেয়ে দেখি আরে এরা তো দেখি উগান্ডা টিম! মানে খেলা হচ্ছে মুলত আফগানিস্তান আর উগান্ডার মধ্যে। আমার কোন দোষ নেই, এই হলুদ জার্সি বাদ দিলে নবীন উগান্ডা আর প্রবীন বাংলাদেশের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। চৌত্রিশ বছর বয়সী ইয়াং প্লেয়ার, টেলেন্টের গর্জনে আর দুর্দান্ত সব শটে আউট হবার প্রাকৃতিক সক্ষমতায় ভরপুর দুইটি টিম। বাংলাদেশ আর উগান্ডার মধ্যে যদি খেলা হয় তাহলে কে জিতবে ভাবছেন? আমার বিশ্বাস নবীন হিসাবে উগান্ডা ভালো করবে।
২।
অতি রক্ষনশীল পরিবারের জনৈক তরুনী তার মায়ের মোবাইল সাথে নিয়ে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো। সামাজিক রীতি মেনে দু চারটি 'নিরিহ' সেলফি তুলে বাসায় ফিরে লক্ষী মেয়ের মত মাকে মোবাইলটি ফেরত দিলো। মা কিছুক্ষন পর মোবাইল চেক করতে গিয়ে দেখে - হলুদিয়া পাখি, সোনালি বরন, পাখিটি ছাড়িলো কে??
মেয়েটির ভাগ্যে কি হয়েছে এখন পর্যন্ত জানি না, তবে গতকাল সায়েন্সল্যাবে প্রচন্ড জ্যামে দুটো রিকশা বিপরীত মুখী অবস্থায় পাশাপাশি আটকা পড়ল। এক রিকশায় বাবা আর বোন। আরেক রিকশায় ছেলে আর তার বাহলগ্ন প্রেমিকা।
আমি সুন্দর বনের বাঘ দেখিনি, কিন্তু গতকাল বাঘের লাফ দেখলাম। আসলে বাঘ না বলে বাঘিনীই বলা ভালো। বৃদ্ধ বাবাকে রেখে বড় বোন যে উড়ন্ত স্টাইলে লাফ দিয়ে অন্য রিকশায় এসে বেচারী প্রেমিকার চুলের মুঠি ধরার চেষ্টা করলেন তা তামিল সিনেমার কাছে নস্যি।
যাইহোক, এই দুর্ভাগ্য প্রসঙ্গে একজনের সাথে আলাপ হচ্ছিলো। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, আহারে! আমারে এইভাবে লাথি গুতা দিয়ে বাঁচানোর কেউ ছিলো না। ধরা খাওয়া মাত্রই বিয়ে করাইয়া দিসে। এখন যাব্বজ্জীবন শাস্তি ভোগ করছি।
৩।
চক বাজার শাহী মসজিদের পিছে আরেকটা মসজিদ আছে। আমার মন খারাপ থাকলে আমি ঐ মসজিদে যাই, ঐ মসজিদের ইমাম সাহেবের খোতবা শুনি। দুনিয়ার গাঁজাখুরি, অদ্ভুত সব কথা উনার সাথে গেলে শোনা যায়। মানুষের দাম্পত্য জীবন থেকে শুরু করে উনার সকালের কষ্টকর বাথরুমের কারন হিসেবে ইহুদি নাসারা কিভাবে দায়ী সেই ষড়যন্ত্র তত্ব শুনি আর মনে মনে আফসোস করি। আফসোস করি এই কারনে যে, কি বিশাল একটা প্রতিভা নষ্ট হলো। উনি যদি কপি রাইটিং করতেন কিংবা সিনেমার কাহিনী লিখতেন, তাহলে আমাদের সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রি আরো এগিয়ে যেতো। মৌলিক ফ্যান্টাসী গল্পে আমরা হয়ে যেতাম স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আরো আফসোস যে, বাংলাদেশের ইসলাম ধর্ম এই সব মুর্খদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে আর এরা 'আলেম' হিসাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
১. ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২২ ০
না লিখলে কিইবা হতো
আর মেয়ে কেমন বোকা, ছবি ডিলিট করলো না , ভালো হইছে ধরা পড়ে গেছে
মসজিদ কমিটির কাছে অভিযোগ করেন