ইলম তথা জ্ঞানার্জনের ফজিলতঃ
১.রাসুল (সাঃ) বলেছেন, দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয। (বায়হাকী)
২.যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষার জন্য কোন পথে চলে আল্লাহ তাকে যেন বেহেশতের কোন এক রাস্তায় চালিত করলেন। ফেরেশতাগণ তালিবে ইলমের সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। আসমান,জমিন এবং নদী গর্ভে যা কিছু আছে সকলেই আলেমের জন্য দোয়া করতে থাকে। বে-ইলম ইবাদতকারীদের উপর আলেমের ততখানি সম্মান যতখানি সম্মান আছে সমস্ত তারকারাজির উপর চাঁদের, আলেমগণ নবীগণের উত্তরাধিকারী, পক্ষান্তরে নবীগণ টাকা পয়সার উত্তরাধিকার রেখে যান নাই বরং তারা ইলমের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। অতএব যারা ইলম অর্জন করেছেন, তারাই একটি প্রাচুর্যপূর্ণ অংশ লাভ করেছেন। (তিরমিজী)
৩.একজন ফিকহবিদ আলেম শয়তানের নিকট একশত বে-ইলম আবেদ হইতে অধিক পরাক্রমশালী। ইবনে মাজাহ
৪.ইসলাম কে জিন্দা করার উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষার সময় যদি কারো মৃত্যু হয়,তবে বেহেশতে তার এবং নবীগণের মধ্যে মাত্র একটি মর্যাদার তারতম্য থাকবে। দারেমী
৫.রাত্রে এক ঘন্টা ইলম আলোচনা করা সারা রাত্রি নফল ইবাদত করা হতে উত্তম। দারেমী
৬.মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তার আমলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়,কিন্তু তিনটি রাস্তা খোলা থাকে। ১.ছদকায়ে জারিয়া, ২.উপকারী বিদ্যা ও ৩.দোয়াকারী নেক সন্তান। মুসলিম
৭.যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে তা অনুযায়ী আমল করে, কেয়ামতের দিন তার পিতামাতার মাথায় সূর্য হতে উজ্জল সম্মানের মুকুট পরানো হবে। আহমদ
৮.যে মুমিন কুরআন পাঠ করে সে কমলা লেবু সাদৃশ,উহার ঘ্রাণও ভালো,মজাও ভালো। যে মুমিন কুরআন পাঠ করে না সে খেজুর সাদৃশ,উহার ঘ্রাণ নাই,কিন্তু স্বাদ মিষ্টি। যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে না সে হানযল ফল সাদৃশ,উহার ঘ্রাণ নাই,বরং স্বাদও তিক্ত। যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে সে রায়হান ঘাস সাদৃশ,উহার ঘ্রাণ ভালো কিন্তু স্বাদ তিক্ত। বুখারী ও মুসলিম
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২