সামাজিক অবক্ষয়ে আমিওকি ভেসে বেড়াবো?নন প্রাকটেসিং পরিবারে আমার দীন প্রাকটেসিং
ভাইবোনগুলো সবথেকে যে সমস্যাটির মুখোমুখি হন তা হল বিয়ে নিয়ে ।
الدنياء حلوة خضراء و خير متاع الدنياء المراءة الصالحة. متفق عليه
"দুনিয়টাই সবুজ আকর্ষণীয় সম্পদেভরপূর,আর দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচেছ নেক্কার সতী নারী।" বুখারী- মুসলিম। বন্ধুরা! এ অমূল্য সম্পদ সম্পদ রক্ষা ও হেফাজত করতে
বোনগুলো খুব বেশি ভুগছেন
তবে ভাইগুলোও কম নয় । আসুন না! আজ না হয় একটু ভাইদের সমস্যাগুলো নিয়েই আলোচনা করি, ভাইদের কে একটু পরামর্শ দেয় যযায় ককিনা! বোনদের টা পরের পোষ্টে পাবেন
ইন শা আল্লাহ ।
.
ভাইয়েরা যখন বিয়ের জন্য দীনি পাত্রী খোঁজে তখনই
সমস্যাগুলোর সূচনা । মায়ের পছন্দ সন্দরী ,ভাইয়ের
পছন্দ স্মার্ট ,বাবার পছন্দ শিক্ষিতা ,দুলাভাইয়ের পছন্দ চালাক
চতুর ইত্যাদি ইত্যাদি ।। টেনেটুনে বিয়ে পর্যন্ত যখন গড়ায়
তখন শুরু হয় আরো নতুন নতুন সমস্যা । রসুল সঃ বলেছেন
মহিলাদের ৪টি জিনিস দেখে বিয়ে করোঃ
১।সম্পদ
২।বংশ
৩।সৌন্দর্য্যে
৪।দীনদারিতা ।দীনদারিতার বেশি প্রাধান্য দিতে বলা
হয়েছে ।
[বুখারী ৫০৯০ ,মুসলিম ১৪৯৯]
.
কিন্তু যখনই ভাইয়েরা দীনদারিতার প্রাধাণ্য দিয়ে কোন
দীনি মেয়েকে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই
বিপাকে পড়ে যায় । "বউ এত পর্দা করতে হবেনা , মুখটা না
ঢাকলে কি হবে তোমার দুলাভাই তো" "এই যে তোমার
দেবর একটু কথা বলো" "ওমন মুখ গোমরা করে
থেকোনা আত্মীয়-স্বজনের সাথে একটু হেসে কথা
বলো তোমার চাচা শশুর ইনি" "এত সময় ধরে নামায পড়ো
বাকি কাজ কখন করবে ?" এমন কথার মার প্রতিনিয়ত খেতে
হয় । দুলাভাইয়ের ,দেবরের রসিক রসিক কথা ,এখান ওখান
খোঁচা দেয়া ,মাঝেমধ্যে হাত ধরে নাক ধরে টানাটানিও
কিন্তু বাদ যায় না ।নাউযুবিল্লাহ । কত জঘণ্য রুচি ! কিছু মানুষের
মানসিকতা কখনো পরিবর্তন হয়না আর মুরুব্বীদের প্রশ্রয়
দেয়াটা এজন্য খুব বেশি দায়ী ।ভাই ভাবছেন এক্ষেত্রে
কি করা উচিত ? আপনি চুপচাপ আল্লাহর উপর ভরসা করে
তাকিয়ে তাকিয়ে সহ্য করলে হবেনা ।আল্লাহ বলেছেন
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে ,চেষ্টা আর ভরসা দুটোই
থাকতে হবে ।আপনাকে প্রতিবাদি হতে হবে ,আপনাকে
শক্ত হতে হবে ,আপনাকে কারো কারো কাছে
লাঞ্ছিত হবার মানসিকতা থাকতে হবে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে
লড়তে গিয়ে আঘাত পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ।
ভাই একটা কথা সবসময় মাথা রাখতে হবে আপনার স্ত্রী
শুধুই আপনার একার সম্পদ ।এটা আর কারো না ।আপনি
অনেক প্রতিক্ষার পর যে সম্পদ পেয়েছেন তা কি এত
সস্তা ! আপনাকে স্বার্থপর হতে হবে আপনার সম্পদ
রক্ষার্থে ।
কখনো তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দিয়েন না ।যখন
মা বলে দেবর এসেছে অত মুখ লুকাতে হবেনা
,আপ্যায়ন কর ,তখন আপনি বলুন "মা পর্দা করেও কিন্তু
আপ্যায়ন করা যায়"
যখন দুলাভাই তামাশার ছলে অশ্লীল কথা বলে তখন
দুলাভাইয়ের প্রতি সম্মান দেখানো বাদ দিয়ে স্ত্রীর
প্রতি আগে সম্মান দেখান কেননা আপনার দুলাভাই এখানে
অপরাধী ।বলুন,"আমার স্ত্রীর সাথে মার্জিত এবং
প্রয়োজনীয় কথার বাইরে কোন কথা বলবে না " ।
ভাই ভুলে যাবেন না আপনি তার সম্পদের মালিক ,সুষ্ঠু
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু আপনার । অনেক বড় বড় আলিমকে দেখেছি, তাঁর বালেগ ছোট ছেলেকে দিয়ে বড় ছেলের বউকে বাপের বাড়ি,শশুরবাড়ি, সফরের রাস্তা আনা নেয়া করায়"! বিপন্ন ইসলাম!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৬