শুভলং পাহাড়ে সেই কবে বেড়াতে গিয়েছি,
জলের প্রচন্ড শব্দে সবার সে কি উচ্ছ্বাস
আষাঢ়ের শেষ ছিল-
হ্রদের শরীরভর্তি জল কথা বলছে-
কলের সবুজ বজরা তাতে মাতালের মত চলে;
রাতে চাঁদ উঠলো-
ভরা জ্যোৎস্না, অনির্বচনীয় আলো
আকাশের দিকে তাকালে পেঁচাদের পর্যন্ত
চোখ বুজে আসবে !
অদশ্যন্তী, এতসব রেখে স্বপ্নে কেমন করে যেন
ঐরাতে তোমাকে দেখে ফেলেছিলাম,
বুঝেছিলাম, অতুল্য সৌন্দর্যকে
কেমন বুকে করে আগলে রাখতে পেরেছি ।
ইদানীং যদিও স্বপ্ন দেখতে পারি না
আটলান্টিয়ানদের মত মৃতের ঘুম ঘুমাই
আড্ডায়ও ভীষণ অন্যমনস্ক;
বন্ধুরা বলল, 'অবসন্নতা।
হাওয়া বদলে হয়তোবা কেটে যাবে।'
সময় করে আরও একবার গেলাম শুভলং এ।
কী আশ্চর্য ! যেখানে জলের
ভাঙনের শব্দে চীৎকার পর্যন্ত শোনা যেত না,
সেখানে ফিসফিস করে সিগারেট চাইলেও
স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে দূর থেকে,
প্রখর রোদে জলশূন্য অনাবৃত ঝর্ণার শরীর আর
কথা বলে না। জানো, অদশ্যন্তী?
সেই অমারাত্রিতে একটা বিরান মরুভূমি স্বপ্নে দেখেছিলাম !