তোমায় তো সেই কবেই ভুলে গিয়ে
করেছিলাম আকাশ ভাগাভাগি,
চেনা পথের দিব্যি কেটে নিয়ে
ছেড়েছিলাম দুজন পথের দাবী ।
পুরোনো চিঠি পোড়ানো হয়েছিল ।
ওড়ানো হয়েছিল কথকতা-
ডিরেক্টরির তথ্য মোছা হল,
ভুলে যাওয়ার কি যে ব্যাকুলতা !
দুজন দূরে ছিলাম অনেকদিন
ভুলে যাওয়ার নির্ভুল পাঠ নিয়ে
আজকে হঠাৎ তোমার মুখোমুখি
ভাঙা পথের জীর্ণ সেতু দিয়ে ।
পড়তে বসে অবসরের দিনে
তোমার দেয়া উপন্যাসের ফ্ল্যাপে
হাত বুলিয়ে চেনা হাতের লেখা
দেখি প্রেতসম্ভব অসম্ভবে ।
কেমন করে জড়িয়ে আছো আজও
জীবন্মৃত ন্যুব্জ স্মৃতিকোষে,
উপড়ে তোমায় যায়নি ফেলে দেয়া
নির্জনতার ইরেজারে ঘষে ।
হাতহারানো একলা আমার হাত
ছোঁয় তোমাকে প্রাচীন কালির দাগে
কতদিন তো তোমার পাশেই ছিলাম
হয়েছিল কি ছোঁয়া এমন আগে ?
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে নিয়ে
আমরা কেবল আকাশ ভেঙে চলি
হয়না শোনা নিঃশব্দের ভাষা-
হয়না দেখা চোখের শব্দাবলী-
তুমি কি আজ সেই মানবীই আছো?
দূরের হয়েও রইতে পারো কাছে?
পড়ে নিও-; শব্দবিহীন চিঠি
রেখে দিলাম দুই আকাশের মাঝে ।