নিভানো সূর্যের দেশে, এক সমুদ্র বিষণ্ণতায়
নাবিকের ক্লান্তির মত আমি যখন ছিলাম
কয়েকটি স্কাইলার্কের মাতাল চিৎকারে
ঘুম ভেঙে যেত। প্রতিদিন নতুন অধ্যায়
তাদের গল্প নিয়ে শুরু হত। আহারে !
আজ আমার যাত্রা নিরুদ্দেশ; দুর্ভাবনা
জাহাজে চড়তে, ব্যস্ত আমার এয়ারোড্রাম
আকাশে বিমানের ছড়াছড়ি- পাখিদের ভয় !
আমার স্কাইলার্কগুলিকেও আর দেখি না
যাদের আমি একদিন 'বন্ধু' নামে ডাকতাম।
যতিসংজ্ঞাহীন সমুদ্র মেঘের ওপর থেকে
দেখে- আজও সমুদ্র নিয়ে কবিতা লিখবো
জাহাজের চমৎকার দিনগুলির কথা মনে হবে;
হয়তোবা কবিতাটির গল্প শোনাবো প্রেমিকাকে
কিন্তু সেইসব- আরতির মত অপূর্ণ হয়ে রবে
যেমন নিশূন্য এখন অর্ণব- অনেক আকাশ
যা দেখে কিছু কবিতা এখনও লিখি-লিখবো
তবু দিনশেষে কবিতাটি অন্যরকম হয়ে যাবে
বারবার প্রশ্ন করবে অবিলম্ব দীর্ঘনিঃশ্বাস
কবে আবার স্কাইলার্কের চেনা ওড়াওড়ি দেখবো?
=====================================================
উৎসর্গঃ
রাত ১টায় শুচি (শুঁটকী মাছ) ইনবক্সে নক করে বলল, 'বন্ধু' নিয়ে তোর চেনাজানা কোন কবিতা আছে? আমি অনেক চিন্তাভাবনা করেও কোন কবিতা মনে করতে পারলাম না। জানালাম। ও বলল, 'তুই তাড়াতাড়ি একটা-দুইটা লাইন লিখে দে না বাপ !' আমি ১-২ লাইন লিখতে গিয়ে ১০-২০ লাইনের বিশাল কবিতা লিখে ফেললাম। এই হচ্ছে 'স্কাইলার্ক'-এর ইতিহাস। কবিতা লেখার পর মনে হল, ইদানীং চিন্তাভাবনা সব এলেগরিকাল হয়ে যাচ্ছে। বেশী বেশী ছবি আঁকাআঁকির ফল।
যাই হোক, কবিতাটি আমার প্রিয় বন্ধুদের জন্যে- যাদের ছাড়া জীবনযাপন অত্যন্ত কষ্টকর।
======================================================