ঘর বন্ধ করে আমি লিখতে বসেছি এই জীবনের শেষ কবিতাটি
গরমে দরদর করে ঘাম ঝড়ছে, কলম কাঁপছে, কাঁপছে সর্ব স্বত্তা
আজ থেকে জ্ঞান করবো- তুমি জীবিত নও, মৃত আত্মা
অথবা কখননোই এই পৃথিবীতে তোমার অস্তিত্বই ছিলো না,
আজ থেকে আর ভাববো না, কাঁদবো না আর,
যতো ভুলচুক মিটে যাক সব, জীবনে এলো অন্ধকার,
সবই আমার প্রাপ্তি। যদি বেঁচে থাকি কেটে যাক ক্লান্তি।
আমি একা একাই পথ পাড়ি দিবো পথ, অথবা এভাবে
এই কুঁড়ে ঘরে বসে থাকবো স্থির হয়ে, যেমন থাকি।
শৈশবে থুতু দিয়ে কলমের কালি তুলবার মতো ঘঁষে ঘঁষে
তুলে ফেলবো অতীত। আর ভবিষ্যৎ?
সে তো আজীবনই ধরাছোয়ার বাইরে।
জীবনের গল্পটা আধুরাই থেকে যাক তবে, আসুক ঘুটঘুটে
অন্ধাকারাচ্ছন্ন রাত, নামুক বৃষ্টি।
আমি ধুয়ে ফেলবো সব স্মৃতি।
বীভৎসতার সমাপ্তি হয়ে চারিদিক আবার আলোকিত হোক
সবার মুখে কেবলই ফুটুক হাসি,
তুমিও হাসো, নতুন জীবনে শান্তি খুঁজে নিয়ে
এইতো তবে চেয়েছিলে- হাসতে হাসতে কারও বুকে ঠিকানা খুঁজে নেয়া।
দিন শেষে যেমন ডুবে যায় সূর্য
তেমনই ডুবে যাবো, আমার ঘরে উঁকি দেবে অসমাপ্ত রাত।
স্বার্থের বাজারে হয়ত বার বার বিনা মূল্যে বিক্রি হবে পাগল ছেলেটি
শূন্য থলিতে হাসি খুঁজে নিতে হবে, যেমন নিতে হয়।
ভুল শুধরে নিয় তুমি শুরু করো নতুন জীবন,
হাসিও, রাঙিও তার ভূবণ।
অভিযোগ অনুযোগ নেই, আর অভিমান? সে দূরের কথা।
আমি তো আজীবন ডানপিঠেই রয়ে যাবো।
বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন অলস বিকেলে
আমি শূন্যে মুখ তুলে চেয়ে থাকবো,
আমার জীবনের মতোই ধূসর সন্ধ্যে নামবে প্রতিটি সূর্যাস্তে।
আমি অন্ধকারের বুকে মুখ গুঁজে আকাশের সঙ্গে গল্প করবো,
বুকে জমে থাকা মেঘগুলো দূর করতে
রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলবো কবিতাগুলো।
পুড়িয়ে ফেলবো শেষ লেখা কবিতাটি ও একটি রঙিণ জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১:৫৫