রাজা কৃষ্ণচন্দ্রঃ ও মন্ত্রী, এসব কি শুনছি! রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশ কিনতে নাকি পুকুর চুরি করা হয়েছে?
সভাকবিঃ ওমা!
ঘটনার মুলে তাহলে বালিশ!
তাই হচ্ছে এতো মালিশ,
করছে সবাই নালিশ,
বসছে বিচার সালিশ!
কৃষ্ণচন্দ্রঃ আহ! সভাকবি, এই অসময়ে এতো কবিতা আওড়াইও না তো। আমার ভাল্লাগে না।
মন্ত্রীঃ অজ্ঞে মহারাজ, আপনাকে কে বলেছে বলুন তো? নিশ্চয়ই গোপাল ব্যাট।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ মন্ত্রী, যা রটে তা কিছুনা কিছু বটে। তুমি কি বলো গোপাল,,,,?
গোপালঃ এটা শুধু পুকুর চুরি না আস্ত একটা সাগর চুরি, তা এবার কানা পর্যন্ত বুঝতে পেরেছে মহারাজ।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ ঠিক বুঝলাম না গোপাল! তুমি একটু বুঝিয়ে বলো তো,,,,
গোপালঃ আজ্ঞে মহারাজ বুঝলেন না;প্রজারা বালিশ- ঝাড়ু কিনে তাই বালিশ কেনার পুকুর চুরি ধরতে পেরেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জালানি ইউরেনিয়াম ও যন্ত্রপাতির দাম তো জানেনা, তাই সেক্ষেত্রের দুর্নীতিও তারা বুঝতে পারেনা। তাই বলছিলাম মহারাজ, পুকুর চুরি সামনে আসলেও সাগর চুরি অগোচরেই রয়ে গেছে হয়ত!
বিজ্ঞানীঃ গোপাল ঠিক বলেছে মহারাজ। সাধারণ প্রজারা তো জানেও না ইউরেনিয়াম কী? এটা খায় না মাখে? দেখতে লাল না নীল, এটা লিটারে নাকি কেজিতে বিক্রি হয়! তাই তারা কিভাবে বুঝবে এক্ষেত্রে কত দুর্নীতি হয়েছে?
কৃষ্ণচন্দ্রঃ বলো কী বিজ্ঞানী! রাজ্যে কি তাহলে দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে!
রাজবৈদ্যঃ আমি কিন্তু এই বুড়ো বয়সে এই জটিল রোগের ওষুধ আবিস্কার করতে পারবনা, তা আগেই বলে রাখলাম মহারাজ।
পন্ডিতঃ মহারাজ, আমরা তো ভাবতাম কেলেপচার মধ্যে কোন জ্ঞান বিদ্যা নেই তাই হয়ত সে রাতের আধারে সিধ কেটে চুরি করে। কিন্তু এখন তো দেখছি মহা শিক্ষিত ব্যাক্তিরাও কলমের এক খোচায় কেলেপচার চৌদ্দ গুষ্ঠির রেকর্ড ভেংগে ফেলেছে মহারাজ।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ তাহলে এখন কি হবে গোপাল? এই বিপদের সময় তুমিই আমার একমাত্র ভরসা। তুমি একটা কিছু করো গোপাল। বলো আমি এখন কি করব, যাতে প্রজারা শান্ত থাকে।
গোপালঃ আজ্ঞে মহারাজ আপনি এখন যাই করুন না কেন কোন লাভ হবেনা। এ বিষয়ে প্রজারা আপনাকে কোন দিন বিশ্বাস করবেনা।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ কেন গোপাল কেন? তুমি কেন একথা বলছ?
গোপালঃ মহারাজ, ভালো করে মনে করে দেখুন, মন্ত্রী মশাই কত বার চুরি করতে যেয়ে ধরা পরেছে? আর আপনি তাকে কি শাস্তি দিয়েছেন? বড়জোর ২০০ মিটার দৌড়। তাহলে প্রজারা কিভাবে আপনাকে বিশ্বাস করবে?
কৃষ্ণচন্দ্রঃ তা অবশ্য তুমি ঠিক বলেছ গোপাল।
কিন্তু এখন কি হবে গোপাল!
গোপালঃ আপনি কোন চিন্তা করবেন না মহারাজ, সবঠিক হয়ে যাবে।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ তা কিভাবে ঠিক হবে শুনি,,।
গোপালঃ আপনি পাশের দেশ থেকে চাল আমদানি করুন তাহলে প্রজারা ধানের দাম পাবেনা, ফলে তাদের গায়ে শক্তিও থাকবেনা। দেখবেন দুদিন লাফালাফি করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরবে।
কৃষ্ণচন্দ্রঃ সত্যি গোপাল, তোমার বুদ্ধির কোন তুলনা নেই।
গোপালঃ সবে আপনার দয়া মহারাজ। এই অধমকে দয়া করে সেবা করার সুযোগ দেন।
এই কৃষ্ণনগরে আপনিই সর্বেসর্বা। আমরা শুধু উপলক্ষ মাত্র।
সভাসদঃ জয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জয়, জয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জয়,,,,
#ফান পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০