বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তের ভেতরে ঢুকে বিএসএফ গুলি করে এক বাংলাদেশী কৃষককে হত্যা করে তার লাশ সীমান্তের ওপারে নিয়ে গেছে। শাহাবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোজাম্মেল হক জানান, ঐ দিন ভোরে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের চাকপাড়া সীমান্তে 182-3 এস সীমান্ত পিলারের কাটা তাঁরের বেড়া সলংগ্ন জমিতে কাজ করার সময় একদল বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে ঢুকে বাগিচাপাড়া গ্রামের মোঃ এরফান আলীর ছেলে কামাল উদ্দীনকে (30) গুলি করে হত্যা করে এবং তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিডিআর বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত ও পতাকা বৈঠকের দাবি জানিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ।। মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বুজরুক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএসএফ নিহত ব্যক্তির লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে বিএসএফ লাশ সনাক্ত করতে বিডিআরকে পত্র দিলে বিডিআর লাশ সনাক্তকরণের জন্য সীমান্তে ওপারে লোক পাঠায়। কিন্তু তারা লাশ সনাক্ত করতে পারেনি। ঐ দিন রাতে ভারতের 89 খোরকা ব্যাটালিয়নে বিএসএফ সদস্যরা হরিপুর উপজেলার বুজরুক সীমান্তের 358 নং পিলারের কাছে গুলি করে ঐ যুবককে হত্যা করে। বিডিআর জানায়, নিহত যুবকের (35) পরিচয় পাওয়া না গেলেও নিহত ব্যক্তির মাথায় টিকি দেখে তাকে হিন্দু বলে মনে হচ্ছে। 14 রাইফেল ব্যাটালিয়ন জানায়, নিহত ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হতে পারে। তবে তারা সীমান্ত এলাকায় এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
কুলাউড়া সংবাদদাতা ।। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন ভারতীয় নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুলতলা সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের উভয়দিকে বিডিআর ও বিএসএফ শক্তি বৃদ্ধি করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। বিডিআর সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ তাদের এলাকায় এক ভারতীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলতলা সীমান্তে 1826 মেইন পিলারের-2 আর বি সাব পিলারের নিকটে ফেলে দিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান বলে জানা গেছে। বুধবার ভোরে বিডিআরের টহল দল সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে লাশ দেখতে পায়। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্তবতর্ী ধর্মনগর থানার অনর্্তগত ইয়াকুব নগর গ্রামের কামরু মিয়ার পুত্র বাতির মিয়া (40)। ঐ দিন সকালে বিএসএফ লাশ নিয়ে যেতে চাইলে বিডিআর বাধা দেয়। বিডিআরের ধারণা, বিএসএফ হত্যার দায়-দায়িত্ব বিডিআরের উপর চাপানোর জন্য এ কৌশল অবলম্বন করে। ইতিমধ্যে জুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে। সীমান্ত এলাকায় বিডিআরের নেতৃত্বদানকারী হাবিলদার সাইদুজ্জামান ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত লাশ কি করা হবে এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
ঃঃ দৈনিক ইত্তেফাক ঃ 02.02.2006 ঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৮:২০