শোনো একটা গল্প বলি। পৃথিবীর
এক পাহাড়ের গভীরে ছিলো গোপন কুঠুরি।
কুঠুরিতে ছিলো বিশাল এক আয়না। আয়নার বয়স
কতো, কেউ জানে না।
এক শিকারি শিকার করতে এসে
পেলো সেই আয়নাটিকে। আয়নার জায়গা হলো
শিকারির ছোট মেয়েটির ঘরে।
মেয়েটি ছিলো খুব সাধাসিধে, আহামরি নয়-
শুধুমাত্র প্রাচীন কারুকার্যে ভরা
সেই আয়নায় হয়ে উঠতো সে রূপবতী!
মেয়েটি ভাবে- আয়না এতো অদ্ভুত কী করে হয়!
আয়না ভাবে- এতো সুন্দর মেয়ে কী করে হয়!
দুজনেই দুজনকে দেখে আর অবাক হয়।
দিন যেতে থাকে।
মেয়েটি আরও বড় হতে থাকে; আয়নায় আরও সুন্দর। বাস্তবে আরও
সাধাসিধে।
মেয়েটার দুঃখ ছিলো আয়নাটি।
আয়নার দুঃখ ছিলো প্রেম। সেই মেয়েটি।
দিন যেতে থাকে।
আয়না- দেখতে থাকে।
মাস যেতে থাকে।
বছর।
একদিন শিকারি মারা গেলো। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো।
চলে গেলো অন্য ঘরে- ফেলে গেলো আয়নাটিকে।
আয়না এখন আর কাউকে দেখে না।
অনেকদিন পর ফিরে এসে দেখলো মেয়ে-
আয়নাটি অকারণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪