কান পেতে বসে থাকি। জাহাজের সাইরেন শুনবো বলে সমুদ্রের গর্জন
শুনি নি। ঘর ত্যাগী নাবিকদের প্রাচীন জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেছে
জন্মেরও বহু আগে। তবু আমার রক্তে সমুদ্রের কাতরতা,
আমিও প্রাচীন পথের অবিচ্ছেদ্য অংশ; আমার চোখের তীব্র নেশা তাদের
ফিরিয়ে আনবে একদিন। পুরনো মাস্তুলের জন্য জন্মাবধি অপেক্ষা;
উড়ে যাওয়া বকপাখিদের দেখতে আমার আর ভালো লাগে না।
অথচ, হাড় জমানো শীতে আমি টলছি ক্রমশ। দৃষ্টি হয়ে আসছে ক্ষীণ।
পাথরের উপর আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের বিক্ষুদ্ধ ঢেউ। হাঁচড়ে পাচড়ে
যেভাবে বিকালের বুকে রাত্রি নামে, সেভাবে টেনে নিজের দেহটাকে
ডেরায় নিয়ে যাবো একটু পর। কাঠ-খড়-কয়লা পুড়িয়ে
উজ্জ্বল এক আগুন জ্বালাবো। সেখানে থাকবে তুমি।
বুনো আলোয় উষ্ণ হবে আমার ছোট্ট ঘর। আমার ছোট্ট বসতি।
কিন্তু, উষ্ণতা ভুলে আমারও তো ঘর ত্যাগী হওয়ার কথা ছিলো।
কথা ছিলো আমারও সমুদ্রে যাবার।
যেভাবে একটা বকপাখিকে সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৭