কোন প্রয়োজন ছিলো না;
না লিখলেও পারতাম।
এর আগে তিন তিনবার চিঠিটা লিখে
কুচিকুচি করে ছিঁড়েছি;
ছেড়া টুকরোগুলো কোনটা কার, আলাদা করা যাচ্ছিলো না।
অথচ প্রতিটা অক্ষর কতো কথা দিয়ে জোড়া লাগানো ছিলো
পুরনো গল্পের চিঠি;
শুধু এতোবার লিখতে যেয়ে নীল প্যাডটার কয়েকটা পাতা নষ্ট হলো- এই যা!
না লিখলেও পারতাম; এতোটা সময়ও নষ্ট হতো না।
ঘরের বাল্বটা ক'দিন ধরেই ফিউজড, মাসের ১০ তারিখ যাচ্ছে-
বাড়ি ভাড়াটাও দেওয়া হয় নি।
প্রতিদিনই ভাবি, টিকাটুলির অফিসে গিয়ে
একবার খোঁজ করে আসবো- টিউশনিটা হলো কি না।
ফেরার পথে- সিঁড়িতে নিমাই বাবুর সাথে দেখা হবে;
সে তার চিরাচরিত নিয়মে বলবে-
সন্ধ্যায় বাসায় এসো, এক কাপ চা খেয়ে যেও।
গল্পও করা যাবে বেশ কিছুক্ষন; জানো তো- আমার ছোট মেয়ে;
চিত্রা,
ও কিন্তু বেশ ভালো চা বানায়।
সেই একই কথা,
একটুও বদলায়নি।
সেই পুরনো সিঁড়ি।
কিন্তু এখানে তো অন্য কারো থাকার কথা ছিলো।
রাতে রুমে ফিরি যখন, তখন যেন কেমন কেমন;
ফাঁকা ফাঁকা-
রুমে ঢুকে প্রতিদিনের মতো আরও একবার মনে হয়- বাল্বটা
আনতে ভুলে গেছি। আলো নেই।
ঘরময় অন্ধকার, বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ নেই।
তখনও যেন
কেমন কেমন-
খুব আপন কিছু অনুভুতি
কোন প্রয়োজন ছিলো না,
তবু
বুক পকেটে জমা থাকে একটা নীল চিঠি।