উঁচুতে,অনেক উঁচুতে অভীষ্ট
হয়ে এক সরলরেখায় অভিযোজন
আমার, অতিকায় এক চিলের ডানায়
কোন এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে,
সমুদ্র এর উপর থেকে উড়ে গেছি
চব্বিশ হাজার মাইল,
ভরশুন্য পৃথিবীটা নির্মক্ষিক,
গোলাকার-
তবু সরলরেখায় চলি ক্লান্তিহীন, নির্বিকার।
এইতো, ক'দিন আগেও বসে ছিলাম
একা, সমুদ্র তটে- তারপর,
নির্নিমেখ দৃষ্টি মেলে এঁকেছি
তীব্র প্রসক্তি-মাখা ভেজা বালুচর,
কয়েকটা ডুবন্ত, নোনা ধরা বিষাদে
বড়ো সড়ো- শাদা পাথর,
তরঙ্গবতীদের যৌনকাতর
উচ্ছ্বাস,
অশান্ত জলের মতো,
ফেনাময় শাদা-নীল, সুন্দর।
তবু এখানের বালুতে জমা আছে বিষাদ,
ডানা ভাঙা পাখিদের হাড়-গোড়,
গেরো কবর;
ভেজা বালুরা
শেকড়ের মতো বেয়ে বেয়ে,
বেড়ে ওঠে আমার আশেপাশে,
আমাকে বুঝি টেনে নিতে চায়,
ওদের ভেতর।
আমি নির্লিপ্ত চোখে একবার তাকিয়েছি
নিচের দিকে,
তারপর আনমনে ধুমায়িত
রৌদ্রের মতো অভিকর্ষহীন হয়ে গেছি উড়ে,
ক্রমশ উত্তরে,
আরও উত্তরে,
সরলরেখায় পরিভ্রমণ করে
খুঁজি ২৩ ° ২৭'
শুনেছি সেখানে
টুকরো টুকরো আনন্দ, কাঁচের ফলা-
ছড়ানো- ছিটানো।
আর্টেমিসের তীরের মতো
ছুটে এসে তারা
হত্যা করে বিষাদের চিত্রকল্প।