সূর্যের দিন কেটে যায় কিভাবে আমি ঠিক জানি না,
আমি বরং মধ্যরাত্রিতে দুটো সরলরেখার অদ্ভুত এক ত্রিভুজ
আকার চেষ্টা করে চলি প্রতিনিয়ত। নৈশব্দের অন্ধকারে বেড়ে ওঠা এক ত্রিভুজ।
সূর্যের সাথে ত্রিভুজের শত্রুতা। একজন ডুবে গেলে
আরেকজন উঠে আসে। অথবা ভয় পায় কিনা কে জানে।
ত্রিভুজ খুঁজতে হয় মধ্যরাতে। আমার আয়নাটাকে
জাগিয়ে তুলতে হয়। আয়নার ওপাশের সরু সর্পিলাকার
কালো মানুষটার একটা ছায়া দেখা যায়, রাত্রি এলে সে আসে।
মধ্যরাতের রং কালচে লাল, অনেকটা পাপের মতো। আমি
আর সর্পিলাকার ছায়াটা মিলে মিশে তার সাথে গড়ে তুলি ত্রিভুজ। ছায়া ত্রিভুজের উপাসক।
প্রতিরাতে দুটি রেখাবদ্ধ অদ্ভুত সীমানাটার মাঝে তার আনাগোনা।
উল্টো হয়ে ঝুলতে থাকা শীর্ণ মৃত বাদুড়ের মতো
ঘুমহীন মধ্যরাত্রি কাল এসেছে আবারো একবার,
সহস্র বছর পুরনো কিছু সময়কে সাথে নিয়ে, তবে-
এখন আর আমি নিস্পলক দৃষ্টি মেলে
আগের মতো লাল-কালো রাত্রি দেখি না,
আমি বরং অপেক্ষা করে চলি কালো সর্পিল ছায়াটার,
ইতস্তত অথচ গম্ভীর।
দ্বৈতরেখাবদ্ধ ত্রিভুজের উপাসক।
ত্রিভুজ,
আমি, তুমি ও ছায়া-
ত্রিভুজ মধ্যরাত্রির
অঙ্গীকারবদ্ধ, উপাসনা।
ত্রিভুজ,
তুমি-
আমার ছায়া, দ্বৈত ছায়া ও প্রচ্ছায়া।