রূগ্ন হয়ে গেছে দুপাশের সরল গাছগুলো,
জট বেধে গেছে সহজ হিসেবে, মেলাতে পারিনা কিছুতেই,
চুলগুলো হয়ে গেছে এলোমেলো ডানামেলা পাখি, পাতে
লবণ কম হয়ে যায় কখন টের পাই না আর, চায়ের কাপে জমে সর,
মরু রাজপথে দীর্ঘ জ্যামে বসে থাকি ক্লান্তিহীন, ফোনটা বেজে চলে,
শুধু কথা শুনতে ইচ্ছা করে না ।
শুধু কথা বলতে ইচ্ছা করে না।
বসন্তটা টকটকে লাল ছিলো কৃষ্ণচূড়ায়,
তুমি চিবুকে লুকিয়েছিলে মুখ কান্না সামলাতে সেদিন
এখন কর্ডলেস হৃদপিন্ডে কোন ব্যাথা নেই, অক্ষর নেই কোন -
বর্ষাশেষে রাস্তায় জমা একরাশ আঁজলা ভরা আনন্দ নেই,
আর কোন মেঘদল আপন করে নেয় না কাছে,
ঘুমুবার গল্প করে না কখনো , ইনবক্সে জমে অপ্রয়োজনীয় পংক্তি
রাতগুলো শুধু চোখের নিচে কাজল হয়ে জমে থাকে কাঁচে
ঘুম আর জাগরণের প্রয়োজনে ।
প্রিয় নীল শার্টটার রং জ্বলে গেছে কখন,
তুমি চলে যাবার পর থেকে, মুখে তুলে
ভালোবাসেনি কেউ তোমার মত করে আর, কখনো
শিশিরের শিরিষে ঘষে ঘষে উঠে গেছে বকুলের দল – টেরই পাইনি,
তোমার মত হাসেনি কেউ, বলেনি অস্ফুট চেনা শব্দগুলো,
ফাগুন আসেনি আর চায়ের দোকানে , কড়ই গাছের নিচে, এই শহরে ।
তোমার মেহেদী আঙ্গুলে এখন ফোটেনা কোন ফুল,
কোন কুয়াশা তার ওম দিয়ে আর ঢেকে দেয় না পাঁজর,
কখনো মেনুহীন কখনো কোহেন – লাইনগুলো কাগজের মত উড়ে
আর বিষক্লান্ত শবদেহে পড়ে থাকে কিছু মমতার ছাপ ।
তুমি চলে যাবার পর থেকে।
প্রতিদিন আয়নাতে অন্য একটা মানুষ দেখি ,
প্রতিদিন আয়নাতে অন্য কারো চুল আঁচড়াই ।
( উৎসর্গ : ফাহিম ভাই । আপনি না থাকলে এটা লেখা হত না, কথাটা সত্যি )