জিহাদ বর্তমান বিশ্বের অতি পরিচিত একটি শব্দ। আর এই শব্দকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরণের মতবিরোধ ,মতপার্থক্য ও তর্ক-বিতর্ক। জিহাদের শাব্দিক অর্থ সাধনা বা সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা। আর প্রকৃত জিহাদ হচ্ছে ’আত্মিক জিহাদ’ (জিহাদে আকবর) বা নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ। আত্মিক সংশোধন ও উত্তম নৈতিকতার সাধনা বা সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠাই প্রকৃত জিহাদ বা বড় জিহাদ। আর অস্ত্রের জিহাদ আত্মিক জিহাদের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র মাপের জিহাদ। ইসলামী পরিভাষায় জিহাদ হচ্ছে, প্রেমময় আল্লাহর প্রতি প্রেম - প্রীতির পুর্ণ প্রকাশ ঘটে তাঁর রাহে নিজেকে সম্পুর্ণভাবে বিলীন করে দেয়ার মাধ্যমে - আত্মত্যাগ ও কোরবাণীর মাধ্যমে। এজন্যই ইসলামে জিহাদের বিধান পেশ করা হয়েছে। প্রিয় নবী (সা) যখন মক্কা থেকে অত্যাচারিত - উৎপীড়িত হয়ে মদিনায় হিজরত করলেন, তখন তাঁর সান্নিধ্য লাভের আশায় বহু অত্যাচারিত,উৎপীড়িত, নির্যাতিত মুসলমান ও অমুসলমান উভয়েই শান্তি লাভের আশায় মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং জিহাদে আকবরে সামিল হন। আজ হতে প্রায় পনেরশত বছর পূর্বে মহান আল্লাহতাআলার প্রত্যাদেশ বলে ইসলাম ধমের্র অস্তিত্ব রক্ষায় মুসলমানদের অস্ত্রের জিহাদের অনুমতি ছিল। তার মানে এই নয় যে ইসলাম ধর্মে সর্ব অবস্থায় অস্ত্রের জিহাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সা) তথা ইসলাম ধর্মের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সর্ব প্রথম অস্ত্রের জিহাদকে বৈধ করা হয়েছিল। তবে তা করা হয়েছিল ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষার্থে। মুসলমানদেরকে যুদ্ধবাজ করার জন্য নয়। যদি যুদ্ধ ব্যতিত শান্তি রক্ষা সম্ভব হত তাহলে ইসলাম বদরের যুদ্ধকে অনুমোদন দিত না। এর সপক্ষের উৎকৃষ্টতম প্রমাণ হচ্ছে ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দের হুদাইবিয়ার সন্ধি। মুসলমানদের উদ্দেশ্য যদি যুদ্ধ করাই হত তাহলে কখনই হযরত মুহাম্মদ (সা) বদরের যুদ্ধের পর কুরাইশদের সঙ্গে শান্তি সন্ধি (হুদাইবিয়ার সন্ধি) করতেন না। বরং যুদ্ধই করতেন। ইসলামের অন্যতম নীতি হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিহীণ শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখা সম্ভব, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ না করা। পবিত্র কুরআন শরীফে হুদাইবিয়ার সন্ধিকে ”ফাতহুমমুবিন” বা মহাবিজয় বলা হয়েছে এবং হযরত আবুবকর (রা) বলেন, হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে আমরা (মুসলিমরা) যেরূপ জয়ী হয়েছিলাম অন্য কোন সময় আমরা সেরূপ জয়ী হইনি। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশরা হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করার দরুন মুসলমানরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মক্কা বিজয় করেনেন।
জিহাদ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে আছে -
.......................................................
” এবং আল্লাহ’র পথে তোমরা ঐ সকল লোকের সাথে যুদ্ধ কর যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে,কিন্তু তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না,নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ভালোবাসেন না। ” (২:১৯১)
” এবং তোমরা তাদের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ কর যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিৎনা দূরীভূত হয় এবং দীন আল্লাহ’রই জন্য (কায়েম) হয়। অত:পর যদি তারা নিবৃত্ত হয় তবে (জেনো যে) কারও বিরুদ্ধে কোন শত্র“তা নেই,কেবল যালেমদের ব্যতিরেকে। ” (২:১৯৪)
”এবং তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা আল্লাহ‘র পথে এবং ঐ সকল অসহায় দুর্বল নর-নারী ও শিশুদের (উদ্ধারের) জন্য যুদ্ধ কর না,যারা বলে,হে আমাদের প্রভু ! তুমি আমাদেরকে এই শহর হতে বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীগণ বড়ই যালেম এবং তুমি নিজের সন্নিধান হতে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নিযুক্ত কর।” (৪:৭৬)
জিহাদ সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে আছে -
.....................................................
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত নবী করীম (সা) বলেছেন ”যে ব্যক্তি আল্লাহ’র পথে জিহাদ করে-একমাত্র আল্লাহ’র পথে জিহাদ ও তার বিধানের সত্যতার প্রতি স্বীয়বিশ্বাস প্রতিপন্ন করে দেখানো ব্যতীত আর কিছুই তাকে বাড়ী হতে বের করতে পারে না, আল্লাহ স্বয়ং তাঁর ব্যাপারে জিম্মাদারী গ্রহণ করেছেন যে, তাঁকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করাবেন অথবা সে (জিহাদে অংশগ্রহণ করার কারণে) যা কিছু পুরস্কার এবং গনিমত লাভ করেছে তৎসহ, যেখান থেকে সে (জিহাদে) বহির্গত হয়েছে সেখানে (সহি সালামতে)ফিরিয়ে আনবেন।” (বুখারী,কিতাবুল জিহাদ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা) বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ (সা) খন্দকের যুদ্ধে মদীনা আক্রমণের জন্য আগত সম্মিলিত কাফের বাহিনীর জন্য দোয়া করেছেন। তিনি তাঁর দোয়ায় বলেছেন, হে আল্লাহ! কিতাব নাযিলকারী ও অচিরেই হিসেব গ্রহণকারী,তুমি সবগুলো দলকে (কাফেরদের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত কর)। হে আল্লাহ’র তাদেরকে পরাজিত ও মূলোৎপাটিত কর”। (বুখারী,কিতাবতুল মাগাযী)
আমরা অনেক বাহ্যিক শত্র“কে ধ্বংস করি, কিন্তু বাহ্যিক শত্র“ অপেক্ষা নিকৃষ্টতম শত্রু“ আমাদের অভ্যন্তরে বিদ্যমান থাকে সে শত্র“ হল ’নফস’ বা প্রবৃত্তি। আর এই অভ্যন্তরিন শত্র“কে ধ্বংস করা শুধু মানবীয় জ্ঞান কৌশল দ্বারা সম্ভবপর নয়। মানুষের নফস তার সকল শত্র“ অপেক্ষা ভয়ঙ্কর। আর নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করাই হল প্রকৃত জিহাদ। কারণ সকল প্রকার শত্রু“ই মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের ক্ষতি করে, কিন্তু নফস তার চিরস্থায়ী জীবনের কল্যাণ বিনষ্ট করে এবং ক্ষণস্থায়ী জীবনের ক্ষতি, চিরস্থায়ী জীবনের ক্ষতির তুলনায় অতি নগণ্য ক্ষতি। নফস মানুষের অভ্যন্তরে রয়েছে, তাকে আয়ত্তে এনে সংযত করতে না পারলে তা মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়, যা হয় চিরস্থায়ী জীবনের ধ্বংস। জিহাদ যদি করতেই হয়, তাহলে নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করাই উত্তম জিহাদ বলেগণ্য করা উচিৎ হবে। এ বিষয়ে সুফীকুল শিরোমণি মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী (র.) বলেন, তাসাওউফের মূল উদ্দেশ্য নফসকে পরাজিত করে বশে রাখার সংগ্রাম করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসে যাকে জিহাদে আকবর (বড় জিহাদ) নামে অভিহিত করা হয়েছে। একমাত্র । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার মাধ্যমেই সে জিহাদ পরিচালিত হতে পারে, যার উৎসমূল হচ্ছে কুরআন ও হাদীস। এবং প্রকৃত খিলাফত বিহীণ জিহাদ কি আদৌ সম্ভবপর। বিগত পনেরশত বছরের মুসলিম ইতিহাস এসম্পর্কে কি নমুনা প্রদান করেছে তা পর্যালোচনা করা কি আবশ্যক নয় ? সিফ্ফিনের যুদ্ধে হযরত আলী (রা) - এর দল ত্যাগকারীদেরকে কি আমরা জিহাদি বলতে পারি? কখনোই না। বরং তাদেরকে খারিজী বা স্বদল ত্যাগকারী বলা হয়ে থাকে। প্রকৃত জিহাদ হতে হলে অবশ্যই খিলাফতের অধিনস্তে বা স্বীকৃতিতে হতে হবে। আর যাদের মধ্যে প্রকৃত খিলাফত প্রতিষ্ঠিত নেই, তারা শুধু আত্মিক জিহাদ বা জিহাদে আকবরে সামিল হতে পারবে। এছাড়া তাদের জন্য অন্য কোন পথ শরীয়ত সম্মত হবে না। প্রকৃতপক্ষে বিগত দেড় হাজার বছরের মুসলিম ইতিহাসে আমরা জিহাদের যে নমুনা দেখতে পাই, তা হল প্রিয় নবী (সা)-এর ওফাতের পূর্বে ও পরবর্তী সময়ে খিলাফত চলাকালিন সময়ের জিহাদ।
মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মানুষ হত্যা করা কোন ধরণের জিহাদ? কোন রাষ্ট্রের তিষট্টিটি জেলায় বিনা কারণে একই সময়ে বোমা ব্লাস্ট করে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করা কোন ধরণের জিহাদ ? বিয়ের বাড়িতে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা কোন ধরণের জিহাদ ? গাড়ী বোমা বিস্ফোরণ করে মানুষ হত্যা করা কোন ধরণের জিহাদ ? ইসলাম কি এই ধরণের জিহাদের স্বীকৃতি দেয় ? কথিত জিহাদীরা কি বলতে পারবেন পবিত্র কুরআনের এমন একটি আয়াত তাদের এই সমস্ত ধ্বংসাক্তক কার্যাবলীর সমর্থন করে অথবা এমন কোন একটি হাদীস যা তাদের কাজের সমর্থনে সমর্থ। তাদের এ ধরণের ধ্বংসাক্তক কাজের ফলে কি বিশ্বব্যাপী মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ? না কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থার কল্যাণকর পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ? বিশ্ব দরবারে মুসলমানদের সম্মান বৃদ্বি পেয়েছে ? উত্তর একটিই ”না”। বরং তাদের এ ধরণের ধ্বংসাক্তক কাজের দরূন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা কি প্রমাণ করতে পারবে ইসলামের শরীয়তের কোথাও এই ধরণের জিহাদের কথা বলা আছে। তবুও তারা যদি এই সকল জঘন্যতম কাজ কে জিহাদ বলে আখ্যা দেয়, তাহলে তাদের কাছে চেলেঞ্জ থাকল পারলে এ ধরণের কাজের সমর্থনে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত পেশ করুন যা এ ধরণের ধ্বংসাক্তক কার্যাবলী, যা মানবতা বিরোধী ও ইসলামী শরীয়ত বিরোধী ,তা ইসলাম জিহাদ বলে স্বীকৃতি দেয়। তারা পারলে হাদীস
শরীফের এমন একটি হাদীস পেশ করুক, যা তাদের ধ্বংসাক্তক কাজকে সমর্থন করে। তারা জানে তারা তা প্রমাণ করতে পারবে না । কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম জগতে এসেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে, ইসলাম সর্বাঙ্গিন মানব কল্যাণ সাধণ করতে এসেছে। মানুষকে ধ্বংস করতে ইসলাম আসেনি। বরং পথভ্রষ্ঠ মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ইসলাম এসেছে। জিহাদ শব্দকে পূজি করে কিছু সংখ্যক কথিত জিহাদী ( ইসলামী আকিদার সঙ্গে সঙ্গতী বিহীণ ব্যক্তিবর্গ ) যারা নিজেদেরকে মুসলিম জিহাদী বলে দাবী করে থাকেন ! তারা আদৌ ইসলামী জিহাদের সরূপ সম্পর্কে অবগত নয় বলে এরূপ ঘৃণ্য ও জঘণ্য কাজকে (মানবতা বিরোধি কাজকে) ইসলামী জিহাদ বলে আখ্যা দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। তারা যা করছে তা কুরআন ও হাদিস সম্মত নয়। সুতরাং যারা এই সমস্ত ধ্বংসাক্তক কার্য সম্পাদন করেন ও সমর্থন করছেন, তারা কোন অবস্থাতেই নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করতে পারেন না। কারণ ইসলাম এ শিক্ষা দেয়নি এবং ইসলামী আকিদা মতে, এ সকল ধ্বংসাক্তক কাজ কোন অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়। কেবল মাত্র ইসলামের শত্রু“র দ্বারাই এই সকল ধ্বংসাক্তক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব। তাদের এধরণের কাজের লক্ষ্য ইসলামের বদনাম সাধন ব্যতিরেকে অন্য কিছু নয়। তারা ইসলামকে অত্যন্ত নিন্দনীয় মানবতা বিরোধি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা যে ধরণের ধ্বংসাক্তক কর্মকে জিহাদ বলে আখ্যা দেয়, তার ফলে নাতো ইসলামের কোন উন্নতি সাধিত হচ্ছে, না বিশ্ব মানবতার কল্যাণ সাধিত হচ্ছে। বরং তাদের এসমস্ত মানবতা বিরোধি ঘৃণ্য কাজের দরুন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তারা শত-সহশ্রবার চেষ্ঠা করেও ইসলাম ধর্মকে কুলোষিত করতে পারবেন না। কারণ এ ধর্ম হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর ধর্ম ও বিশ্ব মানবতার ধর্ম। এ ধর্ম আল্লাহর প্রদত্ত ধর্ম। এ ধর্ম ধ্বংস করা জগতের কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। ইসলাম কখনোই কোন ধ্বংসাক্তক কাজের সমর্থন করে না। আর যা ইসলাম সমর্থিত কাজ নয়, তা সম্পাদনকারী কিভাবে নিজেকে একজন মুসলিম বলে দাবি করতে পারে এবং তার কাজকে ইসলামী জিহাদ বলতে পারে। তার বা তাদের কুকার্যাবলীর সম্পূর্ণ দায়-দ্বায়িত্ব, সম্পূর্ণ তাদের। তাদের কুকার্যাবলীর দায়-দ্বায়িত আমরা সাধারণ ধর্মপ্রণ মুসলমানরা নিতে পারবো না। আর ইসলামের এখনো এমন দুর্দিন আসেনি যে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখনো ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখনো ইসলাম বিশ্ব মানবকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে চায়। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব বন্ধুত্বকে কায়েম রাখতে চায়। বিশ্ব শান্তিকে অক্ষুন্ন রাখতে চায় এবং অবশ্যই মানবতার উৎকর্ষ সাধন করতে চায়।
মুসলমানরা কোনদিন জনবল বা অস্ত্রবলে বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেননি। বরং সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় তাঁরি শক্তিতে শক্তিমান হয়ে খিলাফতের আনুগত্য প্রকাশের প্রয়োজনে জিহাদ করেছেন বা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেছেন। প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশ্বাস করেন জনবল বা অস্ত্রবলের কারণে কোন দিন ইসলামের বিজয় সূচিত হবে না। বরং মহান করুনাময় আল্লাহর ইচ্ছাতেই ইসলামের বিজয় সূচিত হবে।
- আদনান সিকদার।