দুই ঘন্টা বা তিন ঘন্টা ধরে, একটানা, একটা মানুষের কথা কল্পনা করলেন। কত সূন্দর সূন্দর মূহুর্ত রচনা করলেন। নীল শারী, হাত ভর্তি কাঁচের চুরী, কপালে পূর্ণিমার চাঁদের মত করে একটা টিপ, খোপায় শিউলী ফুলের মালা, শরীরে হালকা বেলী ফুলের সুবাস, মীনা কুমারীর মত করে কাজলবরণ আখিঁ ইত্যাদি ইত্যাদি।
চোখ বন্ধ করে রিকসায় বসে আছে সে আপনারই পাসে,হাতে হাত রেখে । সে বলছে আমি কিন্তু এখনি চোখ খুলে ফেলবো ? আপনি বাধা দিচ্ছেন এখনী চোখ খুলো না Please. আর একটু অপেক্ষা করো তোমার জন্য দারুন একটা সারপ্রাইস অপেক্ষা করছে। সে যথা সময়ে চোখ খুল্ল এবং অবাক বিস্ময়ে আপনাকে আলিঙ্গন করলো এবং বল্ল সত্যিই তুমি আমাকে এতো ভালোবাস !!!
নদীর পাশে কাশবন, সূর্য ডুবছে, দক্ষিনা বাতাস থাকায় কিছুটা শীত শীত অনুভব হচ্ছে, আগে জানলে একটা চাদর নিয়ে আসা যেত,
থাক চাদর লাগবে না,
তুমি বরং আমার হাতটা আরো শক্ত করে ধরে থাকো দু’জনে একসাথে সূর্য ডোবা দেখি।
এ সবই মনের কল্পনা। যাকে নিয়ে এই কল্পনাগুলো করছেন, হয়তো সে কোনদিনও জানতেই পারবে না এই কল্পনাগুলোর কথা।, কোন একজন সত্যি সত্যিই ছিল যে তাকে এতো বেশী ভালোবাসতো এবং দিনের পর দিন তার কথা কল্পনা করতো।
শুনেছি পরোকালে নাকি ইহকালের সবকিছু দেখানো হবে। যদি কল্পনাগুলোকেও দেখানো হয়, তাহলে মন্দ হয় না। আমরা আমাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জনের কল্পনাগুলোকে দেখবো এবং বিস্মিত হবো। কারণ- দেখা যাবে জীবণভর যে বা যারা কারো কারো কাছে চরম অবহেলার স্বীকার হয়েছে, বাস্তব জীবণের চেয়ে তাদের কল্পনার জীবণ অনেক বেশী সূন্দর ও আকর্ষণীয় ছিল।