এ জাতীয় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পারমানবিক বর্জ্য । বর্জ্য রাখার জন্য নির্বাচিত জায়গার যে যে বৈশিষ্ঠ্য দরকার তা নিম্নরুপঃ
জায়গাটির ভুপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ঠ্য এমন হতে হবে যে ভুমিকম্পের সম্ভাবনা হতে হবে সর্বনিম্ন। আশেপাশে একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পরযন্ত জনবসতি থাকা যাবে না।মাটির প্রকৃতি এমন হতে হবে যে তাপ ও বিকিরনে তা বিশ্লিষ্ট হবে না একই সাথে তা সহজে Drill(ছিদ্র) করা যাবে এবং ভুর্গভস্ত পানির স্তর অনেক নিচে হতে হবে যাতে তা পারমানবিক বর্জ্য এর সাথে না মিশতে পারে এবং একই সাথে দুষিত(Contaminated) হবার কোন সম্ভাবনা না থাকে।এখন প্রশ্ন হল আমাদের দেশে এমন জায়গা আছে কিনা। উত্তর এক বাক্যে না। কারন এই দেশের জনসংখা ঘনত্ব অনেক।মানুষই থাকার জায়গা নেই সেখানে আবার পারমানবিক বর্জ্য। এই বিষয়ে জাফর ইকবাল স্যার প্রথম আলোতে লিখেছেন।কিন্তু সরকার মনে হয় এ বিষয় নিয়ে এখনও ভাবেননি । বাজেটেও দেখলাম এই বিষয়ে(পারমানবিক শক্তি নির্ভর পাওয়ার প্ল্যান্ট) বরাদ্দ আছে।বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা উচিত।আমরা কি পারব চেরোনোবিল কিংবা থ্রি মাইল আইল্যান্ড এর মত ঘটনা হজম করতে। পারব না।পারব নিজেরা ধ্বংস হয়ে যেতে।
উল্লেখ্য যে ১৯৭৫ এর পর থেকে খোদ আমেরিকাতেই আর কোন পারমানবিক শক্তি নির্ভর পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন হয় নি এর অন্যতম কারন হল এই পারমানবিক বর্জ্য সমস্যা এবং দুর্ঘটনা সমস্যা। এই বিষয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের উচিত হবে কয়লা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা।শুধুমাত্র নীতি না থাকার কারনে এই মুল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ এখনও মিটির নিচে।একে জনগনের সবচেয়ে কম ক্ষতি করে তাড়াতাড়ি উত্তলোন করে শক্তি উতপাদনে ব্যবহার করতে হবে,গ্যাস সংকটের এই সময়ে এটিই একমাত্র উপায়।প্রসঙত উল্লেখ্য বিশ্বব্যাপী শক্তি উতপাদনে কয়লা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।আর আমরা সেই সম্পদ ফেলে রেখেছি।বাজেটেও এই বিষয়ে কিছু বলা হয় নি।আশা করি বাজেট পাশের সময় বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে
তথ্যসুত্রঃকন্সেপ্ট অব মডার্ন ফিজিক্স-আর্থার বেইসার(পঞ্চম সংস্করন)