~নারী দিবস তো চলে গেছে। আবেগী স্ট্যাটাস লেখা বন্ধ হয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে নানা মুনি নানা মতই দিয়েছে। আসেন আবেগ থেকে বের হয়ে একটু বাস্তবতাটা পর্যবেক্ষণ করি-
~নারী রিক্সা চালাচ্ছে বলে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। কিন্তু একবার সেই নারীকে কখনো জিজ্ঞেস করেছেন কি তার কাজ করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা। আদৌ সে রিক্সার প্যাডেল ঘুরানোর জন্য উপযুক্ত কিনা। পিরিয়ডের ব্যাথায় কাতরের অনেক গান শুনি, সেই নারীটা পিরিয়ড নিয়ে রিক্সা চালাতে সক্ষম কিনা সেটা কখনো ভেবে দেখেছেন কি?
~নারী এখন পুরুষের সমতুল্য। ইটের বোঝা মাথায় নিতে পারে, হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভাঙ্গতে পারে। আচ্ছা আপনারা তো মাতৃত্বকালীন ৬ মাস ছুটি পান সম্পূর্ণ বেতন সহ। সেই নারীটাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছেন কি, প্রেগন্যান্সির সময় তোমার ইটের বোঝা বইতে কোনো কষ্ট হবে কিনা? তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বেতন ভাতার ভর্তুকি দেওয়ার দায়িত্ব কোনো নারীবাদী সংগঠন নিয়েছে কিনা?
~রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন নারীদেরকে প্যাড বিক্রি করতে দেখা যায়। নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে, উপার্জন করে খাচ্ছে। কিন্তু যেদিন একটাও প্যাড বিক্রি হয় না সেদিন রাতে তার চুলোয় ভাত চড়েছে কিনা সেটা কখনো জানা প্রয়োজন মনে করেছেন কি?
~নারীরা পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করে রাস্তায় বেড়িয়ে পুরুষের সাথে গা মিলিয়ে কাজ করছে। এতে করে কতজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কি?
~ঘরের রান্নাবান্না করার জন্য কোনো নারীর জন্ম হয় নি। কিন্তু একই নারী যখন অন্যের ঘরে রান্না করতে গিয়ে লবন বেশি হওয়ার জন্য খুনতির ছ্যাঁক খায় তখন তার অধিকার কিভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে মনে প্রশ্ন জেগেছে কখনো?
~নারীরা কেন ঘরের কাজ করবে, সন্তান লালন পালন করবে? তারা সারাদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা গার্মেন্টসে কাজ করে রাতে এসে ঘরের কাজ শেষ করে দু'মুঠো খেয়ে কয়েকঘন্টা ঘুমিয়ে আবার গার্মেন্টসে যাবে। এভাবে কয়েকমাস চাকরি করার পর যখন কোম্পানি বেতন দিবে না তখন রাস্তায় নেমে ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করবে। আর এই আন্দোলন দেখে একদল নারীদের জয়যাত্রার গান গাইবে!
কোম্পানির এমডি কিংবা চ্যায়ারপার্সন মহিলা হলে যে সাম্রাজ্যবাদের এই নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। তাহলে শিশু নির্যাতন বন্ধ নিয়ে কাজ করা মহিলা নিজের শিশু গৃহকর্মীর উপর শারীরিক নির্যাতন করতো না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩৫