বছরের দুইটা দিন, ইদের দিন, এই দিনগুলোতেও পোলাপাইন বাজি ফুটাইতে পারবে না, একটু চিল্লাচিল্লি করতে পারবে না, আনন্দ উল্লাস করতে পারবে না এটা কোন ধরনের কথা? এগুলো মানুষের বাচ্চা না? নাকি রোবটের বাচ্চা যে তাদের মধ্যে কোনো আনন্দ উল্লাসের লেশমাত্র থাকবে না।
স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ, এমনিতেই তো পোলাপান ছন্নছাড়া জীবন পার করতেছে তার মধ্যে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টা মোবাইলে পাবজি আর ফ্রী ফায়ার গেমস খেলার ব্যবস্থা কইরা মানসিকভাবে বন্দী বানাইয়া দিয়া ভাবছেন পোলাপান লালন পালন করার সকল দায়িত্ব পালন করছেন। পোলাপাইন পালন করা কি এতোই সোজা?
একটু চিল্লাচিল্লি আনন্দ উল্লাস করতে গেলে এমনভাবে বলেন, "বাড়িতে মুমূর্ষু রুগী আছে" মনে হয় যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরেই দু'চারজন করে মুমূর্ষু রোগী আছে, মুমূর্ষু অবস্থাতেই সব পরিবারে একজন কইরা জন্ম নেয়!!!
দু'একদিন তাদের জন্য নিজেদের মূহুর্তটাকে সেক্রিফাইস করতে না পারলে কিভাবে আশা করেন যে তারা মনুষ্যত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠবে? আমি আপনি সময় মতো তাদেরমধ্যে ভাতৃত্ব বন্ধনের, সহমর্মিতার বীজ বপন করতে পারি নাই তাহলে তারা বড় হয়ে কিভাবে আদর্শ মানুষ হবে?
আর একটা কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়, ' বাজি ফটকা ফুটাইলে ইবাদতে ডিস্টার্ব হয়।' আমার আপনার ইমান এতো কাঁচা কেন রে ভাই ইদের রাতে বাচ্চারা হইহোল্লোড় করলে আমার মনোযোগটা ঐ দিকে যাবে, নামাজ চার রাকাতের জায়গায় তিন রাকাত পড়েই সালাম ফিরিয়ে ফেলবো? নিজের ইমানের ব্যপারে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবো বরং সেটা নিয়েই চিন্তা করা উচিৎ।
সবাইকে ইদের শুভেচ্ছা। ইদ হোক আনন্দময়। হইহোল্লোড়, চিল্লাপাল্লা বাজি ফটকায়, অনুজদের ছত্রছায়ায়, ফিরে আসুক শৈশবের হারিয়ে যাওয়া উল্লাসপূর্ণ সেই ইদের আমেজ
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৬