যা ঘটেছে সেটা হওয়ারই ছিলো। আনভিরকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। এসব মানুষ খেকো গুলো ওত পেতে থাকে কখন একজনকে নিজের ফাঁদে ফেলানো যায়। কখনো টাকার বিনিময়ে, কখনো নারী স্বাধীনতার নামে পারিবারিক বন্ধন থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে, কখনো বা উভয়ের সংমিশ্রণে।
একটি ঘটনা নারীবাদীদের মুখোশ খুলে দিলো, চাটুকার মিডিয়াকে আরেকবার পরিচয় করিয়ে দিলো, কিন্তু আফসোস যাদের এসব চেনার কথা তারা চিনতেই চাইছে না!
ভিক্টিমকে নিয়ে পর্যালোচনা কখনো ভিক্টিম ব্লেমিং হতে পারে না। এক হাতে তালি বাজে না সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু দিন শেষে যে নিচে পরে যায় তাকে ভিক্টিম বানিয়ে ক্রিমিনালের উপর অপরাধের সকল দায়ভার চাপিয়ে দেওয়াও কিন্তু দ্বিমুখী স্বেচ্ছাচারিতা। সমাজ থেকে অপরাধ তখনই নির্মুল হয় যখন অপরাধ সংঘটিত করার মতো কোনো উপযুক্ত কারণ না থাকে।
আনভির হলো একটা সিস্টেম, এই সিস্টেমের বাউন্ডারি কখনো ভেদ করতে পারবেন না।
সিস্টেমের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হলে তার উপাদানগুলোকে চিনতে হবে যা দ্বারা প্রতিনিয়ত ব্রেইনওয়াশ করানো হচ্ছে।
নাইন টেনের একটা মেয়ের সাথে কথা বলে দেখবেন তারা অনেক কিছুই বুঝে, এই বয়সেই ম্যাচিউরিটি চলে আসে। নিজের সিদ্ধান্তে চলতে শিখে। তাদেরকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভব হয় না, কিন্তু লোভে ফেলানো যায়। অর্থের লোভ, স্বাধীনতা দেওয়ার লোভ। এর পরিণতি সম্পর্কেও তারা সম্যক অবগত। কিন্তু কেবল এবং কেবলমাত্র তারা বুঝতে চাইছে না বলে পরিণতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছে না!
আনভিরের টাকা আছে সে টাকা দিছে। মুনিয়ার দেহ আছে মুনিয়া দেহদান করছে। দেওয়া নেওয়ার সম্পর্কে মনোমালিন্য হয়েছে, মুনিয়া নিজেকে নিজে পরকালে পাঠাইছে। আনভিরের টাকা আছে সে টাকা দিয়ে বিচার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, নারীবাদীদের মুখ বন্ধ করবে আমরা বলার কে?
যার শরীর সিদ্ধান্ত তার, যার টাকা সিদ্ধান্ত ও তার, আমরা বলার কে?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৩