হাঁটতে যেয়ে মনে হল জুতার মধ্যে কি যেন ঢুকে আছে। গুড়ি গুড়ি। মনে হচ্ছে ছোট মারবেল নিয়ে হাটছি। কি এগুলা? তেলাপোকার ডিম হতে পারে। অনেকদিন পর জুতাটা পড়েছি, তেলাপোকা ডিম পাড়তে পারে। এদের কাজই হচ্ছে স্থির কিছু পেলে ডিম পাড়া। যেমন, বুক শেলফে রাখা বই।
হাটতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এখন জুতা খোলার টাইম নাই। অতি ব্যস্ততায় আছি। জুতার মধ্যে তেলপোকার ডিম নিয়ে হাটতে হবে।
বাসে উঠলাম। রাস্তায় হেভি জ্যাম। গান শুনে সময় কাটানো যায়। মোবাইলে সব তামিল গান লোড করা।যদিও মেলোডি গান, কিন্তু এক গান বেশিবার শোনার কারণে কেমন গা গুলাচ্ছে। পাশে এক মুরব্বি বসে আছে, তার গায়ের উপর বমি করে দিতে পারলে ভালো হয়। গান বমি। চাচা বলবে "কি হইসে বাবা, কি হইসে?" আমি বলবো "নিথানে, নিথানে! (গানের লিরিক) ওয়াক! ওয়াক!"
তবুও গান ছাড়তে পারছি না। কানে বেজেই যাচ্ছে। নিথানে বাংলা অর্থ তুমি। মাথার মধ্যে তুমি ঘুরপাক খাচ্ছে। চলন্ত বাসে টাইপ করতে যেয়ে বমি ভাব আরো বেড়ে গেছে। vestibulo cochlear imbalance হচ্ছে। আমি ওয়াক ওয়াক করে চাচার দিকে এগিয়ে গেলাম। চাচা ভীত চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। "সরেন সরেন!" বলে সে নিজেই সিট থেকে উঠে গেল।
বমি না করেই বাস থেকে নামতে পারলাম। এখন এক কাপ করা চা খেতে হবে। হাসপাতালের পিছনে ভালো চা বানায়। দোকানদারের নাম জামাল।
চায়ের দোকানটাতে বেশ ভীড়। দুইজন পুলিশ আসামী নিয়ে চা খেতে এসেছে। আসামী বেড়ি শিকলে বাধা, হাত পা নাড়ালেই ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। আশেপাশের লোকজন কৌতুহলী তাকিয়ে আছে। বাধা অবস্থায় চা খাবে কিভাবে? চায়ের দোকানদার মুচকি হাসছে। আস্তে আস্তে বললো,
'বেড়ি বাধা অবস্থায় হাঁটা কঠিন, চ্যাগায়ে চ্যাগায়ে হাটা লাগে, হে হে হে!
আমি বললাম 'বেশি হে হে কইরেন না, পুলিশ শুনলে আপনারেও মাইর লাগাবে, চ্যাগায় হাটা লাগবে, দিনকাল ভালো না'।
একজন বললো 'মনে হয় মার্ডার কেস! এই জন্য বেড়ি পড়াইসে'।
আমি সম্ভাব্য মার্ডার কেস আসামীর দিকে তাকালাম। রোগা শুকনা, নিরীহ চেহারা। তৃপ্তি করে চুকচুক করে চা খাচ্ছে।
চা খাওয়া শেষ হয়েছে। আসামী শিকলের ঝনঝন শব্দ করে হেটে যাচ্ছে। শব্দটা কেমন যেন, মাথায় ঢুকে যায়।
নর্তকীরা নাচের সময় কি এজন্যই নূপুর পড়ে? নূপুরের শব্দ মাথায় ঢুকে যায়, দর্শক মোহগ্রস্ত হয়?
হাই ফিলসফি হয়ে যাচ্ছে। আমার চোখের সামনে নর্তকী ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি বিড়বিড় করছি
'নিথানে নিথানে!'
'তুমি, তুমি!'হাতটতে যেয়ে মনে হল জুতার মধ্যে কি যেন ঢুকে আছে। গুড়ি গুড়ি। মনে হচ্ছে ছোট মারবেল নিয়ে হাটছি। কি এগুলা? তেলাপোকার ডিম হতে পারে। অনেকদিন পর জুতাটা পড়েছি, তেলাপোকা ডিম পাড়তে পারে। এদের কাজই হচ্ছে স্থির কিছু পেলে ডিম পাড়া। যেমন, বুক শেলফে রাখা বই।
হাটতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এখন জুতা খোলার টাইম নাই। অতি ব্যস্ততায় আছি। জুতার মধ্যে তেলপোকার ডিম নিয়ে হাটতে হবে।
বাসে উঠলাম। রাস্তায় হেভি জ্যাম। গান শুনে সময় কাটানো যায়। মোবাইলে সব তামিল গান লোড করা।যদিও মেলোডি গান, কিন্তু এক গান বেশিবার শোনার কারণে কেমন গা গুলাচ্ছে। পাশে এক মুরব্বি বসে আছে, তার গায়ের উপর বমি করে দিতে পারলে ভালো হয়। গান বমি। চাচা বলবে "কি হইসে বাবা, কি হইসে?" আমি বলবো "নিথানে, নিথানে! (গানের লিরিক) ওয়াক! ওয়াক!"
তবুও গান ছাড়তে পারছি না। কানে বেজেই যাচ্ছে। নিথানে বাংলা অর্থ তুমি। মাথার মধ্যে তুমি ঘুরপাক খাচ্ছে। চলন্ত বাসে টাইপ করতে যেয়ে বমি ভাব আরো বেড়ে গেছে। vestibulo cochlear imbalance হচ্ছে। আমি ওয়াক ওয়াক করে চাচার দিকে এগিয়ে গেলাম। চাচা ভীত চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। "সরেন সরেন!" বলে সে নিজেই সিট থেকে উঠে গেল।
বমি না করেই বাস থেকে নামতে পারলাম। এখন এক কাপ করা চা খেতে হবে। হাসপাতালের পিছনে ভালো চা বানায়। দোকানদারের নাম জামাল।
চায়ের দোকানটাতে বেশ ভীড়। দুইজন পুলিশ আসামী নিয়ে চা খেতে এসেছে। আসামী বেড়ি শিকলে বাধা, হাত পা নাড়ালেই ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। আশেপাশের লোকজন কৌতুহলী তাকিয়ে আছে। বাধা অবস্থায় চা খাবে কিভাবে? চায়ের দোকানদার মুচকি হাসছে। আস্তে আস্তে বললো,
'বেড়ি বাধা অবস্থায় হাঁটা কঠিন, চ্যাগায়ে চ্যাগায়ে হাটা লাগে, হে হে হে!
আমি বললাম 'বেশি হে হে কইরেন না, পুলিশ শুনলে আপনারেও মাইর লাগাবে, চ্যাগায় হাটা লাগবে, দিনকাল ভালো না'।
একজন বললো 'মনে হয় মার্ডার কেস! এই জন্য বেড়ি পড়াইসে'।
আমি সম্ভাব্য মার্ডার কেস আসামীর দিকে তাকালাম। রোগা শুকনা, নিরীহ চেহারা। তৃপ্তি করে চুকচুক করে চা খাচ্ছে।
চা খাওয়া শেষ হয়েছে। আসামী শিকলের ঝনঝন শব্দ করে হেটে যাচ্ছে। শব্দটা কেমন যেন, মাথায় ঢুকে যায়।
নর্তকীরা নাচের সময় কি এজন্যই নূপুর পড়ে? নূপুরের শব্দ মাথায় ঢুকে যায়, দর্শক মোহগ্রস্ত হয়?
হাই ফিলসফি হয়ে যাচ্ছে। আমার চোখের সামনে নর্তকী ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি বিড়বিড় করছি
'নিথানে নিথানে!'
'তুমি, তুমি!'
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭