রাশেদ প্রতিদিন ঘুমানোর সময় মোবাইলটা বুকের উপর নিয়ে ঘুমায়।
এখন এই যন্ত্রটাই তার কাছে নিরুকে পাবার একমাত্র উপায়, তার শূন্যতা ঢাকার একমাত্র অবলম্বন।
কারো বুকে তার প্রিয়তমার হাত জড়িয়ে থাকে, কারো পাশে তার প্রিয় মানুষ শুয়ে থাকে, তার মুখের দিকে তাকিয়ে সে রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেয়, ভালবাসার আবেশে।
আর রাশেদের পাশে শূন্যতা। তার বুকের ভিতর চাপ দেয়া ব্যথা, কেউ যেন এভারেস্ট চাপিয়ে রেখেছে। তাই মোবাইলটা তার বুকের উপর রেখে দেয়। ভাবে এটাই নিরু। যন্ত্র জীবন পায়, শুন্যতা ঢাকার বৃথা চেষ্টা করে। মেসেজ আসার একটা কাঁপুনি তার স্তিমিত হৃদযন্ত্রকে স্পন্দন এনে দেয়। সে বেঁচে উঠে।
যন্ত্র রেডিয়েশন ছড়াতে থাকে, তার কার্ডিয়াক মাসল ধীরে ধীরে ছন্দ হারায়, একদিন স্তব্ধ হবার অপেক্ষায়।
যন্ত্র রেডিয়েশন ছড়াতে থাকে। তার নিউরন স্মৃতি হারাতে থাকে। সে কিছুটা খুশি হয় বরং। একদিন সে নিজেকেও চিনতে পারবো না। সেদিন এই না পাবার কষ্ট সে ভুলে যাবে। আহ!
সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবো। তার সাথের মানুষ বলবে, 'লোকটা আগে শুধু কথা বলতো না, এখন আর কাউকে চিনে না! খালি অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে!'
তার জীবন থেমে যাবে,
সে চায় থেমে যাক।
নিরুকে ছাড়া মুহুর্তগুলো খুব কষ্টের... খুব...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪