সঙ্গম শেষে বিজলি চুলের খোঁপা খুলে দেয়। আমি বলি,
- রানী, তোদের এই টানবাজারে আর কতো মাগী আছে?
বিজলি হো হো করে হেসে বলে,
- ওরে আমার নাগর, এই বিজলি রানীরে ছাইড়া তুই আর কার লগে শুইবি? ভাইঙ্গা দিমু কইলাম।
- কি ভাঙবি?
- হইছে, শুইনা কাম নাই। তুই খালি আমার লগে থাকবি। আর কারো ঘরে যদি যাস তাইলে দেখবি এই বিজলি কি জিনিষ!
- কিল্লাই? তুই কি ঘরের বউ নাকি যে তোরে ছাড়া আর কারো লগে শুইতে পারুম না?
- হ, আমিই তোর বউ এখন। তোর পোঙটা বউ তো আরেক পোলার লগে ভাগছে। ভাগছে ভালোই হইছে, তা নাইলে তো তোরে পাইতাম না। তুইই আমার নাগর।
- ওরে, শখ কত মাগীর! এত নাগর করার শখ তাইলে এইখান থিকা বের হস না ক্যান? আরেক ব্যাটার লগে শোস ক্যান?
অট্টহাসি দিয়ে বিজলি বলে,
- ক্যান? ক্যান? আরেক ব্যাটার লগে শুইলে তোর জ্বলে ক্যান?
- না, তুই শুবি না। আইজকা কইয়া দিলাম, তোরে যদি আর অন্য ব্যাডার লগে দেখি, তাইলে আমি আর আসমুনা, জেসমিন এর লগে থাকমু।
- জেসমিন? কিল্লাই জেসমিন? আমি কি কম সুন্দর নাকি? খালি জেসমিন আর জেসমিন! থাক তুই জেসমিন এর লগে। আমার কাছে আর আইবি না।
- হ, আসমু না যা। গেলাম আমি। থাক তুই।
- হ, যা যা, তোরে কে আটকাইয়া রাখছে।
এই বলতে বলতে আমি বের হয়ে যাই বিজলির ঘর থেকে। পেছন থেকে বিজলি ডাক দিয়ে বলে,
- এই, কামে যাইস না আইজকা। তোর শরীরডা ভালা না। জ্বর আইবো মনে হয় আর দুপুরে জব্বার এর দোকান থিকা খাইস। ট্যাকা লাগবো না। আমি কইয়া রাখছি।
আমি বলে উঠি,
- মাগীর পিরিত দেখো! রাখ তোর জব্বার, খাইতাম না আমি তোর ট্যাকার ভাত।
এই বলে হাঁটা দেই মিল এর দিকে।
নিজেরে নিজে শুনাই, যাবো না আর বিজলির কাছে, কি আছে ওর মধ্যে! কি দেমাগ মাগীর।
ওদিকে বিজলি জানে রাত হলে ঠিকই ফিরবে ওর কাছে লোকটা। আবার ঝগড়া করবে। নাহ আর না, সে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে, আর কোনো খদ্দের ধরবে না সে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩