প্যারানরমাল ব্যাপার স্যাপার অনেকেই এক্সপেরিয়েন্স করে। তবে পেশা অনুযায়ী যদি হিসাব করা হয় তবে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখা যায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী প্যারানরমাল ব্যাপার এক্সপেরিয়েন্স করেছেন “পিজ্জা বয়” রা। ইউরোপ আর আমেরিকার প্রায় ৯৫ % পিজ্জা বয় পিজ্জা ডেলিভারী দিতে গিয়ে অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার দেখেছেন।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এমন হয় যে ফোন করে পিজ্জা চাওয়া হয়েছে কিন্তু তারা গিয়ে দেখেন যে ভুতুরে ব্যাপার স্যাপার। অনেক পিজ্জা বয়ই এজন্য নিজের পেশা পরিবর্তন করে ফেলেন। আমাদের পাশবর্তী দেশ ভারতেই অনেক পিজ্জা বয় এসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। এই নিয়ে নাকি তাদের একটা তামিল মুভিও আছে !
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এমন হয়? পিজ্জার উপরে কি অতিপ্রাকৃত শক্তিগুলার কোন আকর্ষন আছে ? প্রেততত্ববিদরাও এর উত্তর সঠিক ভাবে দিতে পারেননি। তবে জার্মানীর এক প্রেততত্ববিদ এভাবে ব্যাপারটা এক্সপ্লেইন করতে চেষ্টা করেছিলেন।
“একটা পিজ্জাকে সাধারনত আমরা ত্রিভূজ আকৃতিতে কাটি। ‘তিন’ সংখ্যাটি , এটি অনেক গুরত্ব রাখে। মায়ান মিথ অনুযায়ী পবিত্র আত্নারা প্রথম মানুষ সৃষ্টি করেন কাদা দিয়ে। কিন্তু অপবিত্র আত্নারা সেটাকে পানি দিয়ে নষ্ট করে দেয়। পরের মানুষ সৃষ্টি করা হয় কাঠ দিয়ে , কিন্তু এটাতে অপবিত্র আত্নারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আর শেষ মানুষ সৃষ্টি করা হয় ভুট্টা দিয়ে। আর অপবিত্র আত্নারা কিছু করার আগেই তাতে জীবন দেওয়া হয়। সেই থেকে তিন সংখ্যাটির প্রতি অপবিত্র আত্নাদের ক্ষোভ। যেহেতু পিজ্জা ত্রিভুজ করে কাটা হয় তাই হয়ত এর প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারে।”
এই ব্যাখ্যা তেমন কেউ গ্রহন করেননি। কারণ অপবিত্র আত্নারা ইউনিক সত্তা আর এখানে পিজ্জা বয়রা মরা মানুষদের আত্নাদের দেখে! যাইহোক এই নিয়ে এখনো প্রেততত্ববিদদের গবেষনা চলছে।
এই নিয়ে সবচেয়ে মজার উক্তিটি করে মার্কিন প্রেততত্ববিদ জন কাসুবা।
তিনি বলেন, “বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পিজ্জা বয় পিজ্জাটা ফেলে আসে ভয়ে আর পরে যখন খোজ করতে যাওয়া হয় পিজ্জাটা আর দেখা যায়না! আমার মনে হয় ভূতেরা পিজ্জা পছন্দ করে কিন্তু পিজ্জার দাম দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।”
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫