কিছু বন্য ইচ্ছা প্রতিটি মধ্য রাতে আমাকে
নির্মম ভাবে হত্যা করে নরকবাসী হয়,
যার প্রত্যক্ষদ্রষ্টা আমি নিজেই।
অত:পর,সে স্বীয় তপসায় ফিরে আসে
আবার মধ্য রাতে,
আমাকে স্বর্গীয় সুখের লোভ দেখিয়ে ফের
হত্যা করে।
অথচ,
প্রথম হত্যার বিচারই আমি আজ অব্ধি পাইনি।
ঘাতক জানে না,
মূলত মরে আছি তো সে দিন হতেই,
যে দিন শ্মশানের চিতার ছাতা চুরি করে নরক হতে
স্বর্গের পথ ধরে ছিলাম।
তোমরাও হয়তো জানো না!
আমার স্বর্গ নরক খুবি পাশাপাশি,
আমি মাঝে মাঝে উভয়ের মাঝপথ ধরে
নির্ভয়ে হেঠে যাই,
যেনো বাপ দাদার আমলের পরিচিত রাস্তা।
একদিন আমার পথ আগলে দাঁড়ালো আমাদের
পাশের হিন্দু পাড়ার এক প্রয়াত বাবু,
গঙ্গা পাড়ে বিসর্জিত তার শ্রাদ্ধের পয়সা চুরির অপবাদে।
আমি বললাম বাবু তোমার শ্মশানের চিতার
ছাতাটাও আমিই চুরি করেছি।
বাবু আমায় ক্ষমা স্বরূপ একচিলতে মৃত হাসি উপহার দিলো।
তবে হ্যা,
আমার ঘাতক কে আমি চিতার ছাতা টা উপহার দেবো,
যেদিন সে আমায় এই জীবন মৃত্যুর খেলা হতে ছুটি দিবে।
না হয় কেউ একজন আসুক,শ্মশান ঘাটের
মাঝি,আর না হয় কবরস্থানের পাহারাদার,
যে সারা রাত আমাকে জন্ম মৃত্যুর মধ্যাবস্থার গল্প শুনাবে।
অথবা পরীস্থানের কোন মায়াবী কন্যা আসুক,
যাকে দেখে আমি ভুলে যাবো বিগত জন্ম ও অনাগত মৃত্যুর কথা।
ভুলে যাবো,বন্য ইচ্ছা,স্বর্গ,নরক,ও ঘাতকের কথা।
তবে কেউ একজন আসুক!
প্রতিক্ষণ এই বন্য ইচ্ছার হত্যা হতে মুক্তি চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫