ইউরোপিয়ান ফেয়ারীটেলসগুলোর ভিতরে মনে হয় সবচেয়ে বেশী সেন্সরড করা হয়েছে তন্দ্রাবতী (Sleeping Beauty) কে...
মূল ভার্সনটিতে, তন্দ্রাবতীর একটা নাম দিয়েছিলেন তার মা-বাবা মানে রাজা-রানী। নামটি ছিল ‘অরোরা’। কিন্তু পরে চার্চের ভয়ে ব্যাপারটি চেপে যাওয়া হয়। কারন অরোরা ছিলেন রোমান সূর্যোদয়ের দেবী যার চোখের পানি শিশির হয়ে যায়। তখন চার্চের প্রবল ক্ষমতা। আর ছোট্ট বাচ্চাদের ভিতর পৌত্তলিকতা ছড়ানোর অভিযোগে গল্পটি তারা নিষিদ্ধ করতেই পারতেন। তাই মূল নাম চাপা দিয়ে তন্দ্রাবতী ই রেখে দেওয়া হয়।
দুষ্ট পরী তন্দ্রাবতীকে ছল করে এনে তার হাতে চরকার সূচ ঢুকায় না। বরং সে নিজ হাতে সেটি তন্দ্রাবতীর হাতে গেথে দেয়। ব্যাপারটা একটু বেশীই ব্রুটাল হয়ে যায়। তাই এটিকেও সেন্সর করা হয়।
তন্দ্রাবতীকে উদ্ধার করতে কোন রাজপুত্র আসেনা। বরং আসেন এক রাজা। যিনি আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন।এটিকেও সেন্সর করে রাজাকে রাজপুত্র বানান হয়। আর সবচেয়ে ডার্ক এলিমেন্ট হল রাজা তন্দ্রাবতীকে চুমু খেয়ে ঘুম ভাঙ্গায় না বরং সে তাকে ঘুমের ভিতরেই ধর্ষন করে! দশমাস পর তন্দ্রাবতীর বাচ্চা হয় আর সেই বাচ্চা তার মায়ের হাত থেকে চরকার সূচটি কামড়ে তুলে ফেলে আর তার ঘুম ভাঙ্গে।রাজার আগের স্ত্রী অনেক চেষ্টা করে তন্দ্রাবতী আর বাচ্চাকে হত্যা করার কিন্তু কিছুতেই সফল হয়না। শেষে রাজার সাথে তন্দ্রাবতীর বিয়ে হয়!
And they lived happily ever after then (despite the fact that he raped her).....
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪